শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (আমলী পালং)-এর আদালতে পেশকৃত মামলাটি গত সোমবার (১৩ মার্চ) মামলাটি দাখিল করা হয়।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়,গত ৭ মার্চ জাতীয় দৈনিক খবরের আলে পত্রিকায় “দিন তারিখ দিয়েও বিয়ে করতে আসেনি আলামিন তস্তার” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে আমাকে এবং আমার পরিবারকে ছোট করে নানা মিথ্যাচার করে।খবরে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।আমার পরিবারের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করে তাদের মনগড়া বক্তব্য প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত সংবাদে আমার চরিত্রহরন করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে আমার ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
মামলার বিবরণে আমি আলআমিন উল্লেখ করেন,,আমি আমার স্ব পরিবার গত ১ মার্চ শরীয়তপুরের চিতলিয়া মেয়ে দেখতে যাই, মেয়ে পছন্দ হয়। পরে সবার সম্মতিতে ৬ মার্চ বিয়ের দিন ধার্য করা হয়ে। কিন্তু বিয়ের দিন সকাল ১০ টায় আমার বোন হটাৎ শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে অসুস্থ হয়ে পরে। তাকে নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। একমুহূর্তের জন্য রোগীকে রেখে কোথাও যাওয়ার পরিস্থিতি ছিলো না আমার।পরবর্তীতে সন্ধ্যায় আমরা কনের বাড়ি যাই। কিন্তু কণে পক্ষ তাদের মেয়েকে আমার কাছে দিতে আর রাজি ছিলেন না। একপর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে তাদের ক্ষতিপূরন হিসেবে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে মিমাংসা করে চলে আসি।
খবরের আলো প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছিলো, প্রায় ১০ দিন আগে কনে পক্ষের সাথে বর আল আমিনের মা রেনু বেগম(৬০), মামা সোরহাব ঢালীর (৭০) সাথে বিবাহের পাকা কথা হয়। ২৫০ জন বরযাত্রী মেহমান নিয়ে বর পক্ষের কনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর পক্ষ না আসায় এক মুহূর্তেই কনের বাড়িতে বিয়ের আনন্দ ধূলায় মিশে কান্নায় পড়ে যায়।
এবিষয়ে খবরের আলো শরীয়তপুর প্রতিনিধি মো: সজিব খান বলেন, আমি শুনেছি আমার নামে মামলা করছে তবে সত্যি না মিথ্যা তা জানি না। আমি সকল তথ্য প্রমাণ নিয়েই নিউজ করেছি আমার কাছে সকল প্রমাণ রয়েছে।