শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর নির্বাচনী মিছিলে বোমা হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের নড়িয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে যুবলীগের সভাপতি নজরুল খলিফা (৪৭), মো. মন্নান বেপারী (৬৫), রশিদ চৌকিদার (৪৫) নজরুল বেপারী (৪০), সুমন মোড়ল (৩০), মহিউদ্দিন বেপারী (৩৮), আবদুর রহিম (৩৬) ও নজরুল ইসলাম সরদারের (৬০) পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর একাধিক কর্মী জানান, সন্ধ্যায় শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলীর সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে পৌরসভার বাঁশতলা এলাকা থেকে মুলফৎগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় মিছিলটি মুলফৎগঞ্জ ব্রিজের কাছাকাছি আসলে নৌকার পোস্টার লাগানো একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে মিছিলে কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নড়িয়ার বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সদর হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক।
হামলায় আহত নড়িয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নজরুল খলিফা বলেন, ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে নৌকার পোস্টার লাগানো একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বোমা হামলা করে। হামলায় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার সমর্থকদের মিছিলে ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে। এতে ১৫ জন আহত হলেও গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম তার নিশ্চিত পরাজয় জেনে হামলা করিয়েছেন।
জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাঁশতলাতে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা নিজেরা নিজেদের বোমা হামলায় আহত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে নৌকার নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা শুনেছি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা মাঠে রয়েছি। শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।