শরতের বিচিত্র প্রকৃতির সাথে মানুষও বিচিত্র মানসিকতায় স্তব্ধ।
এই রোদেলা আকাশ, ঐ আবার ঘন বারিধারা, কখনও বা কালো মেঘের ছ’টা।
বেসামাল প্রকৃতি মনোরথকে স্থবির করে রাখে।
এই দু’য়ে মিলে সবাই আছি ভাদ্রের গোলক ধাঁধায়।
হৃদয়ে আনন্দ ধ্বনি বেজে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
শিউলি আর কাশফুলের প্রাঙ্গনে শারদীয়া উৎসবের মায়ের আগমনী বার্তা চারদিকে ছেয়ে গেছে প্রায়- ঐতো মা আসছেন বলে।
কাশফুলের সাদা কেশর আর সাদা মেঘমালার মিতালি পাতার এই তো সময় মায়ের আসার লগনে।
স্থলপদ্মগুলি বৃন্তের ডগায় ফুটি ফুটি করে অপেক্ষায় রত।
কাশফুলের জন্ম হবে মায়ের সম্ভাষণের কালে।
হেলেদুলে শারদীয় প্রাতে নৃত্যের তালে তালে
আনন্দ ধ্বনি বাজবে পৃথিবীর বুকে।
শঙ্খ ধ্বনির সরব তরঙ্গে কলুষতা , দুঃখ, কষ্ট, রইবে না আর সমাজ, সংসারে।
সুগন্ধি আগরবাতি, ঘিয়ের সলতে, প্রজ্জ্বলিত হবে, আর ধূপের ধোঁয়ায় জীবনের ক্লান্তি, অমানিশা দূর হবে ঐ সূদুরে।
ক্রান্তিকালীন অন্ধকারের যত দুঃখ, জরা, অভিশাপ, দেবী মায়ের চরণে দেবো বিসর্জন।
ভালোবাসার ফল্গু ধারায় সিঁদুর – সিঁদুরে মাতবো খেলায়,
রাঙ্গিয়ে দেবো দেবীর চরণ, লুটিয়ে পরবো রাঙ্গা চরণে অবনত ললাটে।
মাটির বুকে কপাল ঠুকে আশীষ চাইবো আঁচল পেতে।
শারদীয়া মেঘে আকাশের ভেলায় কল্পনার জালবুনে,
আলপনা আঁকি ঘটোপ’রে, শান্তিময় হোক পৃথিবী প’রে।।