মনির হোসেন জীবন: ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুবাই থেকে ঢাকায় আসা এক যাত্রীর নিকট থেকে ৩ কেজি ৪৯৮ গ্রাম ওজনের ২৮টি স্বর্ণবার উদ্বার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আটক যাত্রীর নাম এম মাসুদ ইমাম। আটককৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
আজ শনিবার সকালে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারি পরিচালক ফারহানা বেগম জানান, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১১ টার দিকে বিমানবন্দরের ১০ নং বোর্ডিং ব্রিজে এমিরাটস (Emirates) এয়ারলাইন্স ইকে-৫৮৪ নাম্বারে এক যাত্রীর নিকট থেকে এসব সোনা উদ্বার করা হয়। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিফট ইনচার্জের নেতৃত্বে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল এয়ারপোর্ট বি-শিফট এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ওই এয়ারলাইন্সের ১০ নং বোর্ডিং ব্রিজে সংযুক্ত হবার সাথে সাথে ২৬কে সিটের যাত্রী এম মাসুদ ইমামের দেহ তল্লাশি করে একটি চামড়া সদৃশ মানিব্যাগের অভ্যন্তরে একটি বড় আকারের স্বর্ণের কয়েন পাওয়া যায়, যা তিনি নিজের বলে স্বীকার করেন।
অতঃপর আরও দু’টি একই আকৃতির ও সদৃশ মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যার ভেতর একাধিক স্বর্ণবার আছে মর্মে সন্দেহ হয়। জব্দকৃত স্বর্ণ (যাত্রীসহ) গ্রীন চ্যানেলের ইনভেন্ট্রি টেবিলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে খোলা হয়। এরপর দু’টি মানিব্যাগ থেকে ২৮টি স্বর্ণবার এবং একটি মানিব্যাগ থেকে ১টি বড় আকারের স্বর্ণের কয়েন/গোল্ড মেডেল পাওয়া যায়। যার ওজন ৩.২৪৮ গ্রাম। এছাড়া ১টি স্বর্ণের কয়েন, যার ওজন ২৫০ গ্রাম অর্থাৎ উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মোট ওজন ৩.৪৯৮ গ্রাম। আটককৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। ফারহানা বেগম আরও জানান, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল, এয়ারপোর্ট বি- শিফট এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের তৎপরতায় ও তল্লাশীর কারণে এই স্বর্ণ চোরাচালানটি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
আটককৃত স্বর্ণবারগুলো কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, স্বর্ণ আটকের ঘটনায় ”দি কাস্টমস এ্যাক্ট চোরাচালান অপরাধ আইন এবং ফৌজধারী আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাত্রীকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।