আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:০২
মাহমুদ হাসান,সাংবাদিক নেতা :- এ এক বিস্ময়কর কাহিনী। অনেকটা অবিশ্বাস্য ঘটনাও বলা যেতে পারে। ইতিহাসের পাতায় মাত্র কয়েকটি ঘটনার নজির হয়ত আছে। উনবিংশ বা বিংশ শতাব্দী জুড়ে এ ভূখন্ডই শুধু নয় তামাম বিশ্বে কোথাও এ ধরণের কাহিনী আছে কিনা তা তন্ব তন্ব করে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেকোন কল্প কাহিনীকেও হার মানাবে এ ঘটনা। একজন মানুষ কি করে লোভ-লালসার এতটা উর্ধ্বে উঠতে পারে? সততার এমন দৃষ্টান্ত হতে পারেন? দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়েও এই মানুষটি নিজেকেই ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষণজন্মা এই মানুষটি আর কেউ না বাংলাদেশের ‘রাখাল রাজা’ হিসেবে পরিচিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাঁর রাজনীতি, সমাজনীতি, শাসন ব্যবস্থা ও দেশ পরিচালনার নানা দিক নিয়ে আলোচনা- সমালোচনা চলছে, আরো চলবে। নিন্দুকেরা নানা কথা বললেও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে গবেষনাও চলছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে তাঁর সততা আকাশচুম্বীই শুধু নয় ঈর্ষাণীয়ও। এ বিষয়ে ঢাকার ৩৮/৩, বাংলা বাজারের আফসার ব্রাদার্স থেকে ১৯৮৮ সালের মে মাসে প্রকাশিত ‘একজন জিয়া’ গ্রন্থে হেদায়েত হোসেন মোরশেদ লিখেছেন ‘ বাইরে খুব ফিটফাট পোশাকে থাকতেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। আমার চোখে প্রেসিডেন্ট জিয়া ছিলেন টিপটপ পোশাক পোশাক পরিহিত একজন স্মার্ট লোক।’ হ্যা, আমার ও আরো অনেকের চোখেই জিয়ার ছবি এভাবেই রয়েছে। কিন্ত এ জিয়া তো বাইরের জিয়া, যার প্যান্টের ক্রীজ কখনো দুমড়ানো দেখেনি। কিন্ত ঘরের জিয়া, অন্দরের নিজস্ব ভূবনের জিয়া কেমন থাকতেন তার একটি চিত্র তুলে ধরা হলো তাঁর মৃত্যর পর ‘ দৈনিক বাংলা-র এক প্রতিবেদনে। বঙ্গভবনে তার ব্যক্তিগত স্টাফদের সাথে কথা বলে প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন সাংবাদিক জহিরুল হক। শিরোনাম ছিলো’ নিভৃতে সেই মানুষটি।’ তাতে লেখা হয়েছিল, ‘ অনেকবার রিপু করা, তালি দেয়া একটি হালকা প্রিন্টের পাজামা, একটি ঢিলে সার্ট ছিল প্রেসিডেন্টের।….কালে-ভদ্রে কখনো বঙ্গভবনে বিশ্রামের সুযোগ পেলে তিনি এই পাজামা-সার্ট স্লিপিং স্যুট হিসেবে ব্যবহার করতেন।’ অনেকবার তাঁর ব্যক্তিগত অফিসাররা এটা ব্যবহার না করার অনুরোধ করেছিলেন। তখন জিয়া বলতেন, কে দেখবে? এখানে তো কেউ নেই। …..
প্রতিবেদনের আরেক জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া কোন উপহার এমনকি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে দেয়া উপহার তিনি নিজে নেননি। সব জমা দিয়েছেন বঙ্গভবনের তোষাখানায়। পাকিস্তান থেকে আগত এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির দেয়া একটি কুরতাও তিনি জমা দিয়েছেন তোষাখানায়। তাঁর মতে এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। প্রেসিডেন্টের একজন ব্যক্তিগত অফিসার জানালেন, ইরানের সাবেক সম্রাজ্ঞী ফারাহ দীবা বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত উপহার হিসেবে মহামূল্যবান ফিরোজা পাথর বাসানো একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন। জিয়ার নির্দেশে সেই আংটিও জমা রাখতে হয়েছিল বঙ্গভবনের তোষাখানায়।”
এমন অসংখ্য ঘটনা আছে যা দিয়ে জিয়াউর রহমানের সততার উদাহরণ পাওয়া যায়।
আজকের এই দিনে বিরলগুণের এই মানুষটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। শুভ জন্মদিন হে ক্ষণজন্মা পুরুষ, বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের মানুষ শহীদ জিয়াউর রহমান।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |