- প্রচ্ছদ
-
- ঢাকা
- শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাব -কাদের সিদ্দিকী
শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাব -কাদের সিদ্দিকী
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৫:১৪ অপরাহ্ণ
মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম :-আওয়ামী লীগ ‘সঠিক পথে নেই’ মন্তব্য করেও দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তিনি এও জানিয়েছেন যে, তার বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে খুব পছন্দ করতেন।শুক্রবার(২৯সেপ্টেম্ব) বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি নিজ গ্রামে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাবা মায়ের কবর জিয়ারতের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমাদের সামনে বিকল্প নাই, আমাদের সামনে স্বাধীনতা,স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধু। আমরা তাকে ছাড়তে পারি না, যে যাই বলুক।
“বঙ্গবন্ধুকে নিরাপদ করতে হলে, রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার যে প্রচেষ্টা, সেটাকে প্রতিহত করতে হলে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করতে হবে।”জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করতেন তার বাবা। কাদের সিদ্দিকী জানান, তার বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বেশ পছন্দ করতেন। তিনি বলেন, “বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী জিয়াউর রহমানকে দেখতে পারতেন না। তবে আমার বাবা জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করতেন।
“জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে আমার বাবা কোর্টে যাচ্ছিলেন। ঠিক ওই সময়ে শহরের কুমুদিনী কলেজের সামনে বাবাকে দেখে জিয়াউর রহমান গাড়ি থেকে নেমে তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করছিলেন। এ কারণে আমার বাবা জিয়াউর রহমানের সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে পারতেন না। শেষ দিন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানকে তিনি সন্তানের মতো দেখছেন।”লতিফ সিদ্দিকীর গায়ে হাত দিলে সে হাত টিকবে না’বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ‘পিতার সমান’ আখ্যা দিয়ে তাকে নিয়ে যে কোনো আক্রমণ মেনে নেবেন না বলেও জানান কাদের সিদ্দিকী।তিনি বলেন, “আমার গায়ে হাত দিলে সেই হাত থাকবে, টিকবে। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকীর গায়ে হাত দিলে সে হাত টিকবে না। রাজনৈতিক সমালোচনা করা যাবে। রাজনীতির বাইরে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না।
লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকী দুই জনই এক সময় আওয়ামী লীগের নেতা থাকলেও পরে দলের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুতি হয়। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে কাদের সিদ্দিকী গঠন করে নিজের দল।অন্যদিকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে বক্তব্যের জেরে তুমুল বিতর্ক হলে মন্ত্রিত্ব, সংসদ সদস্যপদ এবং দলীয় পদও হারান লতিফ সিদ্দিকী।লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারীরা তার পাশে না থাকায় আক্ষেপের কথাও বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নেতা। বড় ভাইকে উদ্দেশ করে তিন বলেন, “আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি, ইসলাম সম্পর্কে আপনার বক্তব্যে একটা দাড়ি-কমাও ভুল নাই। কিন্তু আপনার লোকেরা কেউ তুলে ধরতে পারে নাই। আপনাকে যখন আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল, আপনার পক্ষে ১০ টা নেতাও দাঁড়াতে পারে নাই।”আপনার হাজার হাজার নেতা কর্মী ছিল, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আপনার লাখ লাখ নেতা-কর্মী বঙ্গবন্ধু হত্যায় রুখে দাঁড়াতে পারে নাই।”আগামী নির্বাচন সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আজকে থেকে শুরু হল আমাদের কাজ, আমাদের যাত্রা। আমরা ঘুষখোরদের হাত থেকে, গুন্ডাদের হাত থেকে ও দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে টাঙ্গাইলকে বাঁচাতে চাই।”সারা বাংলাদেশে কী হবে জানেন না বলে কাদের সিদ্দকী বলেন, “তবে আমরা টাঙ্গাইলকে সম্মানিত করব।”
লতিফ সিদ্দিকী ছাড়াও ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক , তার ছোট ভাই আবুল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীও এ সময় বক্তব্য রাখেন।
Please follow and like us:
20 20