বিডি দিনকাল ডেস্ক :- নতুন বছরে স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, করোনার মতো শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আসুন রাজপথে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই সংগ্রাম করে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। যেভাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান দেশ স্বাধীন করার জন্য পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হাবিজা বেগম’র ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে’ এই শিরোনামে মানবনবন্ধন করে সংগঠনটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজ ২০২০ বছরের শেষদিন। আজকেও আমাদের কর্মসূচি করতে হচ্ছে। আগামীকাল পহেলা জানুয়ারি ‘২১ সাল। আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে যদি প্রতিদিন প্রতিবাদ করি আজকে যা চলছে তা কমবে না। উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাবে। এত ঘটনা ঘটছে একটি সংগঠন বা চারটি সংগঠনও যদি নানা স্থানে প্রতিবাদ করে তাহলেও সবার কথা বলা যায় না।
‘কত যে খবর আসে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে’ বাংলা চলচ্চিত্রের এই গানের একটি লাইন উল্লেখ করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, টিভিতে অনেক খবর দেখেন, পত্রিকার পাতায় অনেক খবর পড়েন। তারপরও শতভাগের একভাগ খবরও জনসম্মুখে আসে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানববন্ধন বা প্রতিবাদ করে মুক্তির পথ হবে না। আমাদের লড়াই করতে হবে। আজ এই মাস বিজয়ের মাসের শেষ দিন। যে বিজয় নিয়ে গর্ব করি সেই বিজয় কিন্তু লড়াই ছাড়া আসেনি। সংগ্রাম ছাড়া আসেনি ও রক্ত ছাড়া হয়নি। সেকারণেই আমাদেরকে জীবন যুদ্ধে যেমন করোনাকে উপেক্ষা করে ছোটাছুটি করি, তেমনি স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ববোধ থেকে করোনার মতো শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে মাঠে ময়দানে ছোটাছুটি করতে হবে। তাছাড়া কিন্তু আমাদের পরিত্রাণ পাওয়ার অন্য কোনো পথ নেই।
তিনি বলেন, কোনো অধিকারই সংগ্রাম ছাড়া হয় নাই। বিএনপির তো সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন? প্রতিষ্ঠিত করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি কী করেছেন লড়াই করেছেন। যুদ্ধ করেছেন। তিনি প্রথম পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তার উর্ধ্বতন কমান্ডারকে গুলি করে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পরে নেতৃত্ব কে দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজপথে মশাল হাতে ঢাকার অলিতে গলিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়া আপোসহীন নেত্রী। আপোসহীন নেত্রীর কর্মীরা যদি আপোসকামী হয়, তাহলে তো শেখ হাসিনা অবজ্ঞা করবেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেই।
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সম্মানিত সদস্য মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ,তাইফুল ইসলাম টিপু, রবিউল ইসলাম রবি,কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।