আজ শনিবার | ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৪ঠা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:০৩
নিউজ ডেস্ক : ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি মানেই মার-মার কাট খেলা। আর ম্যাচটি যদি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের হয় তবে তো কথাই নেই।
অস্ট্রেলিয়ায় ডানেডিনে এমন জম্পেশ লড়াইয়ের ২০ ওভারের ম্যাচ দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ঠাসা শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই শেষে মাত্র ৪ রানে স্বাগতিকদের হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ডানেডিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অসি পেসারদের তুলোধুনো করে ২২০ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড।
এত বড় স্কোরের কারিগর ছিলেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৮ ছক্কায় ৯৭ রানের টর্নেডোময় এক ইনিংস খেলেন তিনি। জাম্পার স্পিনে বোল্ড হওয়ার আগে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩৫ বলে করেন ৫৩। শেষদিকে নেমে অলরাউন্ডার নিশামের ১৬ বলে ৬ ছক্কা হাঁকানো ৪৫ রানের (নটআউট) ইনিংস এ বিশাল সংগ্রহ এনে দেয় কিউইদের।
সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে দুর্দান্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়াও। এমন রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া ম্যাচে ভাগ্য পেণ্ডুলামের মতো দুলছিল।
১২ ওভার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পাল্লাই ভারী ছিল। এ সময় ৩ উইকেটে ১০৭ রান জমা করেছিল অসি ব্যাটসম্যানরা। অর্থাৎ ৪৮ বলে দরকার ১১৩ রান। ক্রিজে জন ফিলিপস ও মার্কাস স্টয়নিস যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, মনে হচ্ছিল ২২০ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করতে পারবেন তারা।
কিন্তু এক ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়া। ১৩তম ওভারে মিচেল স্যান্টনার ৩ উইকেট শিকার করে চাপে ফেলে দেন স্বাগতিকদের। ওভারের তৃতীয় বলে ৪৫ রানে থাকা ফিলিপের ব্যাট থামিয়ে দেন স্যান্টনার। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে অ্যাশটন অ্যাগার আর মিচেল মার্শকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান এই কিউই স্পিনার।
১৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১১৩ রান। এ সময় দলের হাল ধরেন মার্কাস স্টয়নিস আর ড্যানিয়েল স্যামস। চার-ছক্কার ঝড় তুলে সপ্তম উইকেটে ৩৭ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন স্টয়নিস-স্যামস। জয় অস্ট্রেলিয়ারই বলে ধারণা করতে থাকে সমর্থকরা।
ম্যাচভাগ্য গড়ায় শেষ ওভারে। আর সেই ওভারটাই ছিল নাটকীয়তায় ঠাসা। যে নাটকে নায়কের ভূমিকায় ছিলেন কিউই জিমি নিশাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১৫ রান। ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান স্যামস-স্টয়নিস। বলতে গেলে ৬ বলে ১৫ রান অসাধ্য ছিল না মোটেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য। কিন্তু নিশাম তা আর হতে দেননি।
প্রথম বলেই তিনি আউট করে দেন স্যামসকে। ১৫ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ওই আউটের পরের দুই বলে রান করতে পারেননি স্টয়নিস। তবে চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচে উত্তেজনার মাত্রা চরমে নিয়ে যান স্টয়নিস। কিন্তু পরের বলেই লং অনে ক্যাচ দিয়ে আশাভঙ্গ করেন এ অসি তারকা।
শেষ বলে ঝাই রিচার্ডসন বাউন্ডারি হাঁকালেও তা আর লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। ৮ উইকেটে ২১৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:21 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:03 PM |
Asr | 3:05 PM |
Magrib | 5:25 PM |
Isha | 6:46 PM |