আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:০৬
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শামীম আল মামুন এর বিরুদ্ধে ভাই সামছুল আলম ও ভাতিজা সরোয়ার আলম বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে ও তার পরিবারকে হয়রানি করে তার জীবন অতিষ্ট করে নরকে পরিণত করে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শামীম আল মামুন জানায়, তিনি নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে সমাজে তার যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি রয়েছে। বিদ্যালয়ে তার ছাত্রদের কাছে তিনি একজন আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সুনামের সাথে সহকারি শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার বিদ্যালয়ের শৃংখলা বিরোধী কাজের বদনাম নেই। তিনি সকল শিক্ষকের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। ২০১৭ইং সালে তিনি সখিপুর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হন। তিনি মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে টাংগাইল জেলায় সকল শিক্ষকের নিকট পরিচিত। তার আপন বড় ভাই মো: সামছুল আলম ও তার ছেলে সরোয়ার আলম জমিজমা নিয়ে নানা ভাবে তাকে হয়রানি করছেন। তার ছেলে সন্তান না থাকায় তাকে সকল সময় হেনস্থা করে চলেছে। অথচ এই শামীম আল মামুন তার ভাতিজা সরোয়ার আলমকে ভাতিজা নয় নিজ ছেলে পরিচয়ে ভরণপোষন ও পড়াশুনার খরচাদী চালিয়েছেন, এমনকি সরোয়ার আলমও তার চাচা শামীম আল মামুনকে প্রায় একযুগ বাবা বলে ডেকেছেন।
অপর দিকে আপন বড় ভাই সামছুল আলম সমাজে একজন দালাল শ্রেণির লোক বটে। তার কাজই হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন কাজে-অকাজে বিভিন্ন অফিস আদালতে দালালী করা। তার পেশা ও নেশা দালালী। সে জেলা উপজেলার বিভিন্ন অফিস আদালত ও ব্যাংকে দালালী করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার দালালীর প্রমান পত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছেন ৪নং যাদবপুর ইউ.পি. চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। সামছুল আলমকে “ টাউট আইনে দালাল ঘোষনা” জেলা প্রশাসক টাঙ্গাইল কার্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন। সরোয়ার আলমও তার বাপের পথ অনুসরন করে চলেছে। সামছুল আলম একই জমি সে কয়েক জনের নিকট জমির পরিমাণের চেয়ে কয়েকগুন বেশি বিক্রি করেছে। যেমন ১৯৯৭সালে তার ছোট ভাই শামীম আল মামুনের কাছে বিক্রি করে ৩০ শতাংশ,২০০৮ সালে নিজ পুত্র সরোয়ার আলম ও মেয়ে লুনা আক্তারকে ৩০ শতাংশ,২০০৯ সালে ফজলুল হককে ১৭ শতাংশ আবার নিজপুত্র সরোয়ার আলমকে অতি-উৎসাহে ৬৬ শতাংশ ভূমি বিক্রি করেন। অথচ সামছুল আলম ১৯৯২ সালে তার পিতার নিকট থেকে মোট ৬০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন। তার মোট ৬০ শতাংশ ভুমির মধ্যে সে বিক্রি করেছে- ১ একর ৪৩ শতাংশ। এখন ঐ একই জমি সামছুল আলমের ছেলে সরোয়ার আলম বিক্রি করা শুরু করেছে এবং ইতিমধ্যে ০৮ শতাংশ জমি তোফায়েল আহমদের নিকট বিক্রি করেছে।
সমস্ত জমি জমা বিক্রি করার পর ২০১২ সালে যখন স্বত্ত¡ রেকর্ডীয় জমি ছিলনা (একমাত্র নলুয়া মৌজায় ৩ শতাংশ ক্রয়কৃত জমি রয়েছে) তখন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক নলুয়া বাজার শাখা হতে সামছুল আলম ও তার পুত্র সরোয়ার আলম যৌথ ভাবে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
সরোয়ার আলমের সহযোগিতায় গত ২১/০৫/২০২১ইং তারিখে জনতার কণ্ঠ ২৪.কম পত্রিকায় প্রকাশিত “ মানুষ গড়ার কারিগর এর কান্ড” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের যে বক্তব্যটি প্রকাশিত হয়েছে- তা তিনি গত ২২ মে /২০২১ ইং বিদ্যালয়ের ষ্টাফ মিটিংএ তার নামে প্রকাশিত বক্তব্যটি অস্বীকার করেন।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |