আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৫০
সখিপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরও নিয়োগ পত্র পাচ্ছেন না তিন প্রার্থী। নিয়োগপত্র প্রদানের দাবিতে বুধবার(১৪ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার সময় সখিপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই তিন প্রাথী। নির্বাচিতদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো.সোলায়মান,এসময় নির্বাচিত অন্যান্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। মহানন্দপুর বিজয় স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ৯ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে নিয়োগ বোর্ড অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দান করার সুপারিশ করেন-বেড়ীখোলা নিবাসী মোঃ মোস্তফার ছেলে মোঃ সোলায়মানকে,আয়া হিসেবে নিয়োগে সুপারিশ দেন মহানন্দপুর কাঁচামাল ব্যবসায়ী মতিউরের মেয়ে মিতা আক্তার এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে সুপারিশ করা হয় কাহারতা রামখা পাড়া নিবাসী মোঃ ইব্রাহীমের ছেলে মোঃ ই¯্রাফিলকে। নিয়োগ বোর্ড সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এই তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করে সকল প্রার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও কমিটিবৃন্দের সামনে ফলাফল ঘোষনা করেন। কিন্তু পরের দিন হতেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হক। তিনি তার বাহামভুক্ত কমিটির কয়েকজনকে নিয়ে গত ১২/১২/২২ইং তারিখে জরুরী মিটিং করে রেজুলেশন খাতায় জোড় করে স্বাক্ষর নিয়েছেন। এ ব্যাপারে কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ লেবু মিয়া বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সুন্দর পরিবেশে হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়মের ছোয়া লাগেনী এবং ছলনার আশ্র্রয়ও নেয়া হয়নি। তাই নিযোগ যা হয়েছে তার কোন কারণ ছাড়া বাতিল করা অনৈতিক কাজ তাই আমরা বাতিলের বিপক্ষে। প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, নিযোগ প্রক্রিয়া সুন্দর ভাবে এবং অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে শেষ হয়েছে,বাতিল করার জন্য চাপ আছে তবে আমি বাতিলের পক্ষে নই। কারণ নিয়োগ পরীক্ষায় কোন ছল-চাতুরীর আশ্রয় নেয়া হয়নি। রেড়ীখোলা নিবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক সদস্য বলেন, এ নাটক সভাপতির নতুন নয়, তিনি পূর্বেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সেটা বাতিল করেছিলেন। ্এতে তার কিছু অনৈতিক লেন-দেন কাজ করে। বেড়ীখোলার একজন সদস্য তিনিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, আমাকে টাকা দিয়ে ওই সময় মোহাম্মদের নিয়োগ বাতিলের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিয়ে ছিলেন ওই সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হক। আর একজন অভিভাবক সদস্য বলেন, প্রধান শিক্ষক সেই সময় বিদ্যালয় থেকে নেন নাই কারণ দূরে থেকে নিয়েছেন, এখন আবার পরিচ্ছন্নতাকর্মী তার একান্ত কাছের লোক নেওয়ার জন্য তিনি মরিয়া হযে উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি পরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অনেক সমালোচনা কুড়িয়েছেন। কারণ অনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে তিনি নিয়োগ দান করেছিলেন। অভিভাবক সদস্য হায়দার আলী বলেন-আমি একদিনে যে টাকা কামাই করি তা দিয়ে খুবই ভাল চলি। আমি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করলে কোন রেজুলেশনে স্বাক্ষর দিবনা। কারণ আমি সদস্য হয়েছি ঘুষ দুর্নীতি করার জন্য নয়। যারা নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে দ্রæত নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমিও সুপারিশ করলাম।
বাসারচালার এক অভিাভক সদস্য বলেন-মহানন্দপুর নিয়োগ নিয়ে বহু নাটক ইতিপূর্বে ওই সামছুল হক করেছে- গত ০৪/১১/২০১৫ইং তারিখে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী সকলের চেয়ে বেশী নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডিজির প্রতিনিধিসহ সকলেই নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করেন এবং নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেন। কিন্তু কয়েকদিন পর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ওই সময় সেই মোহাম্মদ আলীকে নিয়োগ দেয়নি এবং পরে সে নিজে সভাপতি হয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন,তা নিয়েও রয়েছে অনেক সমালোচনা ।
উক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষমতার দাপটে তার দুই কন্যা বাপের স্কুলে চাকুরী করেন বলে বলে বেড়ায়। মহানন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আমিনুল হককে অনৈতিকভাবে সরিয়ে ঐ সময় সামছুলক হক এর মেয়ে আমিনাকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করালে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন ধরণের আন্দোলন করে বলে জানা যায়। ওই সামছুল হক এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আজীবন সভাপতি, একবার সভাপতি হয়েছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কিন্তু সেই সময় এ প্রধান শিক্ষক সভাপতিকে কোন প্রকার পাত্তাই দেন নাই। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে সামছুল হকের এ সব কার্যকলাপে। বাসারচালা ও বেড়ীখোলার অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের মহানন্দপুর মুখী করা যাচ্ছে না। সামছুল হকের একক স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ধবংশের দ্বারপ্রান্তে । বেড়ীখোলার একজন মাতাব্বর বলেন-আমি সামছুলকে চিনি; নিজের স্বার্থ ছাড়া সে কিছু বুঝেনা। তবে এবার এই নিয়োগ বাতিল হলে বেড়ীখোলার ৫০% শিক্ষার্থী, বারখুটিয়ার শিক্ষার্থী এবং বাসার চালার একজন শিক্ষার্থীও আমরা মহানন্দপুর স্কুলে পাঠাবো না, প্রয়োজনে বেড়ীখোলায় হাই স্কুল চালু করবো। সরকারী ঘোষনা আছে, অনিয়ম ও দুর্নীতি করলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির পদ বাতিল করবে সরকার। তাই এ রকম দুর্নীতিবাজ কমিটির সভাপতি পদ বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর জোড় দাবী জানিয়েছেন।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |