সখিপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:=সখিপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে শনিবার বিকালে এক কৃষি উদ্যোক্তা মোফাজ্জল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা যায়,টাঙ্গাইলের সখিপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোফাজ্জল হোসেন গত ৫ বছর পূর্বে সখিপুরের কচুয়া গ্রামের দেওয়ান মোজাম্মেল হক পিতামৃত দেওয়ান দুলাল উদ্দিন এর ৫ ভাই মিলে মোফাজ্ঝলকে লেবু বাগান সৃজনের জন্য ৫ বছর মেয়াদে ২১০ শতাংশ জমি যার এস.এ দাগনং ২৭৩৮,বি.এস.দাগ,৩৭৩৬ কান্দা লীজ দেওয়া হয়, এই মর্মে ৫ বছর পর আবার পুনরায় ৫ বছর লীজ বৃদ্ধি করা হবে। জমিটি রেকর্ডকৃত বলে লীজ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে জানতে পারে তা বনভুমির জমি। উক্ত জমিতে লেবু বাগান সৃজন করার ৫ বছর পর পুনরায় ৫ বছরের জন্য নবায়ন করতে গেলে তারা জানায় লীজকৃত উক্ত জমির ৬০ শতাংশ জমি আবু হানিফের নিকট বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এখন আর নবায়ন করা সম্ভব নয়। মোফাজ্ঝল জানায় তার গাছ প্রতি ২০০০/-টাকা খরচ হয়েছে। এতে মোট খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। বর্তমানে গাছে ফলন আসা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া লেবু বাগানে ৫০ হাজার কলম দেওয়া হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। আগামী ৫ বছর নিয়মিত ফলন আসলে এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্মুখিন না হলে সে ঋণ পরিশোধ করে লাভবান হতে পারবে।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি তেমন লেখা পড়া করতে পারি নাই। কাগজ পত্র সম্পর্কেও কোন ধারণা নাই। দেওয়ান বাড়ীর লোকজনের প্রতি আমার অঘাত বিশ^াস থাকায় তারা যে ভাবে বলেছে, সে ভাবেই বিশ^াস করে কাজ করেছি। পরবর্তীতে জানতে পারি ৩৭৩৬ দাগে বন বিভাগের জমি রয়েছে প্রায় ৮শত শতাংশ্ । আমাকে সহজ সরল, অসহায় ও অশিক্ষিত পেয়ে বন বিভাগের জমিকে রেকর্ড বলে তারা আমার সাথে প্রতারনা করেছে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন শালিস দরবার করার পর ১১০ শতাংশ জমি পুনরায় ৫ বছরের জন্য তারা নবায়ন করে দিয়েছে। বাকী ১০০ শতাংশ জমিতে সৃজিত লেবু গাছ কেটে ফেলার জন্য পায়তারা করছে এবং জান্নাতুল লেমন গার্ডেনএর সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে দেওয়ান লেমন গার্ডেন এর সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন মাধ্যমে মোফাজ্ঝলকে প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে এবং বাগানটি জোর পূর্বক জবর দখল করেছে বলে জানা যায়্ । ফলে মোাফাজ্ঝলের লাখ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। লেবু বাগানটি বেদখল করে তারা বস্তায় বস্তায় লেবু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদের লেবু বাগান সম্পর্কে সম্যক ধারনা না থাকায় লেবু তুলতে গিয়ে বাগান বিনষ্ট করছে ও বাগান থেকে সময়মত লেবু না তুলার কারণে অধিকাংশ লেবু পেঁকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি উপায়ান্তর না পেয়ে বাগান রক্ষার্থে মোকাম টাঙ্গাইলের অতিঃ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি (মোকদ্দমানং ৪৫৯/২০২১ ধারা ফৌঃ কার্যঃ আইনের ১৪৪ ধারা) এবং মোকাম টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খ-অঞ্চল আদালতে একটি (মোকদ্দমা নং ৬০৫/২০২১ ধারা ফৌঃ কার্যঃ আইনের ১০৭/১১৭(গ) ২টি মামলা দায়ের করেছি।
এবং আমি আপনাদের কাছে এসে আজ সংবাদ সম্মেলন করছি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি সাংবাদিকগণের উদ্যেশে বলেন, আপনারা জাতীর বিবেক, আপনারা সব সময় অসহায়,দরিদ্র,নির্যাতিত,নিষ্পেশিত ব্যক্তির পক্ষে ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকেন। টাকার নিকট কখনো বিক্রি হন না। দেওয়ান বাড়ীর লোকজন টাকার বিনিময়ে এলাকার মাতাব্বরদের ক্রয় করে ফেলেছে। এখন আপনারাই আমার আশা ভরসা। আমার অঘাত বিশ^াস আমার প্রানের চেয়ে প্রিয় সন্তান তুল্য লেবু বাগানটি রক্ষা করে আমাকে আত্মহত্যার পথ রোধ করবেন। আপনারাই আমার শেষ ভরসা।
কৃষি বান্ধব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার প্রতি এ অবিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার লেবু বাগানের ক্ষতি হলে আমি নিঃশ^ হয়ে পথে বসে যাব,তখন আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।