আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:৫৪
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:- আর মাত্র কদিন পরই ১২সেপ্টেম্বর খুলছে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। চলছে ধোয়ামোছাসহ নানা প্রস্তুতিমূলক শেষের দিকের কাজ । তবে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৯টি বিদ্যালয়ে দপ্তরি নেই। এ অবস্থায় কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই নেমে গেছেন বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করার অভিযানে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি ঘোষণার পর থেকে উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৭টি মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি কলেজ (উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত) খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।গতকাল উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের চাম্বলতলা, বেলতলী ধলীপাড়া, দেবলচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছা করছেন।
চাম্বলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছে। এর মধ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। সহকারী শিক্ষক শেফালী আক্তার বলেন, ‘আমরা নিজেরাই বালতিতে পানি নিয়ে বেঞ্চ পরিষ্কার করছি। শ্রেণিকক্ষ ও আঙিনা ঝাড়ু দিয়েছি। তবে ঝোপঝাড় পরিষ্কারের জন্য দুজন শ্রমিক নেওয়া হয়েছিল।’ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিনা আক্তার বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লকের (শৌচাগারে) কাজ চলছে। করোনার কারণে এক বছর ধরে ঠিকাদার কাজ করছে না। ফলে স্কুল খুললে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাশের গৃহস্থ বাড়িতে যেতে হবে। করোনার সময়ে এটা একটা সমস্যা।
বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে চারজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিচ্ছেন। শিক্ষক কামরুননাহার বলেন, দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের নলকূপটি বিকল হয়ে আছে। দুদিনের ভেতর মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ৭৯টি বিদ্যালয়ে দ্রুত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রার মেশিন ও একটি আলাদা আইসোলেশন কক্ষ ঠিক করে রেখেছেন। স্কুল খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম চালানো হবে।
সখিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রাখতে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী না থাকার বিষয়টি জানানো হয়েছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লোক নেই, তাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। স্কুল খোলার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |