আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২৩
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে।সখিপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আতাউল হক বিগত ১১নবেম্বর/২০১৮ইং যোগদান করার পর থেকেই অফিসে অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে। এ যেন অনিয়ম-দুর্নীতির অভরায়ন্য।
আগামী ১৭ জুলাই টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া,বড়চওনা,হাতীবান্ধা,হতেয়া
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক মজনুর নির্দেশে অফিস সহকারী রাব্বীসহ অফিসের কর্মকর্তারা নির্ধারিত মনোনয়ন ফরম পূরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাপে ধাপে প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করছেন। ফরম পূরণের কথা বলে প্রতি প্রার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে ঘুষ নিচ্ছেন। সঠিকভাবে ফরম পূরণ করে দেওয়ার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে এ ঘুষ।
অভিযোগ রয়েছে এর আগেও উপজেলায় অনুষ্ঠিত কয়েকটি ইউপি নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়ম করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক মজনু। তিনি ওইসব নির্বাচনেও নানা ধরনের ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন। এ ছাড়াও ভোটকেন্দ্র দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের পছন্দমতো কেন্দ্রে নিয়োগের কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করার অভিযোগও রয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত কাজে গেলেই হতে হয় ভোগান্তির শিকার। এতে দূর-দূরান্তের লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, হারানো বা স্থানান্তরের আবেদন মানেই টাকা। চাহিদামতো মোটা অংকের টাকা না দিলে হয়রানি হতে হয়।অভিযোগ রয়েছে, এ অফিস থেকে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্রও বানিয়ে দেওয়া হয়। এ চক্রের অন্যতম হোতা হচ্ছে মোশারফ হোসেন। এই মোশারফ হোসেন নির্বাচন অফিসের একজন দালাল। তিনি প্রতিটি জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮-১০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন।সুযোগ বুঝে কোন কোন ক্ষেত্রে ২/৩ লাখ টাকাও ঘুষ নেওয়া হয়। তিনি নির্বাচন অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী না হলেও প্রতিনিয়ত তাকে ওই অফিসে পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে এ উপজেলার হাজারও সেবাপ্রত্যাশী। ভুক্তভোগীরা বিষয়টিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কালিয়া ও হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের একাধিক মেম্বার প্রার্থী বলেন, মনোনয়ন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে দিয়েছে। এজন্য তিন হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অফিসের রাব্বী ভাই আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়েছেন। আমরা মনোনয়ন ফরম পূরণে করলে যদি ভুল হয়। এই ভয়ে সঠিকভাবে পূরণ করার জন্যই মূলত টাকা দিয়েছি।সিডিআর,ভোটার তালিকার জন্য নিচ্ছে ৫হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়চওনা ইউনিয়নের একাধিক প্রার্থী বলেন, ভাই এগুলো জেনে কী করবেন। মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে ওরা তিন হাজার করে টাকা নিচ্ছে। এর থেকে একটি টাকাও কম নিচ্ছে না। দয়া করে আমাদের নাম পত্রিকায় লেইখেন না। ক্ষতি হতে পারে।
হাতীবান্ধা ইউনিয়নের সংরক্ষিত এক নারী সদস্য প্রার্থী জানান, আমরা কয়েকজন প্রার্থী মিলে একত্রে ওনাদের মনোনয়ন ফরম পূরণের টাকা দিব। দেখি কত কম দেওয়া যায়।
এদিকে কালিয়া ইউনিয়নের ঘোনারচালা গ্রামের একজন বলেন, আমার ছেলের জন্মনিবন্ধন বের হওয়ার পর আমি নির্বাচন অফিসে যাই আইডি কার্ড বানাতে। পরে সেখানে অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছি। কোনোভাবেই বানাতে পারলাম না। পরে টাকা দিয়ে দালাল মোশারফ মিয়ার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়েছি। উপজেলা নির্বাচন অফিসার নিয়মিত অফিস করেন না ,ঢাকা থেকে অফিসে ফোন করে খবর নেন কোন কাজে কত টাকা জমা হয়েছে,জানার পর রাতে এসে মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করে কাজগুলো করে পূনরায় ঢাকা চলে যান। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আতাউল হক মজনু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে কে কাকে টাকা দিয়েছে আমি জানি না। অফিসের কেউ জড়িত থাকলে বিষয়টি দেখা হবে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |