আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ২:৫৪
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি::-সরকারের ১নং খাস জমি দখল করে প্লাস্টিক কারখানা গড়ে তুলেছেন টাঙ্গাইলের সখিপুরের যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল ও তার ছোট ভাই খন্দকার মাসুম মিয়া। যাদবপুর ইউনিয়নের বেড়বাড়ী গ্রামের কলাবাগান এলাকায় ২১০১ নং দাগের এক একর জমি জবর-দখলে নিয়ে তারা এ কারখানাটি গড়ে তোলেছে। এ বিষয়ে ২১০১ নং দাগে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে ভূমিহীন হিসেবে বন্দোবস্ত পাওয়া আবদুল করিম ও তার সহোদর আবদুল আলীম টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। যার বন্দোবস্ত নং ১৫ ও ১৬, অর্থবছর ২০১৬-১৭। জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ। প্লাস্টিক কারখানাটি বন্দোবস্ত পাওয়া দুইটি বাড়ির ৪০ শতাংশ জমি ঘেঁষা। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি সরেজমিন তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী ওই সাবেক চেয়ারম্যানের একই দাগের সরকারি খাস জমিতে একটি ‘বাগান বাড়ি’ রয়েছে।
সরেজমিনে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেড়বাড়ি মৌজার ২১০১ নং দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ একর আট শতাংশ। ওই দাগে ব্যক্তি মালিকানা একাধিক খতিয়ান রয়েছে। ব্যক্তি খতিয়ানের ভূমি মালিকরা স্বত্ব অনুযায়ী নিয়মিত ভূমির খাজনা পরিশোধ করে দখলে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের জমি পরিত্যাক্ত থাকায় শালগজারি উজার করে টিলার মাটি কেটে রূপান্তরিত সমতল এক একর ৩০ শতাংশ জমিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই ওই প্লাস্টিক কারখানাটি গড়ে তুলেছেন।
ভূমিহীন বন্দোবস্ত গ্রহণকারী আবদুল আলীম বলেন, চেয়ারম্যান পরিবারের প্রভাবে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারখানার নামে শালগজারি ও টিলা কেটে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই সরকারের খাস জমি দখলে নিচ্ছেন। তারা গাছ, টিলা ও জমির দখল ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।মাহবুব নামে কারখানার এক অংশীদার জানান, আমরা কারখানাটি ভাড়ায় চালাচ্ছি। পুরনো বোতল সংগ্রহ করে ওই বোতলগুলো প্রক্রিয়াজাত করে অন্য কোম্পানিতে বিক্রি করি।
যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মাকসুদুজ্জামান জানান. বেড়বাড়ী মৌজার ২১০১ দাগে মোট জমির পরিমাণ ২০ একর আট শতাংশ। এরমধ্যে ব্যক্তি মালিকানা খতিয়ানে ৯ একর ৬০ শতাংশ জমির নিয়মিত খাজনা নেওয়া হচ্ছে। দাগের অবশিষ্ট কিছু জমি ব্যক্তি নামে খতিয়ানে থাকলেও দাগের বিপরীতে পরিমাণ উল্লেখ নেই। তবে দাগের বেশিরভাগ জমিই সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত। অভিযোগ অস্বীকার করে যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান বাবুল বলেন, পৈত্রিক ও দলিল সূত্রে প্রাপ্ত রেকর্ডীয় মালিকানা জমিতে প্লাস্টিক কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।
জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমি এ কর্মস্থলে নতুন যোগদান করেছি। ২১০১নং দাগের জমির জটিলতার বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত পরিমাপ করে সরকারি জমিসহ ব্যক্তি মালিকানা জমির সীমানা চিহ্নিত করা হবে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |