আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:০২
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে লেনেন ধৌত(ধোপার)বিল ও যন্ত্রপাতি মেরামতের নামে ৪লাখ ৩হাজার ৩শত ৮৬টাকা আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. আব্দুস সোবহান ও প্রধান সহকারি মিজানুর রহমান সমন্বয়ে এ টাকা আতœসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। গত অর্থবছর ও তার আগের অর্থবছরের বিল ভাউচারের পাঁচগুন বেশি ব্যবধান থাকায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ দিকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ক্যান্টিনের ভাড়া তোলা হয় কোন রশিদ বই ছাড়া। জানা যায়,সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০২০-২১ অর্থবছরে যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের দুই শতাংশ টাকা ব্যয় করার কথা থাকলেও তিন শতাংশ টাকা(৪লাখ ৩হাজার৩শত ৮৬টাকা)ভুয়া বিল ভাউচার করে উত্তোলন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান ও প্রধান অফিস সহকারি মিজানুর রহমান। এ কাজে তারা মো.মাহমুদ সরকার নামে এক ঠিকাদারের নাম ব্যবহার করেছেন। ১০৮ নম্বর ভাঊচারে ১টি ইলেকট্রিক অটোক্লেভ মেশিন ৮হাজার ৫শত টাকা,একটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন(এএমএস,কোরিয়া)১লাখ ১৩হাজার ৭শত টাকা,২টি ওটি লাইট ছোট(ডোম লাইট) ১১হাজার ৫শত টাকা,১টি ওটি লাইট াড়(ডোম লাইট) ১৭হাজার টাকা,২টি ওটি টেবিল সার্ভিসিং ২৬হাজার টাকা,২টি স্টেবিলাইজার ৬হাজার ৩শত ৮৬টাকা,২টি সেন্ট্রিফিউজ মেশিন(১২হেল) ২১হাজার টাকা,১টি ইসিজি মেশিন ১৩হাজার টাকা,২টি সকর মেশিন ৯হাজার ৫শত টাকা,১টি ডায়াথার্মি মেশিন ২১হাজার টাকা,১টি টি এক্স রে মেশিন ৪৫হাজার ৫শত টাকা,১টি ডেন্টাল চেয়ার ৪৯হাজার ২শত টাকা,২০টি রোগীর বেড ৪০হাজার টাকা,১টি কলোরিমিটার ৭হাজার টাকা,১টি মাইক্রোস্কোপ ৯হাজার ২শত টাকা,১টি ল্যাব বেটেটর ৪হাজার ৯শত টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার দেওয়া হয়। একটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন(এএমএস,কোরিয়া) মেরামত বাবদ ১লাখ ১৩হাজার ৭শত টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার দিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে। অথচ এ মেশিন নতুন ক্রয় করতে ৩লাখ ২৯হাজার টাকা লাগে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সিনিয়র নার্স ও ডাক্তার জানান দুইটি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সচল আছে,কোন অ্যানেসথেসিয়া মেশিন মেরামত করা হয়নি। সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ৩০টি বেড স্টকে থাকলেও ২০টি বেড মেরামতের নামে ভুয়া বিল ভাউচার করা হয়। এভাবে ১৬টি যন্ত্রপাতি ঠিক করার নামে ভুয়া বিল ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করা হলেও কোন যন্ত্রপাতি ঠিক করা হয়নি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা জানান। এদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অর্থবছরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লেনেন ধৌত (ধোপার) বিল ১২১নম্বর ভাউচার অনুয়ায়ী ২লাখ ১৯হাজার ৯শত ৫৭ টাকা করা হলেও ২০১৯ জুলাই থেকে ২০২০জুন অর্থবছরে ১২৫ নম্বর ভাউচার অনুযায়ী ১১লাখ ৪৪হাজার ৩৪ টাকা ধৌত বিল উত্তোলন করা হয়। যা ছিল আগের অর্থবছরের পাঁচগুন বেশি। আর এই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে মেসার্স মোস্তফা এন্টার প্রাইজ এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলাম মওলা বলেন, বিল-ভাউচারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে একটি ক্যান্টিন রয়েছে। প্রতি মাসে সেই ক্যান্টিন থেকে দুই হাজার টাকা ভাড়া তুলে নেন ইউএইচএফও ডাঃ আব্দুস সোবহান। ক্যান্টিনের ভাড়ার কোন রশিদ বই বা আয় ব্যয়ের কোন হিসাব নাই। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারি মো.মিজানুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধোপার বিলের বিষয়ে স্বাস্থ্য সহকারি আবু সাইদ মিয়া জানেন,বাকী বিল ভাউচার স্যার(ইউএইচএফও) এর নির্দেশ মোতাবেক করা হয়েছে। প্রধান অফিস সহকারি মিজানুর রহমান,অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে,দাপটের সহিত দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, সকল বিল-ভাউচার ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,চক্রান্ত চলছে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |