আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ২:৫৩
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহামা¥দ আব্দুস সোবহান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবার ঠিকাদারের নিকট থেকে কমিশন,করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালের স্টাফদের বিশেষ বরাদ্দের টাকা আতœসাৎ,সিএইচসিপি সভাপতি আমিনুল ইসলাম,সিএইচসিপি ইব্রাহীম আল-মামুন ( লিমন) সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেনিং,বিশেষ বরাদ্দের টাকা আতœসাৎ, সিএইচসিপি কালিয়ান নিয়মিত ক্লিনিকে না গিয়েও নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছে, বছরান্তে ভূয়া যন্ত্রপাতি মেরামতের নামে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ,হাসপাতাল কোয়ার্টারে বিনা বরাদ্দে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বসবাসের সুযোগ, অবৈধভাবে হাসপাতাল বাউন্ডারির ভিতরের গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি,পুকুরে মাছ চাষ,ডিএসএফ এর টাকা আতœসাৎ, আসবাবপত্র ক্রয় যার কোড নং আউটসোর্সিংয়ের টাকা আতœসাৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনের জন্য একটি প্রাইভেট কার থাকলেও তা তিনি নিজের ব্যক্তিগত কাজে নিয়মিত ব্যবহার করে আসছেন,আল্ট্রাসোনোগ্রাম বাক্স বন্ধি,এক্সরে মেশিন জেনারেটর বিকল, চিকিৎসক সংকট অবৈধভাবে ক্লিনিকে কমিশন ভিত্তিতে রোগি প্রেরণ, হাসপাতালের বাউন্ডারী ভিতরে অবস্থিত ক্যান্টিন থেকে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজের পকেটস্থ করণসহ অসংখ্য অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহামা¥দ আব্দুস সোবহান এর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তিনি ৩০ জুন/২১ইং রাতে সোনালী ব্যাংক লি: সখিপুর শাখায় উপস্থিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার ও স্টাফদের ৩৫ লাখ টাকার বিল আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান সহকারী মোঃ মিজানুর রহমান আত্মসাতের বিষয়টি টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের স্টেনো আব্দুর রাজ্জাককে মোবাইল ফোনে জানালে তার কিছুক্ষণ পরেই সিভিল সার্জন ইউএইচওকে ফোন দিলে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করতে পারেননি। তবে হাসপাতালে এসে কয়েকজন স্টাফের উপস্থিতিতে ৫লাখ টাকার মধ্যে হতে ৫ লাখ টাকা নিয়ে টাঙ্গাইল তার বাসায় চলে যান। ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান সহকারী মোঃ মিজানুর রহমান। এছাড়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিজানুর রহমান ও ইউএইচও’র সাথে মাঝে-মধ্যেই তুমুল ঝগড়া হয়। হাসপাতাল কোয়ার্টারের একটি কক্ষও খালি নেই,অথচ অফিসিয়ালি খালি দেখিয়ে কোয়ার্টারের ভাড়া ও করোনা ভ্যাকসিনের জন্য ২০০/৩০০ টাকা ইউএইচও নিজের পকেটস্থ করার অভিযোগ রয়েছে। সিএইচসিপি সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সিএইচসিপি ইব্রাহীম আল-মামুন (লিমন)এর সাথে ইউএইচও মুহামা¥দ আব্দুস সোবহানের আত্মীয়তার পরিচয় সুবাধে হাসপাতালে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উৎকোচের বিনিময়ে সিএইচসিপিদের ট্রেনিংসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। উপজেলার কালিয়ান কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি লায়লা আক্তার দীর্ঘদিন যাবত ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না। অথচ নিয়মিত মাসিক বেতনসহ অন্যান্য ভাতাদি উত্তোলন করছেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জনৈক এক সাংবাদিককে সিএইচসিপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম কয়েক হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছে বলে জানা যায়। এমনকি আমিনুল ইসলাম চারিবাইদা সিসিতে নিয়মিত না গিয়ে সারাদিন সখিপুর হাসপাতালের ইউএইচএফও’র সাথে দালালীতে মত্ত থাকে। কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনের জন্য ইউএইচএফওকে একটি প্রাইভেট কার(ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৮-৫৫৭০) দেওয়া হয়েছে। তিনি গাড়িটি অফিসিয়াল কাজ বাদ দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।এর জ¦লন্ত প্রমাণ জুন ক্লোজিংয়ের হিসাবান্তে গাড়ীর মিটারের গড়মিল রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগিদের খাবারের বিল উত্তোলন করার সময় মোটা অংকের কমিশন না দিলে ফাইলে সই করেন না বলে ঠিকাদার খান রফিক জানায়। সখিপুর হাসপাতালের আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিন দীর্ঘদিন যাবত বাক্স বন্ধি রয়েছে, এক্স-রে মেশিন বিকল, গাইনি সহ চিকিৎসক সংকট । এ সব বিষয়ে তিনি প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং কমিশন ভিত্তিতে হাসপাতালের আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগি পাঠিয়ে দেন। হাসপাতালের বাউন্ডারীর ভিতরে অবস্থিত গাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রি করে দিয়েছেন,পুকুরে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন, ক্যান্টিন থেকে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজের পকেটস্থ করেন ইউএইচএফও। অথচ এ টাকা হাসপাতাল মসজিদে জমা হওয়ার কথা। তিনি মসজিদ ফান্ডে জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন। করোনাকালীন সময়ে হাসপাতালের ডাক্তার,স্টাফ ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার, স্টাফ এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ,স্টাফদের বিশেষ বরাদ্দের টাকা আসলেও তিনি কাউকে না দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার এসব কাজের সহযোগিতা করে থাকেন স্থানীয় কয়েকজন ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক। আত্মসাৎকৃত টাকা দিয়ে তিনি টাঙ্গাইলে ৬৫ লাখ টাকায় ফ্য¬াটবাসা ক্রয় করেছেন,টাঙ্গাইল প্রকৌশলী অফিসের সামনে টিনসেট বিল্ডিংসহ ২০শতাংশ জমি ক্রয় করেছে এবং আরো কয়েক জায়গায়,ব্যাংকে নামে-বেনামে অঢেল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে। তার বাড়ী উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্র। তিনি প্রায়ঃশই দাম্ভিকতার সহিত বলে বেড়ান আমার এসব দুর্নীতির কেউ কিছু করতে পারবেনা। আমার বাড়ী সখিপুরে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় শিবিরের ক্যাডার ছিলাম,কোমরে সব সময় দুইটি করে পিস্তল থাকত, পিস্তল জমা দিয়েছি কিন্তু ট্রেনিং জমা দেইনি। এতো অনিয়ম-দুর্নীতির পরও অজ্ঞাতকারনে তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল কাদেরকে মানিকগঞ্জ,স্বাস্থ্য সহকারি আবু সাইদ মিয়াকে ধনবাড়িতে বদলি করেছেন এবং বেতন-ভাতাদি উত্তোলনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি প্রধান সহকারি মিজানুর রহমানকে দেলদুয়ার বদলি করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহামা¥দ আব্দুস সোবহান এর নিকট তার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এগুলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহামা¥দ আব্দুস সোবহান এর বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা ও এলাকাবাসী।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |