- প্রচ্ছদ
-
- প্রধান খবর
- সাংবাদিক আতাউস সামাদের স্মরণ সভায় ড. কামালঃ স্বৈরাচার রুখে দাঁড়াতে হবে, জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে
সাংবাদিক আতাউস সামাদের স্মরণ সভায় ড. কামালঃ স্বৈরাচার রুখে দাঁড়াতে হবে, জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
বিডি দিনকাল ডেস্ক : ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা স্বৈরাচার তারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১০তম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণ সভায় তিনি একথা বলেন।সাংবাদিক আতাউস আমাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী উপস্থাপন করেন সাংবাদিক শামীমা চৌধুরী।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ গোলাম রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক সোহরাব হাসান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, রয়টার্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবিএম রফিকুর রহমান, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক এ কে এম মহাসিন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্র যখন হুমকির মুখে ছিল তখন গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য আতাউস সামাদ সাহেব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য কথা বলেছেন। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন। তার আদর্শ এবং ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখলে সৎ সাংবাদিকতা নিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্র এবং কথা বলার অধিকার আদায় করতে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। উচিত কথা বলা এবং সত্যকে বাঁচিয়ে রাখতে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ গোলাম রহমান বরেণ্য সাংবাদিক সমাজের জীবনী বর্ণনা দিয়ে বলেন, আতাউস সামাদ নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান ছিলেন। সমাজের সচেতন ব্যক্তি তিনি বাংলাদেশের উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক কবি সোহরাব হাসান বলেন,আতাউস সামাদ সাংবাদিকতাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার তিনি একজন দিকপাল। আজ দুঃখ হয় দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আতাউস সামাদ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছে। বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদকে প্রথম পরিচয় থেকে তার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত দেখেছি, তিনি ছিলেন সৎ। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃত ছিলেন। আবেগ দ্বারা তাড়িত হতেন না। ঘটনার ভেতরের ঘটনা বের করে আনতে পারতেন।
তাঁর কোনো প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক হয়নি, তিনি জীবনভর সুনাম বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন।
এম আবদুল্লাহ বলেন,সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য কখনও আপোস করতেন না।
তিনি যেভাবে প্রতিবেদন তৈরি করতেন তা সত্যিই অনুকরণীয়। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আতাউস সামাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথা ভাবতেন। এজন্য তাঁর সাংবাদিকতা, প্রতিবেদন তৈরি ও কাজে দেশপ্রেম ফুটে উঠত। সব সময় সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তাছাড়া সাংবাদিকতা মানেই প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু তিনি নিজেকে কখনও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আটকে রাখতে চাননি। সব কিছুর পরেও সঠিক কাজটি করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন তিনি।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আতাউস সামাদ ছিলেন সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। তিনি ছিলেন সাংবাদিকতার মহীরুহ। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গনতন্ত্রের খাঁটি ‘সতর্ক প্রহরী’। তিনি অন্যের মাধ্যমে প্রভাবিত বা আবেগ দ্বারা তাড়িত হতেন না। ‘সত্যনিষ্ঠ’ সাংবাদিক বলতে যা বোঝায়, সেটিই ছিলেন তিনি। ঘটনার ভেতরের ঘটনা বের করে আনতে পারতেন। সামাদ স্যার সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতাকে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতেন। কোনো বিষয়ে খটকা লাগলে তিনি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লিখতেন না। সব কিছু নিখুঁতভাবে করতে চাইতেন তিনি। কাজের ক্ষেত্রে তিনি শতভাগ সচেতন থাকতেন৷ তার অভিধানে ফাঁকিবাজি বলে কোন শব্দ ছিলনা। তাই তার সাংবাদিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে নি। সবার কাছে অন্য ধরণের গ্রহণযোগ্যতা ছিল তার।
আতাউস সামাদ একটা মুল্যবান কথা বলতেন। তিনি বলতেন ‘গণতন্ত্র আছে, সাংবাদিকতা আছে; গণতন্ত্র নেই, সাংবাদিকতা নেই’। এই দৃঢ় বিশ্বাস থেকে তিনি সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। তাঁর একথা যে কত সত্য তা আজ গণতন্ত্রহীনতার এসময়ে আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতেন। মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য তিনি আজীবন লড়াই করে গেছেন। সাংবাদিকদের দাবি আদায়ের জন্যও কাজ করেছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়েছেন। এদেশের মানুষ বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, মূল্যবোধ ও পাণ্ডিত্যের জন্য সারাজীবন আতাউস সামাদকে স্মরণ করতে হবে।
সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, আতাউস সামাদ স্যারের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তিনি গণমাধ্যমের যেকোনো সঙ্কট ও দুঃসময়ে সবার আগে এগিয়ে এসেছেন। অসাংবিধানিক সরকার, স্বৈরশাসন, ফ্যাসিবাদের দিনগুলোতে দৈনিক আমার দেশ ও এনটিভিকে বাঁচিয়ে রাখার কঠিন সংগ্রামে তিনি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন।চরম বিপদের মুখেও এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাংবাদিকদের আগলে রেখেছেন পরম আদরে। হুমকিকে তিনি পরোয়াই করেননি কখনো।
তিনি বলেন, আতাউস সামাদ স্যার অনেক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম রিপোর্টার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক হিসেবে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ঢাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের নানা কাজে সহায়তা করেন
আতাউস সামাদ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নিউজ-এর সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন মার্শাল ল’ চলাকালীন ১৯৮২ সালের অক্টোবর থেকে। তার সাহসী বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টগুলো সামরিক সরকারের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ছিল অস্বস্তিদায়ক ও বিব্রতকর। এসময় বিবিসি ‘হাসিনা অন্তরীণ : খালেদা আত্মগোপনে : জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের হুঁশিয়ারি’ এবং ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি’ শিরোনামে দু’টি প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। নিরাপত্তার খাতিরে তাকে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। আত্মগোপনে থেকেও তিনি নিয়মিত বিবিসিকে আসন্ন গণঅভ্যুত্থান ও সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্যাবলি জোগান দেন। ১৯৮৭ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ১৯৯৪-৯৫ সালে নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে দুই নেত্রীকে আলোচনায় বসানোর প্রচেষ্টায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো।
আতাউস সামাদের সবচেয়ে বড়গুন ছিল তিনি পেশাদারিত্বের সাথে আপস করেননি। তিনি ‘সত্যকে সত্য, মিথ্যাকে মিথ্যা’; ‘সাদাকে সাদা, কালোকে কালো’ বলতে পারতেন। তাই শেষ দিকে এসে সুবিধাবাদীদের অনেকেই উনাকে আর পছন্দ করলেন না।
মুক্তিযুদ্ধে তিনি ও তার পরিবার সক্রিয় অংশ নিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতা, ভিন্নমত পোষণ ও প্রকাশের নির্বিঘ্ন অধিকারের পক্ষে তাবৎ আন্দোলনেই অংশ নিয়েছেন। আবার গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনের সময় দুই নেত্রীর সঙ্গে মধ্যস্থতা বিষয়ে পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের কমিটির একজন ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে মিছিল করেছেন।
অনেক রিপোর্টার প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর তটস্থ থাকতেন- এই বুঝি আতাউস সামাদের প্রেরণামূলক, শিক্ষামূলক বা ভর্ৎসনামূলক ফোন এলো! বিবিসি রেডিওতে সাদামাটা বা কাঠ কাঠ রিপোর্ট করেছেন। কিন্তু বিশ্লেষণীয় বক্তব্য বা রচনায় তার জুড়ি মেলা ভার। প্রতিবেদন বা রচনার শরীরে চুমকি বসানোর ঘোরতর বিরোধী। দেশ এবং সাধারণ মানুষ তার মন-মগজে ছিলেন সর্বক্ষণ।তিনি একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।যার ধারে কাছেই আমরা নেই। দেশের ক্ষমতাশালীদের সংবাদ সন্মেলনে সংশ্লিষ্ট বিটের সাংবাদিকদের না পাঠিয়ে স্বয়ং সম্পাদকদের উপস্থিত হওয়া এবং সংকট নিয়ে কথা না বলে স্তুতি গাওয়াকে মোটেও পছন্দ করতেন না তিনি। এক্ষেত্রে ‘তৈলমর্দনকারী সম্পাদক খ্যাত’ একজনের উপর তিনি খুবই বিরক্ত ছিলেন।
সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ এবং একজন খাঁটি ওয়াচডগ (সতর্ক প্রহরী)। তার ডাকনাম ছিল খোকন। মানুষ হিসেবেও তিনি ছিলেন খোকনের মতোই সহজ, সরল, প্রাণখোলা।
বরেণ্য এ সাংবাদিক ছিলেন সবসময় ‘সত্যের’ পক্ষে। মানুষের পক্ষে। গণতন্ত্রের পক্ষে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের পক্ষে। সততা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় তিনি এ দেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সৎ সাংবাদিকতার পথিকৃত ছিলেন, অন্যের দ্বারা প্রভাবিত বা আবেগ দ্বারা তাড়িত হতেন না তিনি। ঘটনার ভেতরের ঘটনা বের করে আনতে পারতেন।
মাথা থেকে পা পর্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন আতাউস সামাদ। অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় আতাউস সামাদের জুড়ি ছিল না। তার কোনো প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক হয়নি, তিনি জীবনভর সুনাম বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন।
সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য কখনও আপস করতেন না।
জাতির প্রতিটি সঙ্কটকালে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
আতাউস সামাদ সাংবাদিকতার শিক্ষক ছিলেন l তার অকুতোভয় ও সাহসী লেখনী বাংলাদেশের মানুষ সারাজীবন মনে রাখবে।
সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, ১৯৫৯ সালে সাংবাদিকতা শুরু করার পর আতাউস সামাদকে তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছিল সামরিক ও স্বৈরশাসনের অধীনে। প্রথমে (১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত) পাকিস্তানের তথাকথিত ‘লৌহ মানব’ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের এবং পরবর্তীকালে (১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে। শ্বাসরুদ্ধকর সেই বছরগুলোতে দুর্দান্ত সাহসী ছিল আতাউস সামাদের ভূমিকা। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দারা বিরামহীনভাবে তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে, প্রলোভনও কম দেখানো হয়নি। কিন্তু ভয়-ভীতি বা প্রলোভন দেখিয়ে এবং প্রচণ্ড মানসিক নির্যাতন চালিয়েও তাকে সত্য প্রকাশ থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি। জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি এমনকি গ্রেফতারও বরণ করেছেন। ১৯৮০-র দশকের ওই দিনগুলোতে মানুষ আতাউস সামাদ এবং গিয়াস কামাল চৌধুরীর পাঠানো খবর শোনার জন্য সাগ্রহে রেডিও খুলে বসে থাকত।মাল
Please follow and like us:
20 20