- প্রচ্ছদ
-
- অপরাধ
- সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৪শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ; গ্রেফতার-২
সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৪শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ; গ্রেফতার-২
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০২০ ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : সাভারের পৃথকস্থানে চার শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সাহা।
জিয়াউল ইসলাম জিয়ার বিরুদ্ধে তারই অসুস্থ কন্যা সন্তানকে ও হেলাল উদ্দিনকে একই সময়ে ৩ শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভারের নামাগেন্ডা মাদ্রাসা মোড় এলাকা থেকে জিয়াউল ইসলাম জিয়া (৩৫) ও রাত ১২টার দিকে আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিন শেখ (৫৭) কে গ্রেফতার করে সাভার ও আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হেলাল উদ্দিন শেখ ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ছোয়ানী রসুলপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে পোশাক শ্রমিকদের বাসা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অপরজন জিয়াউল ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন চৌধুরীপাড়া ভক্তিপুর এলাকার খলিল উদ্দিনের ছেলে। সে মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর বাবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকায় জমজ দুই কন্যা শিশুসহ হেলাল উদ্দিন শেখের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন ভুক্তভোগীর বাবা মা। পোশাক কারখানায় কাজ করায় শিশু সন্তান দিনে বাসায় একাই থাকতো। বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগে ৬ অক্টোবর কোমল পানীয় মজো কিনে দেওয়ার কথা বলে জমজ দুই শিশুসহ প্রতিবেশী আরো এক শিশুকে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শিশুর বাবা মা ফিরে আসলে ঘটনা বলে দেয় তারা। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে ভুক্তভোগীদের। একই সাথে ভয়ে দুই দিন মুখ খোলার সাহস পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। পরে সচেতন এলাকাবাসী ‘৯৯৯’ এ কল করে ঘটনা খুলে বললে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
অন্যদিকে সাভারের নামা গেন্ডা মাদ্রাসা মোড় এলাকায় ভুক্তভোগীর মা গত ৫ অক্টোবর অসুস্থ শিশুকে (১২) বাসায় রেখে কারখানায় কাজে যায়। এ সময় স্বামী জিয়াউল ইসলাম মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। বিকেল ৫টার দিকে কাজ থেকে মা বাসায় ফিরে এলে মেয়ে ঘটনা বলে দেয়। পরে থানায় অভিযোগ দিলে ৮ অক্টোবর বিকেলে তাকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জয়ন্ত কুমার জানান, গত ৬ অক্টোবর এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় দুই দিন। তবে দুই দিন পরে হলেও ৯৯৯ এ কেউ ফোন করে ঘটনা জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Please follow and like us:
20 20