আজ মঙ্গলবার | ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৭ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:১৫
নজরুল ইসলাম মানিক, সাভার ও আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ জলবায়ু পরিবর্তনে বনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বন রক্ষার্থে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে নানা প্রদক্ষেপ।
বন রক্ষার্থে প্রত্যেকটা বিট অফিসে একজন বিট অফিসার সহ বেশ কয়েজন কর্মচারী রাখা হয়েছে সরকারি বেতনে । এরপরও কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন সাভার সাব বন বিট অফিস এলাকায় বনের জমি দখল নিয়ে চলছে চোর পুলিশ খেলা।
রবিবার (১৯ মে) ২০২৪ ইং তারিখ সাভার উপজেলার ছোট কালিয়াকৈর এলাকায় গেলে মেলে এমন দৃশ্য,বনের জমি দখল করে মিল ফ্যাক্টরি, বাড়ি-ঘর নির্মাণ, ভার্সিটি নির্মাণসহ গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা।
আবার নিজ জমিতে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে গেলে উক্ত স্থানে বনের জমি আছে বলে দেওয়া হচ্ছে বাঁধা এমনটাও জানিয়েছেন অনেকে। এ বিষয়ে এলাকায় ঘুরে জানা যায় বনের পাশে জমি থাকলেই বাড়ি ঘর নির্মাণ করতে হলে থাকতে হবে ডিমারগেশন। আবার দালালদের মাধ্যমে টাকা দিলেই লাগছে না ডিমারগেশন।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকমান হাজী নামে এক ব্যক্তি বলেন, “ইতিপূর্বে ইয়াসিন নামে এক দালালের মাধ্যমে বন বিট অফিসে টাকা পয়সা দিয়ে দীর্ঘদিন যাব লেবু ও বড়ই বাগান করে চাষাবাদ করে আসছি এবং উক্ত জমির পাশেই আমার চার রেকর্ড ভুক্ত মালিকানা জমির রয়েছে এবং সেখানে আমার একটি কারখানা রয়েছে। বর্তমানে ইয়াসিনের কথায় সাভার সাব বিট অফিসের নতুন অফিসার মহিদুর রহমান (জয়) এসে আমার কারখানা যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এবিষয়ে আমি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে ইয়াসিন আবারও টাকা দাবি করছে আমি টাকা না দেওয়ার কারণে আমার উক্ত জমিতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে বিট অফিস কর্মকর্তারা।”
তিনি আরও জানান, ছোট কালিয়াকৈর স্থানীয় মসজিদ বন বিট এর জমি দাবী করে চাওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তবে এই টাকা চাওয়ার বিষয়ে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাভার বন বিট অফিসের একাধিক কর্মচারী বলেন, “ইয়াসিনের মতো দালালদের কারণে সরকারি বন বিটের জমি উদ্ধারে আমাদের জনবল কম থাকায় বেগ পোহাতে হচ্ছে। তাই আমরা তাদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পরেছি।”
এলাকাবাসী বলছেন টাকা দিয়ে বনের জমিতে গাছ পালা কেটে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ঘর-বাড়ি, মিল ফ্যাক্টরি সহ বিভিন্ন স্থাপনা,এ সকল বিষয়ে বন কর্মকর্তাদের চেয়ে বেশি ক্ষমতা দেখাচ্ছে দালালরা।এই এলাকায় রয়েছে কয়েকটি দালাল চক্র তাদের মাধ্যমে বনবিট কর্মকর্তাদের টাকা দিলেই করা যাচ্ছে ঘর, টাকা না দিলে বনের পাশে নিজস্ব জমিতেও উঠানো যাচ্ছেনা ঘর বাড়ি ।
তারা আরও বলছেন, নিজস্ব জমিতে বাড়িঘর করতে গেলে করতে হবে ডিমারগেশন , বর্তমানে আমরা বন কর্মকর্তাদের দালালদের জ্বালায় অতিষ্ঠ।
উক্ত অফিসের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইয়াসিন নামে এক দালাল তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় সাভার সাব বিট অফিস এমনটাই বলছেন অনেকে। এই অফিসের নাম বিক্রি করে ইয়াসিন নামক দালাল প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ইয়াসিন একজন খারাপ প্রকৃতির লোক তিনি মালিকানা জমি দেখিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন বন বিটের জমি।বন বিট অফিসের পক্ষ থেকে উক্ত জমি দখল বন্ধে বাঁধা প্রধান করলে তাদের হতে হয় হয়রানির শিকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার সাব বিট অফিসের বিট কর্মকর্তা মহিদুর রহমান (জয়) বলেন, “আমি চার মাস হয় এই বিট অফিসের দায়িত্বে আসছি। এখানে এসে আমরাও দালালদের কাছে অসহায় হয়ে পরেছি। শুনছি এক শ্রেণির দালাল চক্র আমাদের নাম বিক্রি করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে নিচ্ছেন টাকা। বনের জমিতে গড়ে তুলেছেন বাড়ি-ঘর সহ স্থাপনা। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে দোষী ব্যক্তিরা যেই হোক তার বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হবে আইনি ব্যবস্থা। এখানে স্থানীয় লোকমান হাজী নামে এক ব্যক্তি সরকারি জমি দখল করে রয়েছে ।এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধে চালাচ্ছে মিথ্যা এবং বানোয়াট অপপ্রচার এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মুলত লোকমান বনের প্রায় ৫ একর জমি দখল করে গড়ে তুলছে লেবু বাগান, বড়ই বাগান সহ কারখানা আমি সেই সরকারি জমি উদ্ধার করতে গিয়েছি এজন্যই আমার বিরুদ্ধে তিনি দিচ্ছেন বিভিন্ন অপবাদ। বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে বলে বেড়াচ্ছে আমি তার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়েছি, আসলে বিষয়টি দুঃখজনক। তবে আমাদের নাম যারা বিক্রি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে সেই সকল দালাল চক্রের বিষয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।
অনুসন্ধান চলছে,,,,,( পর্ব ১)
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:22 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:05 PM |
Asr | 3:07 PM |
Magrib | 5:27 PM |
Isha | 6:47 PM |