আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:১৮
মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা)প্রতিনিধিঃমে মাসের মধ্যে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে ।করোনভাইরাস নিয়ে এখনও কোনো ভালো খবর পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। সংক্রমণ কমার কোন লক্ষণও নেই। সামনে মহাবিপদ- এ রকম ইঙ্গিতই দিচ্ছে বিভিন্ন সমীক্ষা। বিশ্বে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এখনো শীর্ষে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড় দিনের উৎসবের কয়েক দিন পর দেশটির শীর্ষ বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউসি সতর্ক করে বলেছিলেন, করোনা সংক্রমণের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সম্ভবত এখনো দেখা যায়নি।
এ ঘটনা এটিই মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, করোনা নিয়ে আতঙ্কের ২০২০ সাল পার করে এলেও নতুন বছরের শুরুতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো অংশে এখনো এই মহামারি আগ্রাসী রূপে হানা দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, সামনে সবচেয়ে খারাপ সময় অপেক্ষা করছে। চলতি বছরের প্রথম মাসটি ছিল আরও বেদনাদায়ক। এই মাসে দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ৯০ হাজার ৮০০ মানুষ।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যানুযায়ী, গত ২ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, দুপুর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৭ জন। সেই হিসাবে শুধুমাত্র গত ৬৪ দিনে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ।
চলতি ভয়াবহতার মাঝেই ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন এক সমীক্ষা থেকে জানিয়েছে, আগামী মে মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে! আর আক্রান্ত হতে পারে ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
মহামারি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গার্সেটি বলেন, আমরা এখনো কঠিনতম ও ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনগুলোর দিকেই এগিয়ে চলেছি।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতাসম্পন্ন ইউকে ভ্যারিয়ান্ট ভাইরাসে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪শ’রও অধিক।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, মার্চ পর্যন্ত এই ভ্যারিয়ান্ট যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
এদিকে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের জেরে লন্ডন নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনার বৈজ্ঞানিক নাম ভিওসি ২০২০১২/০১। ব্রিটেনে চিহ্নিত হওয়া ধরণ বলেই লোকে একে বেশি চেনে। মাসখানেক আগে ব্রিটেনে প্রথম চিহ্নিত হয়েছে করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরন। অল্প সময়ের মধ্যেই তা বিশ্বের ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। এক সপ্তাহে আরও ১০টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
ভয়ের বিষয় একটাই, উহানে চিহ্নিত হওয়া পুরনো করোনা ধরনটির থেকে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। বহু ক্ষেত্রে তা দ্বিতীয় সংক্রমণের কারণ হিসেবেও ধরা পড়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকায় চিহ্নিত করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে অন্তত ৩১টি দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিও কম সংক্রামক নয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসন্তের শুরুতে করোনাভাইরাসের ব্রিটিশ ধরন আরও শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি। ব্রিটিশ ধরনটি আগামী মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুতে শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত ২৯ জানুয়ারি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফাউসি এমন মন্তব্য করেন।
গত বছর ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে প্রথম এই ধরন শনাক্ত হয়। পরে দ্রুত তা যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। নতুন এই ধরন নিয়ে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ব্রিটেনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে শুরু করে বিশ্বের বহু দেশ। ব্রিটিশ ধরনটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩৩টি অঙ্গরাজ্যে পাওয়া গেছে এবং এখন পর্যন্ত ৩১৫ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফাউসি।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |