আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২১
ঢাকা: সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা খালি থাকছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত কিছু দিনে সমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। আজ রোববার দুপুরে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত চীনের সিনোফার্মের তৈরি ৬ লাখ ভ্যাকসিনের চালানটি বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি। এটি নির্ভর করবে আবহাওয়া ও বিমানের উপর কিন্তু এটি এসে যাচ্ছে সেই আশাবাদ আমরা ব্যক্ত করতেই পারি।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারি থেকে হিসাব করলে এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে। জুনে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা খালি থাকছে না। গত কিছু দিনে আমরা খেয়াল করেছি, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। সেই জেলাগুলোকে তিনটি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম ক্লাস্টারে রয়েছে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর। সেখানে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় ক্লাস্টারে আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ। তৃতীয় ক্লাস্টারে রয়েছে সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা। এই জেলাগুলোতে হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা অনুরোধ করবো মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেই যেন প্রত্যেকে হাসপাতালে যান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে সংক্রমণের হার ১৪ শতাংশের বেশি ছিল। মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৯ আছে। ৫ থেকে ১১ জুন সারা দেশে ২৬ হাজার ১৬৬টি পরীক্ষা করা হয়েছে যা আগের সাত দিনের তুলনায় ১০ হাজারের বেশি। আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার জনের বেশি। পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ২৬ জন বেশি মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধির ক্ষেত্রে একটু মনোযোগী হলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক মৃত্যু আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। এই সাত দিনে সংক্রমণের চিত্রে একটি স্থিতি অবস্থা দেখতে পাচ্ছি যা ঊর্ধ্বমুখী। একটি কমার কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।
সীমান্ত ছাড়াও কিছু কিছু জেলায় পরীক্ষায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, যেমন ফরিদপুর। কম পরীক্ষা হচ্ছে বলেই শতকরা হার বেশি দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেসব ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার চাপ বেশি সেখান থেকে তুলনামূলক চাপ কম এমন ল্যাবে নমুনা পাঠানো হবে। গতকাল রাজশাহীতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কিছু নমুনা বগুড়ায় পাঠিয়ে দিতে। এই মুহূর্তে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সে জন্য উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর উপস্থিতি বাড়লে আমরা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়াতে পারি। অধিক সংক্রমিত সীমান্তবর্তী এলাকায় বিনামূল্যে পরীক্ষা হচ্ছে। যতক্ষণ ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা না যাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |