আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:১৪
মোঃ নাসির, বিশেষ প্রতিনিধি-বীরমুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এম.পি. আসন্ন ১০ ও ১১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্য্যকরী কমিটির ২০২১-২০২২ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী।
এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এম.পি. ত্রর সংক্ষিপ্ত লিখিত বক্তব্যটি আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছিঃ
প্রিয় আইনজীবী নেতৃবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম।
আমি বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী। আপনাদের কাছে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। আমি আপনাদেরই একজন, সকাল -সন্ধ্যা সুপ্রীমকোর্ট অঙ্গনে আপনাদের সুখ-দুঃখের একজন সাথী।
আমি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ( কমান্ডার হিসেবে) সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি।আমি (১৯৯৬-২০০১) সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯৬ সালে সংবিধান ও মানবতাবিরোধী কালো আইন Indemnity Ordinance বাতিল করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারের ব্যবস্থা করি এবং পরবর্তীকালে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
বাংলাদেশের বিদ্যমান বিচার ব্যবস্থাকে আমূল সংস্কার ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আমি আইনমন্ত্রী থাকাকালীন বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় Bangladesh Legal & Judicial Capacity Building Project নামে ২০০ ( দুই শত) কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করি। আইনজীবীদের কল্যাণে সর্বোত্তম সহায়তা প্রদান করেছি এবং বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এনেক্স ভবন এবং এটর্নি জেনারেল অফিস ভবন নির্মাণের সমূদয় পরিকল্পনা চুড়ান্ত করি যাহা পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়। হাইকোর্টের মূল ভবন ও পুরাতন ভবনের মধ্যে যাতায়াত সুবিধার জন্য একটি গ্যাংকের নির্মাণ করি এবং সুপ্রীমকোর্ট এনেক্স ভবনসহ সারা বাংলাদেশে বিচারালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করি।
১০ম ও ১১তম জাতীয় সংসদে ( ২০১৭ সাল থেকে অধ্যাবধি) আমি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
সহকর্মী হিসেবে আপনাদের ভালোবাসার ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। বিগত ১৮ জুলাই ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে আপনারা সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেন এবং ২০১৫ সালে আমাকে পুনরায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন। বার কাউন্সিল এর সদস্য থাকাকালে আমরা আইনজীবীদের কল্যাণে ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করি যাহা বর্তমানে নির্মাণধীন রয়েছে।
আমি বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ( ২০১৪-২০১৫) এবং ( ২০১৭-২০১৮) সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম – সামান্য ভোটের ব্যবধানে আমি বিজয়ী হতে পারিনি।
প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আমার আচার আচরণে কখনো কষ্ট পেয়ে থাকলে নিজগুণে ক্ষমা করে দিবেন।
আপনারা আমাকে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত করলে আমি আইনজীবীদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণে নিম্নোক্ত কাজগুলো করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছিঃ
১. সনদপত্র সারেন্ডার ব্যতিরেকেই বারের সদস্য হিসেবে আইন পেশায় ৩৫ বছর অতিক্রম করার পর প্রত্যেক সদস্যকে বেনেভোলেন্ট/ কন্ট্রিবিউটরি ফান্ড এর ৫০℅ টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা।
২. বেনেভোলেন্ট ফান্ড ( BF) ও কন্ট্রিবিউটরি ফান্ড ( CF) এর মধ্যকার বৈষম্য দূর করা।
৩. প্রস্তাবিত বহুতল ভবনটি সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে, সঠিক ব্যবস্থাপনায় ও সঠিক সময়ে নির্মাণ করা।
৪. বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সু-সম্পর্ক স্থাপন এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শক্রমে মোশন বেঞ্চ বৃদ্ধি, পেন্ডিং আপিল- এ জামিনের জন্য বেঞ্চ গঠন ও রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করা।
৫. তরুণ আইনজীবীদের জন্য পেশাগত প্রদক্ষিণ এর পাশাপাশি মামলা পরিচালনায় সর্বোত্তম সহযোগিতা করা।
৬. বিজ্ঞ নারী সদস্যদের কমন রুম ও নামাজের জায়গা, একটি ডে-কেয়ার সেন্টার ও ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার নির্মাণ ও এর সম্প্রসারণ সহ সকল আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করা।
৭. আইনজীবী সমিতি ও কোর্ট সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে দূর্ণীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় সকল কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮. একটি আধুনিক ও ডিজিটাল লাইব্রেরি স্থাপন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্পিউটার স্থাপন করা।
৯. সমিতির সকল সদস্যদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা।
১০. খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
১১. বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় মেডিয়েশনের গুরুত্ব বিবেচনায় বার ভবনের একটি আধুনিক মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করা।
১২. সমিতির বর্তমান ওয়েব সাইট- এর উন্নতি ঘটিয়ে একটি আধুনিক ও তথ্য বহুল ওয়েব সাইট তৈরি এবং ই-ডাইরেক্টরি প্রস্তুত করা।
সময়ের স্বল্পতার কারণে আমি সবার সাথে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করে ভোট ও দোয়া চাইতে পারিনি। এই অনিচ্ছাকৃত অপরাগতার জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। অবশেষে আপনাদের মূলবান ভোট, দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি। যাতে আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাই। আপনাদের শারীরিক সুস্থতা ও পেশাগত সাফল্য কামনা করছি। পরমকরুণাময় আল্লাহতায়ালা আমাদের সহায় হোন।
আবদুল মতিন খসরু
সিনিয়র এডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |