আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ২:২৯
মনির হোসেন জীবন- পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেন, জঙ্গিরা চুপ করে বসে নেই। জঙ্গিবাদ শেষ হয়ে গেছে এমনটি ভেবে চিত্ত হবারও কিছু নেই। আমরা দেখছি, জঙ্গিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়াবহ রকম সক্রিয় রয়েছে। এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার অনলাইন পেট্রোলিংয়ে তা উঠে এসেছে। তিনি আরো বলেন, আসলে জঙ্গিরা বসে নেই, আপাতত শান্তিতে আছি বলে জঙ্গিরা শেষ হয়ে গেছে এমনটা মনে করার কোনো কারণও নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, আমরা জনসাধারণের নিরাপত্তা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কাজ করি। অপরাধ কমুক, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক সেটা সবার কাম্য। তিনি বলেন, অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম, কীভাবে একজন তরুণ জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে তার বিপদ, ভয়াবহতা না বুঝেই জনসাধারণকে সচেতন করার সুযোগ গণমাধ্যমকর্মীদের আছে। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজের মাল্টিপারপাস হলে ‘উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এটিইউ প্রধান এস, এম, রুহুল আমিন বলেন, পুলিশ সাংবাদিক রিলেশন্সটা গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ কী চায়? পুলিশের পক্ষ থেকে দেখলে বলা যায়, গণমাধ্যম ছাড়া পুলিশের কাজের সুযোগ নেই। পুলিশ চায় পজিটিভ কাজগুলো গণমাধ্যমে উঠে আসুক। তিনি আরো বলেন, অনলাইনে জঙ্গিদের কার্যক্রম, কীভাবে একজন তরুণ জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে, তার বিপদ, ভয়াবহতা না বুঝেই, জনসাধারণকে এসব ব্যাপারে সচেতন করার সুযোগ গণমাধ্যম কর্মীদের ও আছে। অতিরিক্ত আইজিপি রুহুল আমিন বলেন, পুলিশের নতুন আইডিয়া, ধারণা নিয়ে আমরা কর্মশালা করি। যাতে করে পুলিশের ইমেজ জনগণের সামনে সহায়ক হয়। এই জায়গায় গণমাধ্যম ও পুলিশের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নাই। তিনি বলেন, পুলিশ সাংবাদিক সম্পর্ক আসলে নানা সময় জটিল ধারণ করে। তবে, বর্তমানে তথ্যের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৭ ধারায় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রাখার স্বার্থে তথ্য দিয়ে থাকি। দেশ প্রেমের জায়গা থেকে আমরা যদি সবাই কাজ করি তাহলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কিছু ঘটবে না। সংস্হাটির প্রধান বলেন, গণমাধ্যম যদি এসব মাথায় রাখে সংবাদ পরিবেশনের সময় তবে, সমস্যা হবার কথা না। সংবাদের অবাধ প্রবাহের সময়ে কোনো সংগঠনের সুযোগ নেই গণমাধ্যমকে সহায়তা ছাড়া ইমেজ রক্ষা করার। গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে দু’টি ঘটে, একটা আমরা দিই, আরেকটা আপনারা সরেজমিনে করেন। এরকম একটি কাজ ছিল হলি আর্টিসানে হামলার সময়। গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের কারণে থেকে জঙ্গিরা ভেতর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান জেনে গিয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী বলেন, জঙ্গি উগ্রবাদ সংক্রান্ত আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার। তার কারণ হল, উগ্রবাদে যারা জড়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অনেক বেশি কঠিন। এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মনিরুজ্জামান বলেন, জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের জন্য বড় একটি বাধা। সরকার বিধি-বিধান সংবিধানের আলোকে জঙ্গিবাদ দমনে কাজ করছে। সহায়ক পরিবেশ তৈরি সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আলোকে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। সামনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জনগণ আমাদের পাশে আছে, পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। তবে, আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্য অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম। বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক বেশি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছে জানিয়েছে মনিরুজ্জামান বলেন, যেটা আড়ালে থাকার সেটা আড়ালেই রেখেছেন। আসলে রাষ্ট্রযন্ত্রের একার পক্ষে জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব নয়। এখানে দরকার কোর্ডিনেশন, জনগণের অংশগ্রহণ, গণমাধ্যমের নিরবিচ্ছিন্ন ও সবার সহায়ক ভূমিকা। আমাদের ডেটা সিস্টেমটা অনেক বেশি আপডেট থাকা দরকার জানিয়ে এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) বলেন, এক্ষেত্রে যারা উগ্রবাদে জড়িয়ে যায় এবং তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা অনেক বেশি কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। ‘উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মনিরুজ্জামান, এটিইউ এর ডিআইজি (প্রশাসন) মফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম আজিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,পুলিশ স্টাফ কলেজ মিরপুর (ভারপ্রাপ্ত) রেক্টর ড. এ এফ এম মাসুদ রাব্বানি,এটিইউ’র ডিআইজি (প্রশাসন) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। মূখ্য আলোচন ছিলেন : পুলিশের এন্টি টেরিরিজম ইউনিট (এটিইউ) অ্যাডিশনাল আইজি এস, এম রুহুল আমিন, পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান, এএসপি (মিডিয়া) ওয়াইদা পারভীন, সংস্থাটির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহানা ইয়াসমিনসহ অন্যারা উধর্বতন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্হিত ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |