আজ শুক্রবার | ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৩রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২৭
স্পেনকে টাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো মরক্কো। বিশ্বকাপে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আফ্রিকান দলটি। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেষ ষোলোর সপ্তম ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ছিল গোলশূন্য সমতায়। অতিরিক্ত সময়েও দু’দল গোল করতে ব্যর্থ হয়। শেষতক পেনাল্টি নামক ভাগ্য পরীক্ষায় নামে মরক্কো-স্পেন। টাইব্রেকারে দুই শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনো।
টাইব্রেকারে স্পেনের প্রথম তিন শটই মিস। প্রথম শটটা পোস্টে মারলেন পাবলো সারাবিয়া। কার্লোস সোলারের নেওয়া দ্বিতীয় শট আটকে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক বুনো। আব্দুলহামিদ সাবিরি ও হাকিম জিয়াশের সফল স্পটকিকে ২-০তে এগিয়ে যায় মরক্কো। তবে তৃতীয় শটে মরক্কোর লিড বাড়াতে পারলেন না বদর বেনুন।
যদিও স্পেনের সার্জিও বুসকেটসও পারেননি গোল করতে। তার শটও ঠেকিয়ে দেন বুনো। চতুর্থ শটে আশরাফ হাকিমি ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে মরক্কোকে নিয়ে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে।
মরক্কো এর আগে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতেই খেলেছিল একবার। ১৯৮৬ সালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল দলটি। হাকিম জিয়াশ-আশরাফ হাকিমিরা মরুর বুকে গড়লেন নতুন ইতিহাস। বিসিবি রেডিওর ধারাভাষ্যকার প্যাট নেভিন ম্যাচ চলাকালে বলছিলেন, ‘মরক্কো হলো কোবরার মতো। এমনিতে শান্ত। কিন্তু যখন আক্রমণে যাচ্ছিল দ্রুতগতিতেই উপরে উঠছিল।’ সত্যিই, যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে মরক্কো।
প্রথমার্ধে ৬৯% বল পজেশন ধরে রাখলেও মাত্র একটি শট নিতে পেরেছিল স্পেন। বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে এটি তাদের সর্বনিম্ন শট নেওয়ার রেকর্ড। ৩১ শতাংশ বল দখলে রেখেও মরক্কো তিনটি শট নেয় যার একটি ছিল অন-টার্গেটে। এদিন মাঠে নেমেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেন স্প্যানিয়ার্ড মিডফিল্ডার গাভি। ১৯৫৮ সালে পেলের পর (১৭ বছর ২৪৯ দিন) বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় গাভি (১৮ বছর ১২৩ দিন)।
দ্বিতীয়ার্ধেও উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ শানাতে পারেনি স্পেন। তাদের টিকিটাকা এদিন সবদিক থেকেই ব্যর্থ। ৫৫তম মিনিটে মরক্কোর পোস্টে স্পেনের প্রথম শটটি নেন দানি অলমো। কিন্তু সেটি সহজেই ফিস্ট করেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে অলমোর ক্রস ঠেকান বুনু।
ম্যাচটা টাইব্রেকারে না গিয়ে শেষ হয়ে যেতে পারতো অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেই। প্রথম হাফে দুটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে মরক্কো। ৯৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে স্পেনের ডিবক্সে ঢুকে পড়েন সুফিয়ান আমরাবাত। সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক সিমন। কিন্তু শট নিতে বেশি সময় নিয়ে ফেলেন আমরাবাত। পেছন থেকে লাপোর্ত এসে বল পাঠিয়ে দেন সাইড লাইনের বাইরে। ১০৪তম মিনিটেও ওয়ান-অন-ওয়ানে স্পেনের গোলরক্ষকের সামনে ছিলেন মরক্কোর বদলি নামা খেলোয়াড় ওয়ালিদ শাদিরা। তার নিচু শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে স্পেনকে ম্যাচে রাখেন সিমন। ১১৪তম মিনিটে আবার স্পেনের ডি-বক্সে ঢুকে শট নিতে ব্যর্থ হন শাদিরা। এরপর কয়েকবার মরক্কোর গোলমুখে হানা দিলেও আর গোলের দেখা পায়নি স্পেন।শেষ বাঁজি বাজার আগ মুহূর্তে পোস্টে বল মারেন পাবলো সারাবিয়া। ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে।
প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে এর আগে ১২০ মিনিটে যাওয়া তিনটি নকআউট ম্যাচে হার দেখেছিল মরক্কো। আর স্পেনের ছিল এটি পঞ্চম টাইব্রেকার। আগের চারটি শুটআউটের তিনটিতেই হেরে যায় দলটি। গত বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে রাশিয়া এবং ২০২০ ইউরোর সেমিফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে পরাজিত হয়েছিল স্পেন। তাই এবার ১ হাজার পেনাল্টি শট প্র্যাকটিস করেন স্পেনের খেলোয়াড়রা। লাভ কী হলো! আবার টাইব্রেকারে হারই দেখতে হলো ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নদের।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:21 AM |
Sunrise | 6:41 AM |
Zuhr | 12:03 PM |
Asr | 3:04 PM |
Magrib | 5:25 PM |
Isha | 6:45 PM |