আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:৫৩
বিডি দিনকাল ডেস্ক:-স্বাক্ষ্য আইনের সংশোধনীতে নারীর প্রতি অবমাননাকর ও অসম্মানজনক ১৫৫(৪) ধারা বাতিল ও ১৪৬ (৩) ধারার সংশোধন ( আদালতের অনুমতি ছাড়া নারীর অতীত ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ল করা যাবে না) এবং ডিজিটাল স্বাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা – এই মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ব্লাস্ট সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
ধর্ষণ অপরাধ প্রমাণের মূল উপাদান ‘সম্মতি’ কে গুরুত্ব না দিয়ে প্রতিক্ষেত্রে ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী নারীর ‘চরিত্র’ ও ‘অতীত যৌন ইতিহাস’ কে গুরুত্ব দেয়া হয়; ফলে ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী নারী বিচার পেতে আইনের দারস্থ হয় না বা বিচারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; যা অভিযুক্তকে অপরাধ থেকে অব্যাহতি দিতে সাহায্য করে। এই বৈষম্যমূলক ধারা সংশোধনের ফলে নারীকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করবে এবং ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে।
উল্লেখ্য, বিচারকার্যে নারীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনে বিদ্যমান ১৫৫ (৪) ও ১৪৬ (৩) ধারাসমূহকে লিঙ্গ বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক ঘোষণাপূর্বক বাতিলের দাবীতে উচ্চ আদালতে গত ১৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ তিনটি মানবাধিকার সংস্থা যথাক্রমে- বøাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও নারীপক্ষ যৌথভাবে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। বøাস্ট দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে গবেষণা এবং এডভোকেসি করে আসছে। এ সংক্রান্ত সুপারিশ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিকট পেশ করা হয়।
ব্লাস্ট গবেষণা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আনান তিতির এবং সিনিয়র এডভোকেসি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, “বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনে নারীর প্রতি অবমাননাকর ধারা সমূহ সংশোধনী বিষয়ক বিলটি দ্রæত পাস করার জন্য সরকারকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি। এখন ধর্ষণসহ অন্যান্য সকল যৌন সহিংসতামূলক মামলার বিচারকার্যে সাক্ষ্য আইনের বর্তমান সংশোধনী মেনে চলা হলে এ সংশোধনীর মূল উদ্দেশ্যের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি “।
বøাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন বলেন, “আমরা সত্যিই আনন্দিত যে মন্ত্রিসভা অবশেষে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী ঔপনিবেশিক যুগের চারিত্রিক সাক্ষ্য প্রমাণ সংক্রান্ত বিধান বাতিলের দাবিতে সাড়া দিয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে নারীদের যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পেতে বাধা দিয়েছে। এই আইনটি অনুমোদিত হলে তা সুষ্ঠু বাস্তবায়ন ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
ব্লাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য এবং সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, “উপনিবেশ শাসন টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বৈষম্যমূলক আইন গুলো ঔপনিবেশিক শাসন আমলে প্রণয়ন করা হয়েছিল ; যা অনতিবিলম্বে সংশোধন করা প্রয়োজন। সাক্ষ্য আইনের চারিত্রিক সাক্ষ্য বিষয়ক ধারাগুলো সংশোধনীর মত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে সরকার কে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |