অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মূসা আলম অবসরে যাবেন । এবং পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হবেন ঐ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুত তোয়াব মাখদুমি।কিন্তু জুনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল জব্বার কৌশলে বিদ্যালয়ের বেতন ভাতা উত্তোলনের কথা বলে বিদ্যালয়ের ফাঁকা প্যাডে স্বাক্ষর গ্রহন করেন বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুত তোয়াব ।
এ নিয়ে গত ২৬/৮/২১ ইং তারিখে আব্দুল তোয়াব মাখদুমি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে না – দাবী পত্রে স্বাক্ষর গ্রহন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরবর্তীতে বিষয়টি সুরাহা না হলে আব্দুত তোয়াব বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, হরিপুরে কাগজপত্র উদ্ধারের জন্য একটি মামলা দায়ের করেন ।
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসা আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি কাগজপত্র স্বাক্ষরের বিষয়ে কিছুই জানিনা ,তবে আমি আইন মেনে কাজ করবো এবং আমার পরে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুত তোয়াব মাখদুমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হবেন বলে তিনি নিচ্ছিত করেন। এদিকে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল জব্বারের সাথে কথা বললে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন আমি কোন কাগজপত্র স্বাক্ষর গ্রহন করিনি ।
এ বিষয়ে ঐ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আব্দুল করিমের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি অভিযোগ পাওয়ার পরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে তাই নিয়ম মেনেই সব করা হবে ।
এদিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ ।