আজ শুক্রবার | ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |৩রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:২৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক : -মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিএনপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার প্রায় ৫ ঘন্টা অপেক্ষা করে মূল বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পনের পর দুপুর সাড়ে ১২টার পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা সকাল সাড়ে ৭টায়র সময় বলাকা ভবনের থেকে প্রভাতফেরী মিছিলি নিয়ে এসেছি। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে থেকে আমরা সকাল ৮টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি।”
‘‘ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম এখান থেকে বারবার উচ্চারণ করা হয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বেদী ত্যাগ করেনি, অযথা সময় নষ্ট করেছে। এখানে যারা প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন এটা তাদের চরম ব্যর্থতা। মহান ভাষা দিবসেও এখানে(শহীদ মিনারে) দলবাজি হয়েছে। এটা অত্যন্ত দূঃখজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। তারা আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করেছে।”
এটা তাদের ব্যর্থতা। এখানে দলবাজি হয়েছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে আজকে দলবাজি হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছি। তারা আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করেছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ ভাষা আন্দোলনের চেতনা ছিলো মহান মুক্তিযুদ্ধের বীজপবন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক, সেই চেতনা ছিলো দেশ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হবে, এদেশের জনগন নিজের হাতে ভোট দিয়ে নিজেদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, যে দল সংখ্যাগরিষ্টাতা পাবে সেই দল জনগনের সেবা করবে।”
‘‘ দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না, সামাজিক সাম্য থাকবে কিন্তু যারা সরকারে আছে তারা এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সালে তারা এদেশে সকল দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানবাধিকার নাই। চলছে ক্ষমতাসীনদেরে লুটপাট, দুর্নীতি। আজকে বাংলাদেশে অর্থনীতি ধবংস প্রায়।”
এই অবস্থার পরিত্রানে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই বলেও মন্তব্য করেন ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।।
সকাল সাড়ে ৭টায় বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রথমে আজিমপুর কবরাস্থানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত করে।পরে দলের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে প্রভাত ফেরী করে প্রায় ৫ ঘন্টা অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে মূল বেদীদে খন্দকার মোশাররফ হোসেন পুস্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।তারা কিছুক্ষন বেদীমূলে ফুল দিয়ে নিবরে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্যামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, হারুনুর রশীদ, তাবিথ আউয়াল, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সেলিম রেজা হাবিব, শামীমুর রহমান শামীম, আকরামুল হাসান, রফিক শিকদার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মুনায়েম মুন্না, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, এসএম জিলানী, হাসান জাফির তুহিন, হেলেন জেরিন খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবুল কালাম আজাদ, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:21 AM |
Sunrise | 6:41 AM |
Zuhr | 12:02 PM |
Asr | 3:04 PM |
Magrib | 5:24 PM |
Isha | 6:44 PM |