আজ রবিবার | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:২৬
আমিরুল ইসলাম খান আলিম :- প্রতিপক্ষকে বন্দী করে বিজয় অর্জনের চেয়ে সিরাজুদ্দৌলার মত পরাজয় অনেক গৌরব ও সন্মানের।সরকারের সুবিধা ভোগী একটা অংশ বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল দুর্বল করতে প্রচার করে বেড়ায় বিএনপি ভুল করেছে, তাদের মিথ্যা প্রচারনায় বিএনপি সাধারণ নেতাকর্মীরা কিছু টা সাময়িক হতাশ হয়তো হয়ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমার এই সামান্য লেখা।
কেউ কেউ মনে করে বিএনপি হেরে গেছে কিন্তু আমি মনে করি বিএনপি নয়, হেরে গেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের সরকার। ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারীর নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির অর্জন বহুমাত্রিক।
১) সরকারের ভয়, ভীতি, লোভ ও ক্ষমতার শেয়ার অফার দিয়ে ও বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করাতে পারেনি। “বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করে প্রমান করছে” বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, বিএনপি রাজনীতি করে দেশের মানুষের মুক্তির জন্য স্বাধীনতার জন্য,গনতন্ত্রের জন্য।
২) সরকার বিএনপিকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করেছে বিভাজন তৈরি করে ভাঙ্গন ধরাতে কিন্ত বিএনপিতে ভাংগন ধরাতে পারেনি বরং আরো ঐক্য বদ্ধ হয়েছে। সরকার তার প্রচার মাধ্যমে ব্যাবহার করে বিএনপির মধ্যে নানান বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে কিন্তু সরকারের পাতানো ফাঁদে নেতাকর্মীরা পাঁ দেইনি বরং পাতানো নির্বাচনে অংশ না নিয়ে, বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতারা দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছে, যার কারনে দেশের মানুষের নিকট বিএনপির গ্রহন যোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩) বিগত ১৫ বছর ধরে বিএনপি এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে কিন্তু আজ বিএনপি একা নয, দেশের সকল বড় বড় রাজনৈতিক দল গুলো বিএনপির দাবি কে সমর্থন দিয়ে বিএনপির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সকল রাজনৈতিক দল গুলো কে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সঙ্গী করে, বিএনপির রাজনৈতিক বিজয় শুধু নয়, দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সে যে দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা তা প্রমানিত হয়েছে।
৪) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান দেশবাসীকে ভোট বর্জনের আহবান জানিয়ে ছিলেন, দেশবাসী তার আহবানে সারা দিয়ে প্রমান করেছে তারেক রহমান এখন শুধু বিএনপির নেতা নয় তিনি এখন সমগ্র জাতির নেতা। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, বিএনপি কিন্তু এ নির্বাচন প্রতিরোধের ঘোষণা দেইনি বরং শান্তি পূর্ণ বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ছিলো। দেশনায়ক তারেক রহমানের আহবানে দেশের মানুষ অপ্রত্যাশিত সারা দিয়ে তার নেতৃত্বকে সাদরে গ্রহন করেছেব যা বিএনপির আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ চলা কে সহজ করবে।
৫) ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান দুরদৃষ্টি সুম্পন্ন নেতার পরিচয় দিয়েছেন। ভোটে অংশ গ্রহন করলে ২০১৮ সারের মতো সরকার আর একটি পাতানো নির্বাচন করে বিএনপি কে হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিতো। নৌকা, লাঙ্গল, ট্রাক, ঈগল প্রতিক নিয়ে যারা নির্বাচন করেছে তারা সকলেই এক মায়ের সন্তান। নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তারা নিজেরাই একে অপরের বিরুদ্বে লিখিত অভিযোগ করছে, ভোটে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি ,কেন্দ দখল করা হয়েছে। এই অভিযোগ বিএনপি ১৫ বছর যাবত দিয়ে আসছে কিন্তু সেই অভিযোগ আজ তাদের দলের সতন্ত্র পার্থী,ডামি পার্থী, শরিক দলের প্রার্থী এমনকি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মন্ত্রী যারা মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করে হেরে গেছে তারাও আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ তুলছে।শুধু তাই নয় গোটা বিশ্বের মানুষ আজ আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে শেখ হাসিনার আন্ডারে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আজ শুধু বিএনপির দাবি নয় এটা বিশ্বের মানুষ দাবি যা দেশনায়ক তারেক রহমান তার রাজনৈতিক কলা কৌশলের মাধ্যমে প্রমান করে দিয়েছে।
৬)আওয়ামী লীগ মাঝে মাঝে বলে বিএনপির নেতা কে, ভবিষ্যতে কে প্রধানমন্ত্রী হবে? এ বারের আন্দোলনের মাধ্যমে জাতির সামনে প্রমানিত হয়েছে দেশনায়ক তারেক রহমান শুধু বিএনপির নেতা নয় তিনি বাংলাদেশের গনতন্ত্র কামী মানুষের নেতা এবং আস্হার প্রতিক। এ দেশে আওয়ামী লীগ দাবি করে তাদের ৩৫% ভোট রয়েছে কিন্তু এ নির্বাচনে সর্বোচ্চো ৫%: মানুষ ভোট কেন্দ্র উপস্থিত হযে প্রমান করেছে দেশের ৯৫% মানুষ বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্য বদ্ধ। কারন এদেশে যদি আওয়ামী লীগের ৩৫% ভোট থাকত তাহলে ভোট কেন্দ্র কুকুর গরু ছাগল ঘুরে বেড়াত না। এ নির্বাচনে প্রমানিত হয়েছে আওয়ামী লীগের সাথে জনগনের কোন সম্পর্ক নেই।বিদেশি কিছু শক্তির তাঁবেদারি করে এ সরকার অবৈধ ভাবে টিকে আছে। তাই নেতাকর্মীদের সততা,সাহস,ঈমানী শক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, মনে রাখতে হবে হিটলার, মোসোলেনি, আইয়ুব খানের মত স্বৈরশাসক টিকতে পারেনি এ সরকার তো সকল ক্ষেত্রে দুর্বল তাই বিএনপির বিজয় সময়ের ব্যাপার এবং সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।
লেখক পরিচিত:বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি,সহ-প্রচার সম্পাদক
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |