আজ রবিবার | ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:৪২
প্রধানমন্ত্রী প্রায়শই বলেন জনগণ নাকি তার সাথে আছে। কয়েকদিন আগে বিদেশী একটি সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন জনগণই নাকি তার মূল শক্তি। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিজে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিচ্ছেন না কেন? জনগণ সাথে থাকলে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন ? কেন আপনি নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচিতে নৃশংস হামলা চালিয়ে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারান্তরিন করেছেন? কেন আপনি দেশব্যাপী ব্যাপক ধর-পাকড় করছেন বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের ধরতে গিয়ে তাদের বাসায় না পেয়ে তার বাবা বা ভাইকে ধরে আটক করছেন?
আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়ে নেতাকর্মীদের হত্যা ও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে জখম কেন করছেন? আপনি এতটাই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন যে দেশব্যাপী ধর-পাকড় করে ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছেন। বাংলাদেশে এখন ৭১ এর ভয়াল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ৭১ এর হানাদার বাহিনির হিংস্রতা আর দুঃশাসনের হুবহু নকল করছে আওয়ামী সরকার। তাদের শান্তি কমিটির মতো এখন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের না পেলে তাদের পরিবারের লোকদের ধরে নিয়ে যেত। আওয়ামী পুলিশ ও সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করছে।
উদ্ভট গায়েবী মামলার নতুন নতুন মডেল আমরা দেখতে পাচ্ছি। ঢাকাতে গ্রেপ্তার যুবদল নেতা মামুন বরিশালে ককটেল নিক্ষেপের মামলা করা হয়েছে। জেলে থেকে নাকি ট্রাকে পেট্রোল নিক্ষেপ করেছেন বিএনপি নেতা কাঁকন । এ সমস্ত হাস্যকর তামাশার মামলা দিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের জুলুম আর হয়রানির ভয়ংকর আবর্তের মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে ফসলের মাঠসহ বনে বাদারে নানা অনাবাসযোগ্য জায়গায় নেতাকর্মীদের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
সংগ্রামী সাংবাদিক বৃন্দ
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এর বিষাক্ত নখরের আচড়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে ছিন্নভিন্ন করতে চাচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অবরোধ অগ্নি সন্ত্রাস যারা করবে তাদের কেউ যেন পার না পায়। যদি কেউ ধরা পড়ে তাকে ধরে ওই আগুনে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভয়ানক অগ্নি কুণ্ডলীতে বিএনপি নেতা কর্মীদের নিক্ষেপের হুমকি ভয়ংকর সর্বনাশা হুমকি। এটি সারা জাতীর জন্য মহা বিপদ সংকেত। সরকারের সমগ্র চক্রান্তের পরিসীমা নেই। যারা মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে বন্দী নেতাকে বোমা ছুড়ে মারার মামলা দিতে পারে তারা শান্তিপূর্ণ অবরোধকারী নিরীহ নেতা কর্মীকে অগ্নি সন্ত্রাসী বানিয়ে পুডিয়ে মেরে ফেলতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এই বিপদজনক হুমকিতে সারাজাতি স্তম্ভিত। এটি সারা জাতির জন্য মহাবিপদ সংকেত।
জাতীয় সহিষ্ণুতাকে ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য সহিংসতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতিকে উস্কে দিচ্ছে। জাতিসংঘ, গণতান্ত্রিক দেশগুলো ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীরা সেগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে । ২৮ শে অক্টোবর এর ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে যেগুলো প্রকাশ পেয়েছে তার প্রতিটাতেই দেখা যায় পুলিশের পাশে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামীলীগের ক্যাডাররা হাঁটছে। আইনশৃঙ্খলা ও আওয়ামী ক্যাডার যৌথ বাহিনীর আগ্রাসনের উদ্দেশ্য হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী আগ্রাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অস্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
বিএনপি ডাকা হরতাল অবরোধে পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ একযোগে মোকাবেলা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা একে অপরের পরিপূরক।
অতীতের নজির ঘেঁটে প্রমাণিত যে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশটাকে তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে, এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় ক্যাডার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলে বিরোধী পক্ষের উপর লেলিয়ে দেয়। ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়েই লগি বৈঠা দিয়ে বা অন্যান্যভাবে বিএনপির কর্মসূচিকে নির্মূল করার ঘোষণা তারা দিয়েছে এবং বাস্তবায়ন ও করছে রক্তাক্ত পথে বিএনপির নেতা কর্মীদের জীবন নিয়ে। বিএনপিকে বল প্রয়োগে উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী নিজেদের ক্যাডারদের বলেছেন ১০০ দিনের জন্য রাষ্ট্র পাহারা দিতে, এগুলো কিসের আলামত? শেখ হাসিনা দেশকে কোন পথে নিতে চাচ্ছে? সন্ত্রাসী মনোভাবাপন্ন ক্যাডারদের দিয়ে রাষ্ট্র পাহারা দিবেন? রাষ্ট্র কি শুধু আওয়ামীলীগারদের ? আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা বাহিনী ও জনগণসহ সবাই কি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক?
ভয়ঙ্কর কর্তৃত্ববাদের চরম শৃঙ্খলে দেশকে বন্দী করছেন শেখ হাসিনা, তিনি একক ও অদ্বিতীয় হয়ে উঠেছেন। হত্যা করা , পুড়িয়ে ফেলা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে মেরে তক্তা বানিয়ে দিবেন , এসব কি শুনছে দেশবাসী? বাংলাদেশিরা এখন এক সর্বগ্রাসী গুন্ডা-পান্ডাদের রাজত্বে বসবাস করছে। তবে হুমকি আর হুঁশিয়ারি দিয়ে জনগণের চলমান এক দফার আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না।
বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কারাগারে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ কারাগারে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এর সাথে প্রচন্ড অসদাচরণ করা হচ্ছে। তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। তার উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগে তিনি আক্রান্ত। গ্রেফতারের পর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, সেখানে তাকে কোন ঔষধ পর্যন্ত দেয়া হয় নাই। এক মনুষ্যত্বহীন অবিচারে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেয়া হচ্ছে ।
সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক হামলা, মামলা ও
গ্রেফতারের বিবরণ ঃ
মৃত্যু ঃ
ক্স মুন্সিগঞ্জ জেলাধীন শ্রীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও হাসারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব হাসান বিপুল গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বিএনপির মহাসমাবেশে স্বৈরাচার আওয়ামী পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারসেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ০৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ইন্তেকাল করেন।
ক্স বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব শামসুজ্জামান দুুদুর ঢাকার বাসভবনে গত ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ বেলা ১১ টার সময় সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ১০/১২ জনের একটি টিম বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে শামসুজ্জামান দুদুকে না পেয়ে তল্লাশির নামে বাড়ির প্রতিটি রুমে ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। যাওয়ার সময় শামসুজ্জামান দুদুর বাসা থেকে কয়েকটি মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজ ও সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।
গ্রেফতার ঃ
ক্স কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমকে আজ সকালে ভৈরব কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা সাঈদ হাসান মিন্টু এবং কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খানকে গতরাত ৪ টায় সময় তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
ক্স ঢাকা মহানগর উত্তরের আওতাধীন রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম বাবু, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ ইকবাল হোসেন ও মাসুদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানাধীন ৭২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ জিয়া, সবুজবাগ থানাধীন ৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম, ৭৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ, বিএনপি নেতা শহিদ, ৭৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ মিজান ও কদমতলী থানাধীন ৫৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য কবির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খন্দকার মঞ্জুরুল সাঈদসহ মোট ৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস এম সমিনুজ্জামান সমিন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বার, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ ইউসুফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ মনিরুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ মাহবুবুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ নজির শেখ, ফুলহরি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দীন ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ বাবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স জয়পুরহাট জেলাধীন ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাফেউল হাদী, বড়তারা ইউনিয়ন কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নুরুল ইসলাম, তুলশীগঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ মশিউর রহমান হিরু, বড়তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম শাওন, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মওদুদ রানা, ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী রেজা রুবেল, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোজাফফর হোসেন ও মামুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরন্নবী সাঈফুলসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ক্স মৌলভী বাজার মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মোঃ মুসা মিয়া, জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য কবির উদ্দীন ও সাকিল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলাধীন ফুলপুর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুল করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রুপগঞ্জ থানা জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোয়াব আলী ও সদস্য বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনরি সভাপতি মোঃ সিরাজুল হক মোল্লা ও জেলা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হক বাদলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স খাগড়াছড়ি জেলার ছক্ষিছড়ি উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ নাছির উদ্দীন, দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান ও মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য হাবীবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওয়াহিদুজ্জামান খান উজ্জ্বল ও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোতাসির হোসেন কাইয়ুুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী, জেলা বিএনপির শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম রাজা, বৈদেশিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুকুল আহমেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ শফিকুর রহমান খোকা, শাখাটা উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মোস্তাক আহমেদ মিঠু, ঘুড়িদহ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ আনিসুর রহমান, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম, কাঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মোঃ ইলিয়াস, মোঃ তুলন, পলাশবাড়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম লিপেজ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকিরুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মধু ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল সাত্তারসহ মোট ৫১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ক্স ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুক্তার আলী, জেলা বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খোকন, জোড়াদাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান, দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইকলাচ হোসেন, হরিণাকুন্ড পৌরসভার সাবেক সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন আলম, রায়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন, মালিয়াট ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, রায়গ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেনসহ মোট ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন রুপগঞ্জ থানা জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোয়াব আলী ও ভুলতা ইউনিয়ন জাসাসের সদস্য বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ক্স হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য খিজির খানকে গতকাল তেলিপাড়া বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
ক্স শেরপুর জেলাধীন নালিতাবাড়ি উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মনির মাস্টারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ক্স স্বেচ্ছাসেবক দল ঃ নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মঞ্জুরুল সাঈদ বাবু, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলা সদস্য সচিব সোহেল রানা, কক্সবাজার জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আয়ান, ইউনিয়ন সভাপতি হেলাল সিকদার, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা উপজেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল আরমান, আটপাড়া উপজেলার আহ্বায়ক ওয়াহিদ্জ্জুামান খান উজ্জ্বল, কেন্দুয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেন, ফরিদপুর মহানগরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সুলতান মাসুদ, খুলনা জেলার চালনা পৌরসভার সদস্য সচিব বাপ্পি ও বাগেরহাট জেলার সন্তোষপুর ইউনিয়ন সদস্য সচিব মোঃ মামুনসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হামলা ও আহত ঃ
ক্স নাটোর জেলাধীন লালপুর উপজেলা যুবদল নেতা মাসুদ সরকারকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক মারধর করার কারণে মারা গেছে ভেবে হাত বাধাঁবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। যুবদল নেতা মাসুদ এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা বড়ছে।
ক্স আজ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রায়হানুল ইসলাম ও তার গাড়ি চালকের উপর মিরপুর ১১ নং সেক্টরে ছাত্রলীগ এবং পুলিশ বেপরোয়াভাবে হামলা চালিয়ে রায়হানুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। ড্রাইভারের মাথা ফাটায় এবং গাড়ী ভাংচুর করে। পরবর্তীতে সন্ত্রাসীরা পুনরায় রায়হানুল ইসলামের বাসায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
ক্স কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর বাজারে বিএনপির শান্তিপূর্ন অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে খিলগাঁও থানা ছাত্রদল নেতা স¤্রাট ও তার বাবা বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জলিলকে গুরুতর আহত করে, পরবর্তীতে আহতাবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী হামলায় স¤্রাটের মাথা ফেটে ও হাত ভেঙ্গে যায় এবং মীর জলিলের হাত ভেঙ্গে যায়।
এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের
মোট গ্রেফতার : ১৭৬ জনের অধীক নেতাকর্মী।
মোট মামলা : ০৬ টি
মোট আসামী : ৫৭৫ জনের অধীক নেতাকর্মী (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৩/৪ দিন পূর্ব থেকে এবং মহাসমাবেশের পর বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে মোট-
গ্রেফতার : ৫০২৩ জনের অধীন নেতাকর্মী
মোট মামলা : ১১৩ টির অধিক
মোট আহত : ৩৪৮৭ জনের অধিক নেতাকর্মী
মৃত্যু : ১০ জন (সাংবাদিক ১ জন)
গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ঃ-
মোট গ্রেফতার ঃ ৭৭১৩ জন
মোট মামলা ঃ ৫০৬ টির অধিক
মোট আসামী ঃ ৩৮,৫৬০ জন
মোট আহত ঃ ৫৭৮০ জনের অধীক নেতাকর্মী
মোট মৃত্যু ঃ ১০ জন (সাংবাদিক ০১ জন)
মিথ্যা মামলায় সাজা ঃ মোট ১৭টি মামমলায়ঃ ৯ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রায় ১১১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।PRESS BRIEFING OF BNP SENIOR JOINT SECRETARY GENERAL-04-11-2023
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:19 AM |
Sunrise | 6:40 AM |
Zuhr | 12:01 PM |
Asr | 3:01 PM |
Magrib | 5:21 PM |
Isha | 6:42 PM |