শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি ডিইপিজেড শাখার উদ্যোগে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাসস্যান্ডে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে এসময় ৯ দফাদাবীগুলো জানানো হয়। দাবীগুলো হচ্ছে, ১. গত ২৬ আগস্ট ২০২০ বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকায় অকসাৎ অভিযান চালিয়ে ১৭টি ট্রাক ও ড্রাম ট্রাক ভাঙচুর এবং চারটি ট্রাক মালামালসহ নিলাম করায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২. উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন ও কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর অপসারণ ও শাস্তি দিতে হবে। সেই সাথে ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মো: শহীদুল্লাহ, মো: ইসমাইল এবং মো: নজরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
৩. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে মহাসড়কের পাশে এবং জেলায় জেলায় আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে। টঙ্গী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান টার্মিনাল স্থায়ী করতে হবে। যাত্রাবাড়ী ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সারাদেশে স্থায়ী ট্রাক টার্মিনাল করতে হবে।
৪. দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত কারণে তদন্ত ব্যতিরেকে ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে।
৫. সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সম্পর্কে যে সব সংশোধনী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে দেওয়া হয়েছে, তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. বিআরটিএ এর কাছে জমাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স অবিলম্বে সরবরাহ করতে হবে এবং না দেওয়া পর্যন্ত ড্রাইভারদের চলমান লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানোর সুযোগ দিতে হবে।
৭. যানবাহনের বর্ধিত আইকর প্রত্যাহার করতে হবে।
৮. সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি, মাস্তান, সন্ত্রাসী, ও স্বার্থোদ্ধতদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এবং ৯. বিআইডব্লিটিএ বিভিন্ন ফেরিঘাট ও টার্মিনাল ঘাট ইজারা দেয়া বন্ধ করে পূর্বের ন্যায় বিআইডব্লিউটিএ এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতে হবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এই সকল দাবি অবিলম্বে মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে মানববন্ধন থেকে ঘোষণা দেয়া হয়।
মানববন্ধনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি ডিইপিজেড শাখার সভাপতি হাজী মো: মোতালেব, সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির মালিক ও শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।