আজ বৃহস্পতিবার | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |১২ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২৪
কামরুল হাসান বাবলু : ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী।
পুস্পস্তবক অর্পণ এর সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকামোহনগর উত্তরের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব হাজি মোস্তফা জামান সহ অন্নান্ন নেতৃবৃন্দ , দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু সহ অন্নান্ন নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এবং হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন ।
এর আগে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের এবং ঢাকা মহানগর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ও ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন, ‘লাল সবুজের পতাকায়, জিয়া তোমায় দেখা যায়’, ‘বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও, লও সালাম’, ইত্যাদি।
পরে নেতাকর্মীরা মরহুম নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেয়।
আজ ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এদিনে সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হন জিয়া। পরে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তিনি। এরপরই চলে আসেন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়, এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।
আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি স্বাচ্ছন্দ্যে উদযাপন করতে পারেনি বিএনপি। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে সমাদৃত জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে বরং ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার নানা চেষ্টা হয়েছে। এবার দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে দলটি। ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এদিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তবর্তী সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে, তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবশ্যই-অবশ্যই-অবশ্যই তারা অনেকগুলো কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের যদি আমরা সবাই সহযোগিতা করি এবং উপযুক্ত সময়ে একটা যৌক্তিক নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই জাতির সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এই দিনে সিপাহী-জনতা দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের পরাজিত করে ’৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে আসে, এরপর বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক সূচনা হয়, সেটি হলো জাতীয়তাবাদ।
‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আল্লাহর অশেষ রহমতে তৃতীয়বারের মতো এই আধিপত্যবাদকে পরাজিত করা হয়। আজকে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি, আমরা শপথ নিয়েছি, ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দিবো।’
ফ্যাসিবাদ সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার বিএনপিকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, নির্যাতন করেছে। এই আওয়ামী লীগ প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ছয় শ’ মানুষকে গুম করে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 4:54 AM |
Sunrise | 6:12 AM |
Zuhr | 11:43 AM |
Asr | 2:51 PM |
Magrib | 5:13 PM |
Isha | 6:31 PM |