আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:২৬
বিপিএলের চলতি আসরে শুরু থেকেই দেখা মিলছে চার-ছক্কার বৃষ্টি। সিলেট পর্বে প্রথম ম্যাচেই হয়েছে ৩১টি ছক্কা। যেটি কিনা বিপিএলের ইতিহাসে কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। শুরু থেকে রান হচ্ছে, এটা নিয়ে সমর্থক-বিসিবি সবাই খুশি। যেখানে অন্য আসরে রানের জন্য হাহাকার শুরু হয় সেখানে এবার শুরু থেকেই বড় রান! তবে এখানেও আছে শুভঙ্করের ফাঁকি! যেটা সোমবার তামিম ইকবাল বলেছেন, বাউন্ডারি আরও বড় চান তিনি। ফলে উইকেট যেমন ভালো, তেমনি এত চার-ছক্কায় ‘ছোট্ট’ বাউন্ডারিও ভূমিকা রাখছে।
এখন পর্যন্ত বিপিএলের চলতি আসরে ম্যাচ হয়েছে ১১টি। যেখানে ২০৫ রানও তাড়া করে জয়ের ঘটনা ঘটেছে। আর প্রথম ম্যাচেই তো ১৯৭ রান করেও ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জিততে পারেনি দুর্বার রাজশাহী। এখন পর্যন্ত ৪ ইনিংসে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ এসেছে। এ ছাড়া ১৭০ থেকে ১৯০ এর মধ্যে দলীয় সংগ্রহ দেখা গেছে ৫ বার। এখন পর্যন্ত ১৯০টি ছক্কা হয়েছে এবারের আসরে। রাজশাহীর ইয়াসির আলী চৌধুরী একাই হাঁকান ১৪টি।
এবারের বিপিএলে অফিসিয়ালি বাউন্ডারি দেয়া আছে ৬৫ মিটার। অথচ মাঠের বাউন্ডারি দেখলেই বোঝা যায় এটা কোনোভাবেই ৬৫ মিটার নয়। মিরপুরে প্রথম ৪ ম্যাচেও দেখা গেছে আগের তুলনায় ছোট করা হয়েছে বাউন্ডারি। তবে সিলেটে যেন সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, এটি কোনোভাবেই ৫৫ থেকে ৫৮ মিটারের বেশি হবে না। বিশেষ করে, প্রেসবক্স প্রান্তের সোজাসুজি বাউন্ডারি তো ৩০ গজের বৃত্তের পর আর ৩০ গজও রাখা হয়নি। ফলে এই ছোট মাঠেও বাউন্ডারি সীমানা বাইরে বাড়তি জায়গা পড়ে থাকছে অনেকখানি।
বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল তো রীতিমতো আর্জি জানিয়েছেন বাউন্ডারি বড় করার। সোমবার রাজশাহীর বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলার পর তিনি বলেন, ‘যেভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে, তা খুব ভালো। আমি যা দেখতে চাই, তা হলো আরও বড় সীমানা। জায়গা যখন আছে, তাহলে ৫৮-৬০ গজের বাউন্ডারিতে আমরা কেন খেলছি, জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৫-৭০ গজের বাউন্ডারি দেখা যায়। তখন বোলারদের জন্য কিছুটা সুযোগ থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উইকেট এবার এত ভালো! কিউরেটরদের অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। দুর্দান্ত উইকেট তৈরি করেছেন তারা। তবে উইকেট যখন এত ভালো থাকে, তখন সীমানা বাড়িয়ে দেয়া উচিত, বিশেষ করে যদি জায়গা থাকে। তাহলে বোলারদের জন্যও সুযোগ থাকে। এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছু নেই। শীর্ষ কর্তারা যারা সিদ্ধান্ত যা গ্রহণ করেন, আমার আশা ও প্রার্থনা, তারা আমার কথা শুনছেন এবং এই বাউন্ডারি আরেকটু পিছিয়ে দেবেন। কারণ জায়গা তো আছেই।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৮২ আর সর্বনিম্ন ৫৯.৪৩ মিটার বাউন্ডারি ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া থাকে আইসিসি থেকে। আইপিএল, পিএসএল থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টেও মানা হয় এটি। অথ বিপিএলে সেটি কমিয়ে আনা হলো। এতে করে ব্যাটারদের মধ্যে ‘নকল’ আত্মবিশ্বাস তৈরি হতে পারে। উইকেট ভালো হলেও যদি বাউন্ডারির সীমানা কমিয়ে আনা হয় তাহলে তো সেই আগের অবস্থায় থাকলো।সূত্র:মানবজমিন
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:42 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:08 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |