আজ মঙ্গলবার | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:৪৫
সখিপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:- টাঙ্গাইলের সখিপুরে বনবিভাগের সামাজিক বনায়নের অধিকাংশ প্লট স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও পরিবারের দখলে। প্লট বরাদ্দে বনবিভাগের লোকদের সাথে দালালি করেও আ.লীগ নেতা/কর্মীরা কোটিপতি বনে গেছে। ধলাপাড়া রেঞ্জেরে ধলাপাড়া সদর,সাগরদিঘী বিট,বহেড়াতলী রেঞ্জের বহেড়াতৈল সদর,কচুয়া,এমএম চালা(আন্দি),ডিবি গজারিয়া(কৈয়ামধু),কাকড়াজান(মরিচা)বিট,হতেয়া রেঞ্জের হতেয়া সদর,বাজাইল,কড়ইচালা,কালিদাস,কালমেঘা বিট,বাঁশতৈল রেঞ্জের নলুয়া,বংশিনগর.পাথরঘাটা,নলুয়া বিট নিয়ে সখিপুর উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠিত। এসব বিটাধীন স্থানীয় আ.লীগ নেতা/কর্মীরা বিগত ১৭ বছরে বনবিভাগের লোকদের সাথে দালালি করে বনভুমির ভিতর ঘরবাড়ি,দালানকোঠা ,মিল,ইন্ডাষ্ট্রি নির্মাণ,গাছ কর্তন,মাটি কর্তন, নিজ নিজেদের পরিবারের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছে এবং অপরকে প্লট বরাদ্দে মোটা অংকের টাকা নিয়ে শত শত আ.লীগ নেতা/কর্মী কোটিপতি বনে গেছে।
সখিপুর উপজেলার প্রতিটি বিটেই একই ঘটনা ঘটেছে। তেমনি একটি উদাহরন দেওয়া হলো বহেড়াতৈল সদর বিট সম্পর্কে এখানে বেড়ীখোলা এলাকার স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও তার পরিবারের নামে ১৮টি প্লট। এরা হলো- আজাহার,তার স্ত্রী,ছেলে শাহেদ,লিপন,ছেলের বউ,ভাই,ভাইয়ের বউ ,বাদশা,ঠান্ডু,ওমর গাজী,ওমর গাজীর বউ,ভাতিজা-ভাতিজা বউ,মন্জুরুল, এর বউ,মনির, এর বউ,মন্জুর মেয়ে, নাতি সালমান,মনির মেয়ে। আ.লীগ নেতা আজমত আলী তার পরিবারের নামে ১২টি প্লট। এগুলো হলো-আজমত,এর বউ,ছেলে-ছেলের বউ,হরমুজ, এর বউ,বজলু, এর বউ,শাহালম। আ,লীগ নেতা লতিফ ও তার পরিবারের নামে ৬টি প্লট। এরা হলো আ.লতিফ,এর স্ত্রী,ছেলে শাহীন,মেয়ে মীম,ভাই গনি,মতিন। আরেক আ.লীগ নেতা আবুল তার পরিবারের নামে ৪টি প্লট। এরা হলো-আবুল,এর স্ত্রী,ছেলে আজিজুল,মেয়ে আয়নামতি। অন্যান্য দালালরা হলো-অংশীদারদের সভাপতি আ.লীগ নেতা আফসার,আজাহার,হরমুজ-এদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বনবিভাগের প্লট বরাদ্দ,প্লট ক্রয়-বিক্রয় করতে হয়। এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনও করেছে। বনবিভাগের প্লট অকশনের মাধ্যমে বিক্রি করার পর বিক্রিকৃত টাকার শতকরা ৪৫ভাগ টাকা অংশীদার ৪৫ভাগ টাকা বনবিভাগ তথা সরকার পেয়ে থাকে। চারা রোপনের জন্য যে ১০ভাগ টাকা থাকে তাও বনবিভাগের লোকজন ও দালালরা ভাগ করে নিয়ে খেয়ে ফেলে। চারা রোপন করে অংশীদারদের টাকায়।
প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বেড়ীখোলা বাড়ি নেই অন্যস্থানে বাড়ি তাদের নামেও প্লট দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন-সাবেক এমপি’র এর বোন জামাই ফারুক হোসেন,আয়নামতি,আকলিমা। একইভাবে ডিবি গজারিয়া(কৈয়ামধু)বিটাধীন দাড়িয়াপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলী(হাতু)এর ছেলে আ.লীগ নেতা আব্দুল কাশেম,গোলাপ লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বনবিভাগের লোকদের সাথে দালালি করে সামাজিক বনায়নের অংশীদার নিয়োগ করেছে। প্রতিটি বিটেই একই অবস্থা।
দালালদের টাকা দেওয়ার পরও গরীব,অসহায় যারা প্লট পায়নি তারা হলো কাশেম,হাসো,বাবুল,জহুরা,ফাজু,সাজেদা,নুরুল,জুব্বার,বাচ্চু,রাসেল,লুৎফর,মালেক,জাহান আলী,আজান হক,সুজন,হাবু,লাবু,শফিকুল,মুক্তিযোদ্ধা আ,রশিদ,দুলাল,তুলা,তাহার আলী,মেছেরসহ অগণিত। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা আজাহার আলী বলেন,সেই ১৯৯০সাল থেকেই আমার ও পরিবারের নামে প্লট রয়েছে। বহেড়াতলী রেঞ্জ অফিসার একেএম আমিনুর রহমান বলেন, প্লটগুলো অনেক আগে দেওয়া হয়েছে, কোন অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:11 PM |
Magrib | 5:32 PM |
Isha | 6:52 PM |