আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:২০
pnbd24:-কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্তমান দূতাবাসের দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত ,চট্রগ্রামের আওয়ামীলীগের নেতা এস এম আবুল কালাম ও দুতলায় প্রধান আনিসুজ্জামানকে দায়ী করে প্রবাসীদের অনেকেই বলেছেন এরা দায়িত্বে আসার পর থেকে কুয়েতের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ দেখা যায় নাই ।কারণ তাদের নজর ছিল কিভাবে অবৈধ পন্থায় আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়।দূতাবাসে ঘাঁপটিমেরে থাকা কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও বাহিরে থাকা কয়েকজন প্রভাবশালী প্রবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে এরা একটা গ্রুপ তৈরী করে।এর আগের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব:) আসহাব উদ্দিনের সময়ে কুয়েত দূতাবাসে থেকে যাওয়া ওই গ্রূপের কয়েকজন সদস্য তেমন কোনো সুযোগ পান নাই।আর আসহাব উদ্দিন সার্বক্ষণিক প্রবাসী কমিউনিটির সর্বস্তরের নানা সংগঠনের সদস্যদের সাথে দেশের ও প্রবাসীদের সম্মান বৃদ্দি নিয়ে কাজ কাজ করতেন ।আসহাব উদ্দিন চলে আসার পর থেকেই এই গ্রূপটির শ্রম কল্যাণ শাখার মন্দুব হিসেবে ক্ষেত দুর্নীতির বরপুত্র মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ও তৌহিদুল আলম মজুমদারসহ আনোয়ার তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দুতলায় প্রধান আনিসুজ্জামানকে ম্যানেজ করে নিয়ে রাষ্ট্রদূতকে বাক্স বন্ধি করে ফেলেন ।এরা সম্মলিত ভাবে বাহিরে থাকা সহযোগী গ্রুপটির সাথে মিলেমিশে তাদের চক অনুপাতে কাজ করতে থাকে ।
এরা শ্রম ব্যবসার সাথে সস্পর্ক ব্যক্তিদের নানা ধরণের হুমকি দিতে থাকে ।এক একটা ভিসা সত্যায়িত করে দেয়ার জন্য নানা অজুহাতে আন্ডার টেবিলে কুয়েতি ২০কেডি ধার্য করে দেয়।রয়েছে আরো নানা শর্ত ।একই সাথে প্রতি ভিসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এরা একেকজন কম পক্ষে ১০টি করে ফ্রিতে ভিসা দেয়ার জন্য নির্ধারণ করে দেয়।এরা ওই ভিসা তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেশে নিজেরা বিক্রি করে বাড়তি অর্থ আয় করে ।এখানেে তাদের আনা অনেক শ্রমিক এখনো তাদের ভিসা নবায়ন করতে পারে নাই ।এছাড়া তারা দেশে পাঠিয়ে দিবে বলে অনেক ব্যবসায়ীকে তারা হুমকি দিয়েও বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। যে সকল ব্যবসায়ী তাদের চাহিদা মতো অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে কিংবা ফ্রীতে ভিসা দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে তাদেরকে কালোতালিকা ভুক্ত করে নিজের উদ্যোগে কুয়েতের সিআইডি দিয়ে গ্রেফতার করে কুয়েতের বাংলাদেশী একটি কোম্পানির একজন সিওর সহযোগিতায় ।আর এদের এইসব অনৈতিক কর্মকান্ড কুয়েতের সকল প্রশাসন অবহিত রয়েছে ।
এই চক্রটি তাদের পথের কাটা মনে করে গণমাধ্যম কর্মীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে তারা তাদের ক্ষমতার অপবেবহার করে রাষ্ট্রের কোনো পরামর্শ ছাড়াই দেশে পাঠিয়ে দেয় রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম ও দুতলায় প্রধান আনিসুজ্জামানের সর্বাত্মক সহযোগিতায় ।ওই মানুষগুলো তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করতেছে ।এই ভাবে তারা মিলে মিশে নিজেদের ইচ্ছেমতো অনৈতিক কাজ করে যায় ।এদের এই অনৈতিক কাজের বিচার দাবি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।এই আনিসুজ্জামানের সহযোগিতায় সেলারি সার্টিফিকেট এ বেশি বেতন লিখিয়ে কুয়েত থেকে কানাডা পাড়ি দেয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে তৌহিদ ,ফরিদ গংরা ।প্রথম ট্রায়াল হিসেবে এরা ইউরোপের কয়েকটা দেশ ভিজিটও করেছে গতবছরে ।অথচ তাদের সেলারিতে যে অংক লেখা রয়েছে তাতে তারা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার যোগ্যতা রাখেনা।এর আগে এইরকম পথে কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত আরেক মক্ষীরানী হিসেবে পরিচিত খুলনার মেয়ে রুনা কানাডা চলে যায় ।এই রুনার বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ ছিল তারও কোনো বিচার হয় নাই ।সেই রুনার পথ অনুসরণ করে চলছে তৌহিদ,ফরিদ গংরা।
২০১৯ সালে সেপ্টম্বর মাসে প্রথম সপ্তাহে ওই কর্মচারীদের নানা অনিয়মের বিরুদ্দে কুয়েত প্রবাসী কিছু ভুক্তভুগীরা সম্মলিত ভাবে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে ।আর এই মানব বন্ধনের সংবাদ ঢাকারপ্রথম সারির কয়েকটি জাতীয় টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয় ।তারপরেও থিম থাকেনি এদের অপকর্ম ,বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের ।পর্যায়ক্রমে বেড়ে যায় তাদের অপকর্ম ।কুয়েত দূতাবাসের নিম্ন শ্রেণীর দুর্নীতিবাজদের মধ্যে রয়েছে শ্রম শাখার তৌহিদ ,ফরিদ ,আনোয়ার অন্যতম ।এরা সরা সরি উর্ধতনো কর্মকর্তাদের বাড়তি আয়ের পথ করে দেয়।কুয়েত দূতাবাসের নামে ধার্যকৃত এলকোহল বিক্রি করেও এরা অনেক অর্থ আয় করে ।বিশেষ করে তৌহিদ ,ফরিদ ,আনোয়ার এরা তাদের গ্রামের বাড়িতে বিশাল আলিশান বাড়ি করেছে ।রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর ।সুষ্ঠ তদন্ত করলেই এদের দুর্নীতির পিন্ডিরার বাক্সো খুলে যাবে ।যেমনটা খুলে যাবে রাষ্ট্রদূতসহ দুতলায় প্রধানেরও। তৌহিদও ফরিদের একটি অডিও প্রকাশ হয়।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সম্প্রতি অনেকে বলেছেন, বর্তমানে যেখানে নতুন স্থানে দূতাবাস রয়েছে তা একদম সাগর পারে।দূতাবাসের দুতালয় প্রধান আনিসুজ্জাকমান অফিস ছুটির পরেও দূতাবাসে অবস্থান করে আড্ডা দেন তার গ্রুপের লোকদের নিয়ে ।অনেক রাত পর্যন্ত চলে এই আড্ডা ,চলে অনৈতিক কাজের শলা-পরামর্শ ,চলে সীসা খাওয়া সহ আরো অনেক অনৈতিক কাজ ।তাদের এইসব কাজ এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে চাউর হয়ে রয়েছে ।রয়েছে কুয়েত প্রশাসনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।যতক্ষণ পর্যন্ত এই গ্রুপকে আইনের আওতায় না আনা হবে ততক্ষন পযন্ত কুয়েতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।এদিকে কোনো প্রবাসী দুর্নীতি নিয়ে কথা বললেই তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি প্রধান করে দুনীতিবাজ এই কর্মকর্তারা।এই ভাবেই তারা প্রবাসীদের দাবিয়ে রাখে ।তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়া তাদের দুর্নীতির তথ্য নামে বেনামে প্রচার হতে থাকে ।গত ২৫ বৎসরের খতিয়ানে জানাজায় বর্তমান কর্মকর্তারাই দুর্নীতির সাথে বেশি জড়িয়ে পড়েছে।তাদের এইসব দুর্নীতির কারণে আজ বিদেশে দেশের সম্মান প্রশ্নের সস্মুখীন।আজ কুয়েত সরকার যে হুমকি দিয়েছে প্রবাসীদের কালোতালিকাভুক্ত করার তার দায় রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম ও দুতালয় প্রধান আনিসুজ্জামান দায় এড়িয়ে যেতে পারবেনা ।8-4-2020)
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |