আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:০৫
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:-আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শরীয়তপুরের বিভিন্ন পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। তবে কে পাচ্ছেন, ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বা নৌকার টিকেট এ নিয়ে সব এলাকায় চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এমন অনেকেই এবার দলীয় মনোনয়নের আশায় লবিং-গ্রæপিং শুরু করেছে। তারা এলাকায় পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড দিয়ে ছেয়ে দিয়েছে নিজ নিজ এলাকা। মনোনয়ন লাভের জন্য স্থানীয় ও শীর্ষ নেতাদের কাছে চেষ্টা-তদবীর করছে তারা।
দলীয় সূত্রে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ডামুড্যা ও জাজিরা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া উঠেছে গত নির্বাচনে মনোনয়ন যুদ্ধে হেরে যাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীরা। গত নির্বাচনে নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পায় আওয়ামীলীগ নেতা, তৎকালিন মেয়র প্রয়াত হায়দার আলী। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম (বাবু রাড়ী) পরাজিত হয়। এতে নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকে বহিস্কৃত হয় বাবু রাড়ী। নির্বাচনে হায়দার আলী বিজয়ী হয়। পরে হায়দার আলীর মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে আবার দলীয় মনোনয়ন পায় নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম (ভিপি চুন্নু)। তাতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী বিজয়ী হয়। পরে মেয়র বাবু রাড়ী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতাদের সাথে লবিং ও তদবীর করে অজ্ঞাত ইশারায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয়। এতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও নড়িয়া পৌরসভায় উপ-নির্বাচনে প্রয়াত মেয়র হায়দার আলীর পুত্র, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান (জুয়েল) বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে। তিনিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ পেতে সক্ষম হন। ইতোমধ্যে শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী ও মাহমুদুল হাসান জুয়েল স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাস্টার হাসানুজ্জামান খোকন।
অন্যদিকে, ডামুড্যা পৌরসভায় গত নির্বাচনে মনোনয়ন পায়, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর বাচ্চু ছৈয়াল। ওই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয় আওয়ামীলীগ নেতা, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম (রাজা ছৈয়াল)। শেষ পর্যন্ত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায় রাজা ছৈয়াল। তবে এর আগের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করে রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল। ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বিভিন্ন দায়িত্বশীল নেতাদের সাথে লবিং করে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদ বাগিয়েও নেন তিনি।
এছাড়া জাজিরা পৌরসভায় গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পায় আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুস বেপারী। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামীলীগ নেতা আনিচুর রহমান মাদবর। নির্বাচনে ইউনুস বেপারী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। আর এবারও আনিসুর রহমান মাদবর দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে ভেদরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে গতবারের আগের বার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলো তৎকালিন মেয়র প্রয়াত আব্দুল হাই মাস্টার। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে করে বিজয়ী হয় তৎকালিন যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান হাওলাদার। তবে গত নির্বাচনে দলীয় মানোনয়নে বিজয়ী হন আব্দুল মান্নান হাওলাদার। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদও পেতে সক্ষম হন তিনি। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে, স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি, ত্যাগীদের এবার মূল্যায়ন করা হোক।
তবে দলীয় ও স্থানীয়দের দাবি, ওইসব বিদ্রোহী, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী তাদের যেনো কোনো ভাবেই দলীয় মনোনয়ন না দেয়া হয়। আর প্রথম দফায় ২৫ পৌরসভায় বিদ্রোহীদের দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে তারা। শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন পৌরসভায়ও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা।
এব্যাপারে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী বলেন, গত নির্বাচনে আমার কোন দলীয় পদ ছিলো না। তাই আমার কাছে কোনো ফরম বিক্রি করেনি। এ কারণে আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি।
এব্যাপারে ডামুড্যা পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল বলেন, গত নির্বাচনে আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। এবার মনোনয়ন পাবো, জয়ীও হবো, ইনশাআল্লাহ।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অনল কুমার দে বলেন, মনোনয়ন সবাই চাইতেই পারে। তবে আমাদের দাবি, বিদ্রোহীদের যেন কোনো ভাবেই মনোনয়ন না দেয়া হয়।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |