আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৬:৫৮
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- দেশের ৬টি চিনিকল বন্ধ এবং ৩টি বন্ধের নোটিশ প্রদান করায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার।
আজ এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, চিনিকল বন্ধে সরকারের এই আকষ্মিক সিদ্ধান্তে লাখ লাখ আখচাষী এবং হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চরম বিপাকে পরেছে। সৃষ্টি হয়েছে হতাশা এবং অনিশ্চয়তা। বেকার হবে শ্রমিক কর্মচারীরা। সরকারের এই অমানবিক ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে একদিকে আখচাষীসহ চিনি কলে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে অন্যদিকে বাজারে চিনির সংকটও সৃষ্টি হবে।
বিবৃতিতে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে চিনিকলগুলোকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে মনে হচ্ছে। চিনিকল সমূহে পরিচালনা পরিষদে ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও নেতাকর্মীদের সংযুক্ত করে তাদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে লুটপাট ও দুর্নীতি করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এই সকল চিনিকলগুলোতে চিনি, চিটা গুড় এবং যন্ত্রপাতি বিক্রয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রন করে কম মূল্যে তারা নিজেরাই ক্রয় করে নিচ্ছে। চিনিকলগুলোতে ইচ্ছেমতো দলীয় লোকদের মাষ্টাররোলে চাকুরীর নামে কোন কাজ না করিয়ে বেতন-ভাতা দিচ্ছে। যার ফলে ব্যায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ভারত থেকে নি¤œমানের চিনি আমদানী করে বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনগণ। আখ চাষীরা আখ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবে। এই চিনিকল কেন্দ্রীক অঞ্চলগুলোতে সাধারণ মানুষসহ কৃষকের প্রধান শষ্য আখ। আখ চাষের এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এই চিনিকলগুলোকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হয়ে থাকে। সরকারের এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত তৃণমূলের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। আখ চাষের এলাকাগুলোতে বর্তমানে লক্ষ লক্ষ একর জমিতে আখ দন্ডায়মান। ঠিক যেই মূহুর্তে কৃষকরা আখ কাটবে, সেই মুহুর্তে সরকারের এই হটকারী সিদ্ধান্তে কৃষকরা দিশেহারা। উৎপাদিত আখ নিয়ে কৃষকরা কি করবে, তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত পার করছে। যদিও সরকার বলছে, এই আখগুলো পার্শবর্তী চিনিকলে ক্রয় করা হবে, কিন্তু সেই চিনিকলগুলো অনেক দুরে হওয়ায় পরিবহনে যে খরচ লাগবে তা আখের মূল্য থেকে অনেক বেশি। এই চিনিকলগুলো সুনামের সাথে যুগ যুগ ধরে চিনি উৎপাদন করে আসলেও বর্তমানে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণ- চিনিকলগুলোর সকল স্তরে বর্তমান শাসকগোষ্ঠির একক নিয়ন্ত্রন, লুটপাট, দূর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা। এসব কারণে অন্যান্য কলকারখানার মতো চিনিকলগুলোরও বেহাল অবস্থা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দল ও মতের মানুষদের নিশ্চিহ্ন করে দীর্ঘকাল ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার চিন্তায় বিভোর থাকার কারণেই জনগণের ভালো-মন্দ দেখার সময় তাদের নেই। কিছুদিন আগেও সরকার ২৫টি পাটকল আকষ্মিকভাবে বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেকার করে দিয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা ঘরে ঘরে চাকুরীর পরিবর্তে ঘরে ঘরে বেকার সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন , চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চিনিকলগুলো খুলে দিয়ে আখমাড়াই শুরু করার জোর দাবী জানান।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |