আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:২৭
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ- মরে যাচ্ছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন বটগাছটি। এরই মধ্যে অসংখ্য ডালপালা মরে পড়ে গেছে। বটগাছটি দেখভালে বনপ্রহরী থাকলেও বিন্দুমাত্র যতœ নেন না। তবে স্বেচ্ছায় আব্দুল খালেক নামে একজন গাছটির যতœ নিচ্ছেন। বৃহত্তম এ বটগাছটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে কালীগঞ্জ-আড়পাড়া পাকা সড়কের পাশে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ৩০০ বছরের পুরনো এ গাছটি দেখতে আসেন। ১১ একর জমিজুড়ে রয়েছে এর অস্তিত্ব। এর উচ্চতা আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বর্তমানে গাছটি ৪৫টি বটগাছে রূপ নিয়েছে। এ গাছের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা না গেলেও এলাকার বয়োবৃদ্ধদের মুখে জানা যায়, একটি কুয়ার পাড়ে ছিল এ গাছের মূল অংশ। তখন জনবসতি ছিল খুবই কম। সড়কের পাশে এ গাছটি ছিল ডালপালা পাতায় পরিপূর্ণ। গাছের তলায় রোদ-বৃষ্টি পড়ত না। মাঘ মাসের শীতের রাতেও গাছের নিচে গরম থাকত। গ্রীষ্মে গাছের নিচে লাগত ঠাÐা। পথচারীরা গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন। বাস্তবে এ এলাকায় সুইতলা নামে কোনো স্থানের অস্তিত্ব নেই। তাই বয়োবৃদ্ধদের ধারণা, পথশ্রান্ত পথিকরা যখন এ মনোরম স্থানে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন, তখন থেকেই অনেকের কাছে এটি সুইতলা বটগাছ বলে পরিচিতি লাভ করে। আর এর থেকেই নামকরণ হয় সুইতলা বটগাছ। মূল গাছ এখন আর নেই। বর্তমানে প্রায় দু-তিনশ ‘ব’ নেমে প্রায় ১১ একর জমি দখল করে নিয়েছে এ বৃহত্তম গাছটি। গাছটি কেন্দ্র করে পাশেই বাংলা ১৩৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মল্লিকপুরের বাজার। বটগাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রেস্ট হাউসটি এখন আর বাসযোগ্য নয়। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসাও বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, ঐতিহাসিক এ বটগাছটি দেখভালের জন্য বাংলো বানিয়ে শাহিন কবির নামে একজনকে বনপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি মানুষকে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে লোকজন গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি শাহিন। তিনি বলেন, বন কর্মকর্তার নিষেধ আছে।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |