আজ শুক্রবার | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৭:৩২
বিডি দিনকাল ডেস্ক :- ভ্রাতৃত্বের জুটিবদ্ধ সফল রাজনীতি !! দুই সহোদর সপু-নেওয়াজ ছিলেন!!ঢাকা কলেজের সফল ভিপি!! লেখার বিষয় গুলো রাজনীতিতে ধ্রুব সত্য, অস্বীকার করলে হবে অসত্যের দাপট এবং সত্যের করুন মৃত্যু। সুতরাং যে বা যাঁরা সত্যকে আলিঙ্গন করতে ভালবাসে, কেবলমাত্র তাঁদের কাছেই হবে এই লেখার স্বার্থকতা, অন্যদের কাছে আমার লেখার স্বার্থকতা না থাকলেও, আমি খুশী এই জন্য যে, সত্য স্বল্প সংখ্যক হলেও আমি তাতেই তৃপ্ত, কারন শত কঠিন হলেও আমি সত্যকেই বেশী আলিঙ্গন করতে ভালবাসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল তথা ছাত্ররাজনীতিতে বাবলু-নীরু’র জুটিবদ্ধ ভ্রাতৃত্বের সফল রাজনীতির পর, ঢাকা কলেজের সপু-নেওয়াজ জুটিবদ্ধ ভ্রাতৃত্বের সফল রাজনীতি আজও রাজনৈতিক গগণে ঈর্ষানীয় সফলতার মূর্তপ্রতীক।
স্বৈরাচার সরকারের শতভাগ ছত্রছায়ায় লোটন-জোটনের ভ্রাতৃত্বের জুটি ক্ষনিকের তরে ছাত্র রাজনীতিকে প্রভাব বিস্তার করলেও, দীর্ঘ মেয়াদী হয়নি। কিন্তু বাবলু-নীরু এবং সপু-নেওয়াজের ভ্রাতৃত্বের জুটিবদ্ধ ছাত্র রাজনীতি ছিল অহংকারের এবং অনুকরনীয়। তাঁদের সফল রাজনীতির ইতিহাস ভঙ্গ করার মত ভ্রাত্বের জুটি আজও গড়ে উঠেনি। ভবিষ্যতের বিষয়টি সম্পূর্ন ভাবেই মহান আল্লার উপর ন্যাস্ত। একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে গোটা পরিবারের আন্তরিক সংমিশ্রিত এবং ত্যাগময় রাজনীতির সফলতার ইতিহাস, বোধ করি বাবলু-নীরু’র পরিবারের সাথে সপু-নেওয়াজের পরিবারই শ্রেষ্ঠ। ক্ষনজন্মা ভ্রাতৃত্বের জুটিবদ্ধ এমন সফল রাজনীতি, বোধ করি স্বাধীনতা পূর্ব কিংবা উত্তর উভয় সময়েই ছিল বিরল।
১৯৯০ সালে গণতন্ত্রের উত্তাল লড়াইয়ের সময় ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের ভিপি মনোনীত হয়ে লড়াইয়ে নামেন শ্রদ্ধেয় মীর সরফত আলী সপু।রাজনীতির সৌভাগ্যের রথযাত্রায় তাঁর সেই ঐতিহাসিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মিছিলে আমিও ছিলাম ক্ষনিকের তরে একজন অংশিদার। শ্রদ্ধেয় কামরুজ্জামান রতন ভাই সম্ভবত তখন সদ্য জেল মুক্ত হয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে রতন ভাইয়ের সাথে আমার কাকতলীয় দেখা হয়, তখন তিনিই আমাকে দেখামাত্র বললেন, “চল, ঢাকা কলেজে যাই”। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে শ্রদ্ধেয় রতন ভাইয়ের কথায় মনের হৃদয়ের ফূর্তিতে আমি তাঁর সাথে ঢাকা কলেজে উপনীত হলাম। নির্বাচনের ঢামাঢোল তখন তুঙ্গে, চারদিকে সপু-জাকিরের বিজয়ের ধ্বনি তখন প্রায় আকাশচুম্বি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই ছাত্রদলের প্যানেলের বিশাল মিছিল, সেই মিছিলের অংশিদারত্বের স্মৃতিপট আজও আমার কাছে চির অম্লান হয়ে আছে। সাধারন ছাত্রদের বিশাল ভোটে ঢাকা কলেজের ভিপি নির্বাচিত হবার পর শ্রদ্ধেয় সপু ভাইকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। চারদিকে তাঁর সাফল্যময় রাজনীতির গীত এমন ভাবেই রচিত হতে শুরু করল যে, যার ধারাবাহিকতায় রাজনীতিতে স্থবির প্রায় কিংবা মৃত প্রায় স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরু দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ছাত্রদলের রাজনীতির সফলতার মত তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলেও চরম সফলতার পরিচয় দেন। সোহেল-সপু-বাবু’র নেতৃত্বাধীন কমিটিই মূলত স্বেচ্ছাসেবক দলের অতীতের সাফল্য গাঁথা ছাত্রদলের রাজনীতির পথে চালিত করতে শতভাগ সফল হয়। তখন থেকেই মূলত নতুন উদ্যমে স্বেচ্ছাসেবক দল ”রাজনীতির বসন্তে” ফিরে আসতে বাধ্য হয়। আজ শ্রদ্ধেয় সপু ভাই সেই স্বেচ্ছাসেবক দলেরই জ্বলন্ত প্রদীপ হয়ে বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক দল বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তাঁর ত্যাগ, সাফল্য গাঁথা রাজনীতির সাথে তাঁর প্রিয় ছাত্রদল এবং বিএনপি’র জন্য কতবার জেল, হুলিয়া এবং নির্যাতন সহ্য করেছেন, তার ইতিহাস ফেসবুকের এই ক্ষুদ্র পরিসরে লেখা আমার জন্য সত্যিই বাহুল্য। শুধু এইটুকু বলা আবশ্যক যে, সাহসী, মেধাবী, ত্যাগী এবং প্রকৃত জিয়াপ্রেমিক সপুরা যুগে যুগে জন্মায় না। তাই তাঁদের ত্যাগময় রাজনীতির সফলতার ফসল পেতে হলে, প্রয়োজন পরিকলিপ্ত রাজনীতির সঠিক স্ট্র্যাটেজী, নতুবা তাঁদের এই বিশাল ত্যাগ ও পরিশ্রমের ফসল কেবল কোর্টের বারান্দায় এবং জেলখানার অন্ধকারেই নিরবে শেষ হয়ে যাবে।
অগ্রজপ্রতীম ভ্রাতা শ্রদ্ধেয় সপু’র মত ঢাকা কলেজে শ্রদ্ধেয় মীর নেওয়াজ আলীর ছাত্ররাজনীতিও ছিল ঈর্ষনীয় সাফল্যময়। ঢাকা কলেজ তথা ছাত্র সমাজের কাছে তখন ”সপু-নেওয়াজ” ছিল ছাত্ররাজনীতির একটি জনপ্রিয় ও সাড়া জাগানো “ব্রান্ড জুটি”। বড় ভাই সপু’র পরের বছরই ছোট ভাই মীর নেওয়াজও বিপুল ভোটের ব্যবধানে ঢাকা কলেজের নির্বাচিত ভিপি হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে ভ্রাতৃত্বের সফলতার নতুন মাত্রা যোগ করেন। আশি থেকে নব্বই দশকে ছাত্রদল তথা ছাত্ররাজনীতিতে মীর নেওয়াজের সাহসীকতা, নেতৃত্বের সাফল্য গাঁথার ইতিহাস আজও অম্লান। ছাত্র রাজনীতির অকসাৎ কাল বৈশাখী ঝড়ে শ্রদ্ধেয় নেওয়াজ আলী খানিকটা আহত হলেও, পরবর্তী সময়ে স্বীয় ত্যাগ, মেধা, শ্রম এবং দল প্রেমের নিরিখে সেই ক্ষত থেকে মুক্ত হয়ে পূর্বের মতই সফলতার পথে আবারও উল্কার মত ছুটে বেড়িয়েছেন। যার ফলে ঢাকা উত্তরের যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদ লাভ করতে তাঁর তেমন কোন বেগ পেতে হয়নি।সেই সাথে শ্রদ্ধেয় সাগীর আহমেদের অনাকাংখিত চিরবিদায়ের পর তিনি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সফল নেতৃত্বের পর শ্রদ্ধেয় মীর নেওয়াজ আলী কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদকের গুরু দায়িত্বও পালন করেন। দেশময় যুবদলের অগ্রযাত্রার পথ আরো বেশী গতিশীল করতে আজ তাঁকে বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব অপর্ণ করা হয়েছে। দল পাগল প্রকৃত জিয়াবাদী সাবেক ছাত্রনেতা এবং বর্তমান বিএনপি নেতা শ্রদ্ধেয় মীর নেওয়াজের ধ্যান, ধারনা, পথচলা এবং মস্কিস্কের চিন্তায় আজ রাজনীতিকে এমন ভাবে অক্টোপাসের মত ঘিরে রেখেছে যে, নিজ সংসারের মায়াকেও আজ অনেক সময় গৌণ মনে করে, প্রিয় দলের ভবিষ্যত কল্যানকেই মুখ্য মনে করেন। মূলত সেই কারনেই পুলিশি ভয় উপেক্ষা করে যেমন ভাবে দলের প্রতিটি সভা, সমাবেশ, নির্বাচনী প্রচরনায় তিনি অংশ নিয়েছেন, ঠিক তেমনি তাঁর সফল নেতৃত্বকে দমাতে যেয়ে সরকার তাঁকে অসংখ্যবার জেলের অন্ধকার কাষ্ঠরিতেও নিক্ষেপ করেছে। তথাপিও নেওয়াজের স্রোতময় রাজনীতিতে কখনও ভাটা পড়েনি, বরং প্রতিবার জেলমুক্ত হয়েই নবোদ্যমে নিজেকে সাজিয়েছেন প্রিয় দলের প্রতি গভীর থেকে গভীরতম প্রেমের জালে। যেখানে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানের প্রেম ছিল শিক্ষা জীবনের ”অপশনাল বিষয়” কিংবা ”চতুর্থ বিষয়” নতুবা ক্রিকেট-ফুটবলে ”দ্বাদশ খেলোয়াড়” এর মত।
ফেসবুকের এই ক্ষুদ্র পরিসরে এই সপু-নেওয়াজদের কথা লিখে শেষ করা সত্যিই দূরূহ, তথাপিও প্রাণপন চেষ্টা করেছি, আমার লেখায় যেন এই সফল ভ্রাত্বের জুটির কিঞ্চিত হলেও উপস্থাপন করতে পারি, কতখানি পেরেছি জানি না, তবে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, সপু-নেওয়াজের ভ্রাত্বের এই সফল জুটি যেন, ভবিষ্যত রাজনীতেও সফলতার পথে ধাবিত হয়। আমীন।( সংগ্রহীত )
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 12:00 PM |
Asr | 3:00 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:41 PM |