- প্রচ্ছদ
-
- রংপুর
- রৌমারীতে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় দুই হোতা আটক
রৌমারীতে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় দুই হোতা আটক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ
শামীম হোসাইন, রৌমারী প্রতিনিধি:-কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রায় দেড় লাখ টাকায় মোটরবাইকে ইয়াবা ঢুকিয়ে এক ইউপি সদস্যকে ফাঁসিয়ে দেয়ার ঘটনায় আটককৃত ২জন কে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে । গতকাল এনএসআই’র ২ সোর্সকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এর আগে ব্যাপক গণধোলাই দেয়া হয় তাদের। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রৌমারীগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে নুরুনবী নামের এক যুবককে আটক করা হয়। পরে আটক করা হয় হাফিজুর নামের আরেক যুবককে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদর জন্য এখনও পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ জানিয়েছেন।
ফাঁসিয়ে দেয়া ওই ইউপি সদস্যের নাম রবিউল করিম। তিনি রৌমারী সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ২য় বারের মত নিবাচিত সদস্য। তিনি বলেন, সিয়াম কাউন্টারের সামনে রাখা আমার মাটরবাইকের হ্যান্ডেলে ইয়াবা ঢুকিয়ে র্যাব দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দেয়া হয় গত বছরের ১ নভেম্বর। প্রায় ৪০দিন পর আমি জামিনে মুক্তি পেয়েছি। এরপর থেকে খুঁজতে থাকি কে আমার মাটরবাইকে ইয়াবা দিলো। পরে জানতে পারি হাফিজুর ও নুরুনবীর নাম। তারা আমাদর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালুর নিকট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়ার এ নাটক তৈরি করে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ১০ জন ইউপি সদস্যগণ আন্দোলন করে আসছি এবং বিভিন্ন অধিদপ্তরে লিখিত অভিযাগ দিয়েছি তা তদন্তাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, নুরুনবী দীর্ঘদিন ধর এনএসআই রৌমারী বিশেষ শাখার সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হুমকি, চাঁদাবাজি, নিরীহদের ফাঁসিয়ে দেয়াসহ এমন নানা অপকর্মের অভিযাগ ওঠে। এদিকে হাফিজুর রহমানও সাংবাদিক সেজে অনেক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত নুরুনবী রৌমারী গ্রামের আলী হোসেন ওরফে আলী খলিফার ছেলে ও হাফিজুর রহমান দক্ষিণ বাউশমারী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
এনএসআই’র এডি মোহসীন কবির বলেন, নুরুনবী আমাদর সোর্স নয়। সে কিছুদিন আমাদের কম্পিউটারে কাজ করেছিল মাত্র। সে ছিল র্যাবের সোর্স।
এদিকে জামালপুর র্যাব-১৪ এর কমান্ডার এএসপি সৌমীর সরকার বলেন, নুরুনবী নামে আমাদের কোন সোর্স রৌমারীতে নেই। তাছাড়া সোর্সের নাম বলা আমাদের নিষেধ। তাই এ বিষয়ে কোন কথা নয়।
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ী করা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযাগ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে কিছু মানুষ। সত্য বলতে কি, আমি এসবের কিছুই জানি না।
রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুরুনবী ও হাফিজুরকে এখনও পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন মামলা হয়নি।
Please follow and like us:
20 20