আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৩১
লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে নানা মতভেদ থাকলেও ৫৭ কাউন্সিলর প্রার্থী মেয়র পদে ভোটের ব্যাপারে অভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেলকে ভোটাররা যাতে ‘প্রকাশ্যে’ নৌকা মার্কায় ভোট দেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তারা একাট্টা হয়েছেন। রায়পুর পৌর নির্বাচনে রোববার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে।
রোববার বিকালে রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতারা কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ জেলা, উপজেলা ও পৌরসভার শীর্ষ নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।
সভায় সব কাউন্সিলর প্রার্থী কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের ইভিএমে ‘নৌকা’ মার্কায় প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা শুধু কাউন্সিলর ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চেয়েছেন। নৌকার বিজয়ের ব্যাপারে সেখানে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও আন্তরিক বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সভায় অংশ নেওয়া অন্তত ১৭ জন পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে যুগান্তর।
তবে রায়পুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দীপক বিশ্বাস বলেছেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সভা করার বিষয়টি আমি জানি না। প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্র“তি বা অঙ্গীকার করার বিষয়টি কেউ আমাকে বলেনি। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কাশেম বলেন, কেন্দ্রে নৌকার ভোট নেওয়ার বিষয়ে আমার আপত্তি নেই। আমি কাউন্সিলর ভোট নিরপেক্ষ চাই। এটা সভায় অন্য সব প্রার্থীর সঙ্গে আমিও একমত হয়েছি।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে বিএনপি-জামায়াত কেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খলা করেছিল। সব ধরনের সহিংসতা এড়াতে আমরা কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বসেছি। আমাদের মেয়র প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
স্থানীয় বিএনপির অভিযোগ, প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তারা পৌরসভার ৫, ৭ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনি সভায় হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করছেন। প্রতিদিন তারা মোটরসাইকেলে মহড়া ও প্রচারণার মাইক ভাঙচুর করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।
পৌর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা আমাদের সমর্থন দেওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের ডেকে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়া এবং সহযোগিতা করতে অঙ্গীকার করিয়েছেন। তারা আমাদের প্রচারণা চালাতে দিচ্ছেন না। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ চাই।
রায়পুরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি^তা করছেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৫১ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ছয়জন প্রার্থী রয়েছেন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |