আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৪২
ডেস্ক:- কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষার নির্দেশসহ রায় বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে রিটকারী পক্ষের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২৫শে এপ্রিল পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতিকে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। পরে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পদক্ষেপ জানতে চেয়ে আদেশ দিয়েছেন। সংস্কৃতি সচিব, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, স্থপতিসহ বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালের ২৫শে আগস্ট ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার নির্দেশসহ আট দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
১. ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করা। ওই এলাকায় ভবঘুরে লোকজনের আনাগোনা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে পাহারার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ২. শহীদ মিনারের মূল বেদিতে সভা-সমাবেশ করা থেকে বিরত থাকা। তবে মূল বেদিতে ফুল দেয়া যাবে। ২১শে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান করা যাবে। আর বেদির পাদদেশে সভা-সমাবেশ করা যাবে। একই সঙ্গে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তিনজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ। ৩. ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মরণোত্তর পদক ও জীবিতদের জাতীয় পদক প্রদান করা। ৪. জীবিত ভাষাসৈনিকরা আর্থিক সহায়তা চাইলে, তা প্রদান। ৫. বিশ্ববিদ্যালয় ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ ও এর মর্যাদা রক্ষা করা। ৬. শহীদ মিনারের পাশে একটি গ্রন্থাগারসহ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা এবং ওই জাদুঘরে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসসমৃদ্ধ তথ্যপঞ্জিকা রাখা, যাতে আগত ব্যক্তিরা এ সম্পর্কে জানতে পারেন। ৭. ভাষাসৈনিকদের প্রকৃত তালিকা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা এবং ২০১২ সালের ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে ওই তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ। ৮. ভাষাসৈনিকদের সব রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো এবং সাধ্যমতো সরকারি সুযোগ নিশ্চিত করা।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |