আজ রবিবার | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৫:৪৮
ডেস্কঃ- সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে রাতের আধারে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস। এসময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অতিরিক্ত ভাড়া। করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা।
সরেজমিনে শনিবার (১০ এপ্রিল) ও রোববার (১১ এপ্রিল) দুই দিন রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ঢাকার প্রবেশ ও বাহিরপথ আব্দুল্লাহপুরে দায়িত্বরত পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই চলছে দূরপাল্লার বাস। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অর্ধেক সাটার লাগিয়ে খোলা রাখা হয় বাস কাউন্টার। এসব বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
সরোজমিনে দুইদিন আব্দুল্লাহপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতের আধারে অন্যত্র এলাকা থেকে আব্দুল্লাহপুরে বাস প্রবেশ করা মাত্রই বাসটিকে আটক করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও সার্জেন্টরা। বাস ধরতে পারলেই চালক ও হেলপারদেরকে সর্বনিম্ন পাঁচশত টাকা থেকে দুই হাজার টাকা গুণতে হয়। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কিংবা কনস্টেবলকে পাঁচশত টাকা থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই রক্ষা পান ড্রাইভার হেলপাররা।
এদিকে ‘লকডাউনের’ মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে ঢাকা এবং অন্যান্য মহানগরীতে গণপরিবহন চলবে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই চলাচলের সুযোগ থাকবে।
এসময় পাবলিক বাসগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে। এছাড়া দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
‘লকডাউনের’ সময় অফিসের যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে গণ-পরিবহন চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
এ সময় পরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সবাই এবং যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রতি ট্রিপের পরে পরিবহন জীবাণুমুক্ত করার শর্তও দেয়া হয়েছে।
এমন নিষেধাজ্ঞার পরও অনেক গাড়ীতে দেখা যায়- ভীড় করে যাত্রী পরিবহন করতে। আর প্রতিটি ট্রিপের পর জীবাণুমুক্ত করা তো দূরের কথা অনেক বাসের যাত্রী ও চালক, হেলপার কিংবা সুপারভাইজারই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
গুলিস্তান টু গাজীপুরগামী গাজীপুর পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১২-৩৬৬৬) হেলপার আল আমিন বলেন, রাত ১০টার পরেও গাড়ী চালানোর কারণে আব্দুল্লাহপুরের সার্জেন্ট রকি স্যার গাড়ীর কাগজ নিয়ে নিয়েছেন। পরে স্যারকে ৫০০ টাকা দিয়ে মাফ পেয়েছি।
তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে বের হওয়ার পর সার্জেন্টরা গাড়ী ধরলেই সর্বনিম্ন ৫০০ টাক থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। না দিলে মোটা অংকের টাকার মামলা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
গাজীপুর পরিবহন – হেলপার আল আমিন। তার অভিযোগ- রাত ১০টায় গাড়ী নিয়ে বের হইছি বিদায় সার্জেন্টকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল্লাহপুরে রাতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সোহাগ আলম রকি বলেন, ওই বাসে প্রতিবন্ধী লোক যাত্রী ছিল। সেই সাথে পুলিশ দুই জন ছিল। তারা রাজলক্ষ্মী থেকে উঠেছে। তাই তাদেরকে
সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হেলপার আল আমিনের অভিযোগ মিথ্যা, আমি গাজীপুর পরিবহণ থেকে এক টাকাও নেই নাই।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:07 PM |
Asr | 3:10 PM |
Magrib | 5:31 PM |
Isha | 6:50 PM |