আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:৪১
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি: ঝালকাঠি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ের অভ্যন্তরে নির্মানাধিন পানি পরিক্ষাাগারের ৬০লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন দ্বিতল ভবনের নির্মান কাজে ব্যাপক দূর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার শুরু থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী,এসও,ক্যাশিয়ার ও ষ্টোরকিপারের সহযোগীতায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ন নিন্মমানের মালামাল দিয়ে তাদের নির্মান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। ওয়ার্ক অর্ডার বা কার্যাদেশ প্রধানের ক্ষেত্রে (ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট) নির্মান সামগ্রীর মান পরিক্ষা রিপোর্ট জমা দেয়া শর্ত হলেও ঠিকাদার রিপোর্ট ছাড়াই প্রথম তালার ছাদের ডালাই পর্যন্ত সম্পন্ন করেছে। গত বুধবার এ সম্পর্কে খোজ খবর নিতে সাংবাদিকরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট দেখাতে না পেরে ঠিকাদার জমা না দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানে ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ঝালকাঠি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে গত ফেব্রয়ারী মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গির এন্টার প্রাইজ ৬০লাখ টাকা ব্যায়ে পানি পরিক্ষাাগারের দ্বিতল ভবন নির্মানের কার্যাদেশ পেয়েছে। তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ৩লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে বিধিলংগন করে ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট ছাড়াই কার্যাদেশ দিয়েছে। গত ৯ মার্চ নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম ঝালকাঠি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের যোগ দানের পরেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। ইতিমধ্যে ভবনের প্রথমতালার ছাদ ঢালাইও সম্পন্ন করলে ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট ছাড়াই কাজ করার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের অভ্যন্তরে সকলের চোখের সামনে এ নিন্মমানের কাজ চললেও দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও অমিত কর্মকার ১লাখ টাকার বিনিময়ে এনিন্মমানের মালামাল দিয়ে চলা নির্মান কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। নিন্মমানের ইট-খোয়া দিয়ে, ১০টা খোয়া-বালুতে ১টা সিমেন্ট ব্যবহার করে কাজ করলেও কেউ টুশব্দটিও করছেনা।
এ বিষয়ে গত ৩০সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিক নির্বাহী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে জানায়, ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট ছাড়া কোন কার্যাদেশ দেয়ার বিধান নেই বলে। তখন রিপোর্ট দেখতে চাইলে তিনি জাহাঙ্গির এন্টার প্রাইজের পুরো ফাইলটি সামনে আনেন। তিনি অনেক ঘাটাঘাটির পর অফিস সহকারীসহ কয়েকজনকে ডেকে ঠিকাদারের ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট জমা দেয়নি বলে জানতে পেরে তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পরেন। এঅবস্থায় ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদার কিভাবে একতালা ভবনের কাজ সম্পন্ন করলে চাইলে তিনি চুপ করে থাকেন। এরপর তিনি বলেন, আমি গত ৯মার্চ এই জেলায় যোগ দিয়েছি এবং এই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পূর্বের নির্বাহী প্রকৌশলী দিয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।
পরে সাংবাদিকরা ভবন নির্মান কাজের স্থলে গেলে সেখানে এসও বা অন্যকোন কর্মকর্তা ছাড়াই কাজ চলতে দেখা যায়। পরে অন্যস্থানে উক্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও অমিত কর্মকারের সাথে সাক্ষাৎকালে ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট আছে কিনা বা নির্মান সামগ্রী মানসম্মত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেষ্ট রিপোর্ট দেখা তার দায়িত্ব নয় এটা নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্ব। আমি সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট পেয়েছি ও ওয়ার্ক অর্ডার দেখে কাজ শুরু করেছি।
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সাংবাদিকদের কাছে ধরা পরার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকারদারের একপুত্র ষ্টোরকিপার পরেশ চন্দ্র নিয়ে বরিশাল পলিট্যাকনিক্যাল কলেজযান। সেখান থেকে গত ২০ মার্চ ২০২০ইং তারিখে স্বাক্ষরিত একটি ভ‚য়া ম্যাটারিয়াল টেষ্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করে ঘটনা ধামাপাচা দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়সচেতন মহল উর্ধতন কতৃপক্ষ ও দুদকসহ মন্ত্রনালয়ের আসুহস্থক্ষেপ কামনা করেছে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |