আজ শুক্রবার | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১০ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:১০
বিডি দিনকাল ডেস্কঃ- বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিট(সিসিইউ) থেকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তরিত হলেও খালেদা জিয়া ‘এ্খনো ঝুঁকিমুক্ত’ নন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সকা্লে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ ম্যাডামকে গতকাল(বৃহস্পতিবার) বি্কেলে একটা বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো একেবারেই উনি যে সুস্থ হয়ে গেছেন তা নয় কিন্তু। অত্যন্ত বলা যেতে পারে যে, এখনো একটা হেজারড অবস্থার মধ্যে আছেন, ভারগানেবল অবস্থার মধ্যে আছেন।”
‘‘তার(খালেদা জিয়া) হার্ট, কিডনি, লাংক -এই তিনটা কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছেন।যদিও তার ফুসফুসে সংক্রামন নেই বা সেই ধরনের কোনো ইনফেকশনও নেই। কিন্তু হার্ট তার এখনো সমস্যা আছে, কিডনিতেও সমস্যা আছে। ক্রিটেরিন এখনো হাই।”
বিশেষ কেবিনে কেনো স্থানান্তর করা হয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ ম্যাডাম সিসিইউতে(করোনারী কেয়ার ইউনিট) ছিলেন, সেই সিসিইউতে তার কোবিড পরবর্তি কতগুলো রিঅ্যাকশন হয়েছিলো এবং আরেকটি রি-অ্যাকশন যেটা বিপদজনক ছিলো যে তার রক্তে কিছুটা ইনফেকশন হয়েছিলো। যেটাকে সিস্টোফেনিয়া বলে।”
‘‘ আল্লাহ রহমতে ডাক্তারদের অত্যন্ত বিচক্ষনতার সঙ্গে তাদের আন্তরিকতার কারণে সেই ইনফেকশনটাকে তারা দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। যেহেতু ওইখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারো হতে পারে সেই কারণে উনারা তাকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করেছেন।”
একমাস সিসিইউতে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকালে খালেদা জিয়াকে বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। যেখানে সিসিইউর সকল সুবিধাদি রয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোবিড জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যে মেডিকেল বোর্ডের সার্কি তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিতসা চলছে।
গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল নিয়ে স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারন করা হয়। গত সপ্তাহে দুই নলই খুলে ফেলার পর চিকিতসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হলো।
সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাত’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামসুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:29 PM |
Isha | 6:49 PM |