আজ বৃহস্পতিবার | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৩৪
নজরুল ইসলাম মানিক, আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি : সারাদেশে চলমান কঠোর লকডাউনের চতর্থদিনে সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের পরিমাণ ও লোকজনের চলাফেরা কম রয়েছে। তবে পাড়া-মহল্লার অলিতে গলিতে মানুষের জটলা ও দোকানপাট খোলা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খোলা রাখা হয়েছে দোকানপাট। খোলা রয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন বাজার। এদিকে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব। করা হচ্ছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। বিনা কারণে বাইরে আসা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের ১৪ মামলায় ৫হাজার ৯’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
রোববার কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ও বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে দিনব্যাপী ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
সরেজমিনে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক, বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যথারীতি চলছে ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটোরিকশা। সেই সাথে চলছে পণ্যবাহী বিভিন্ন পরিবহণ। তবে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার কোন পরিবহন চলতে দেখা যায়নি। মহাসড়ড়ে মানুষের চলাচল সীমিত দেখা গেলেও বিভিন্ন পাড়া মহল্লার চিত্র ছিল ভিন্ন। পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দোকানপাট, ছোট-বড় বাজার সবকিছ্ইু খোলা ছিল স্বাভাবিক দিনের মতই। লোকের সমাগমও ছিল চোখে পড়ার মত।
আশুলিয়ার জিরানী বাজারে কথা হয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ বিক্রেতার সাথে। তিনি জানান, ‘‘মাছ বিক্রি না করলে খামু কি? আমাদেরতো একমাত্র পোশা এটা। মাছ বিক্রি করেই চলে সংসার। একদিন মাছ বিক্রি করতে না পাড়লে সংসার চলবে না। তাই বাধ্য হয়েই লকডাউনের মধ্যে মাছ বিক্রি করছি। তবে প্রশাসনের লোকজন এসে উঠিয়ে দিলেও তারা চলে গেলেই আবার বিক্রি শুরু করি।’’
আশুলিয়ার শিমুলিয়া আমতলা বাজারও চলছে আগের মতই। সেখানে কথা হয় সবজি বিক্রেতা আলী হোসেনের সাথে। তিনি জানান, ‘‘মহাসড়ক থেকে আমাদের এখানে প্রশাসনের লোকজন ঢুকতে ঢুকতে দোকানপাট বন্ধ করেই আমরা চলে যাব। তাই বাজারে বসে সবজি বিক্রি করতেও কোন সমস্যা হয় না। তবে লকডাউন চলাকালীন অবস্থায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাজারে সবজি বিক্রি করছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ছোট-খাট ব্যবসায়ী। সবজি বিক্রি করেই মূলত আমার সংসার চলে। আর উপার্জন আমি একাই করি। এখান থেকে যা হয় তা দিয়েই সংসার চলে আমার। একদিন বাজার না করলে মুখে খাবার উঠবে না। তাই বাধ্য হয়েই বাজারে এসেছি।’’
এদিকে, আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনে সরকারি বিধি-নিষেধ না মানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি নিদের্শনা না মানায় ১৪জনকে ৫হাজার ৯’শ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক আরোপিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশুলিয়ার বাইপাইল এরিয়া সংলগ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি বিধি না মানায় মোট ১৪টি মামলায় ৫হাজার ৯’শ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে সেনাবাহিনী ও আশুলিয়া থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:18 AM |
Sunrise | 6:39 AM |
Zuhr | 11:59 AM |
Asr | 2:59 PM |
Magrib | 5:20 PM |
Isha | 6:40 PM |