আজ মঙ্গলবার | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১২:১০
এম, এ কাশেম : ‘চলমান লক্ ডাউন’র প্রাক্কালে অসুস্থ্যতার ধকলে পড়ে বাজার-রাস্তার কি রকম দৃশ্য বহমান তা দেখার সৌভাগ্য থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত-ই ছিলাম গত সপ্তাহ যাবত। অসুস্থ্যতার ধকল কাটিয়ে উঠতে না পারলে ও কিন্তু মন কে শান্তনা দিতে না পেরে আজ বেলা ১১টার দিকে নিজে নিজেই শারিরিক শক্তি সঞ্চয় করে বের হয়ে পড়লাম পেশা দারিত্বের খাতিরে। ভাবনায় ছিলো-বাজার-রাস্তা সর্বত্র-ই শুনশান নিরবতায় ‘ভুতুড়ে’ পরিবেশ বিরাজমান দেখা যাবে। কিন্তু, না। তা আর দেখা গেলো না! ঘর-বাসা/বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমেই চোখে পড়লো গ্রাম্যাঞ্চলের সব দোকান-পাট অতিতেরে যে কোনো সময়ের মতো সব-ই খোলা ! এর পর রাস্তায় দু’ একটি বাদে যথারিতি প্রায় সব গাড়ি-ই চলাচল করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অতি গুরত্ব বহন করা বাজার, উত্তর চট্টগ্রামের জনবহুল বাজার খ্যাত বারইয়ারহাট পৌর বাজারে পৌছে হাস্য-রসাত্মক দৃশ্য দেখা গেলো। বাজারের বিভিন্ন মার্কেট এর তালা বিহীন গেইটে কয়েকজন দোকানী অসহায় দৃষ্টিতে কার অপেক্ষায় যেনো দাড়িয়ে রয়েছে। একটু ফাঁক দিয়ে কেউ কেউ ভিতরে ও প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছে। সে সুবাদে এ প্রতিবেদক ও সেই ফাঁক দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গেলো। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেলো-কেউ কেউ কেনা-কাটার কাজ ও সেরে নিচ্ছে। এর বাইরে অনেক দোকান এর সাটার পেলে রেখে একটু ফাঁক করে রাখা দোকানী উঁকি মেরে চেয়ে আছে কেউ কিছু কেনাকাটা করতে আসছে কী না। যদি ও বা প্রতিনিয়ত’র চাইতে একটু কম তথাপি যথারিতি তারা ও তাদের আশা পূর্ন করে নিতে পারছে। তবে, তাতে কোনো ধরণের ঝটলা দেখা যায়নি। সবার-ই চোখে-মুখে কেমন জানি ভয় ভয় ভাব। তবে, দোকানদারদেরকে ধন্যবাদ না দিলে নয়। কারন, তারা সরকার ও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পুরো দোকান খোলা রেখে বিকিকিনি করছেনা বলে। অবশ্য, গুটি কতেক ছাড়া অধিকাংশ দোকান পুরোপুরি বন্ধ থাকতে ও দেখা গেছে। কোনো কোনো দোকানী ‘লক্ ডাউন’ সুবাদে ক্রেতাদের গলায় চুরি চালানোর মতো বিভিন্ন জিনিষাধির দাম দ্বিগুণ তিনগুণ ও হাতিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থার ‘লক্ ডাউন’ দিয়ে অযথা দোকানদার দেরকে কষ্ট দেয়ার ও কোনো মানে হয়না বলে অবস্থাদৃষ্টে তা-ই বলা চলে। মার্কেট বা দোকান খোলা নেই, এমন কি কোনো ধরণের মানুষের সমাগম ও নেই বললেই চলে। কিন্তু, সড়কের দু’পাশ ঘেঁষে বিভিন্ন লোকজন দোকান বসিয়ে দিব্যি বিকিকিনি করে চলেছে! বিশেষ করে বিভিন্ন ফল-ফলাধির দোকান এবং বলতে গেলে রাস্তার ওপর-ই আম, জাম, কাঁঠাল সহ নানাবিধ: মৌসুমী ফল বিক্রির মহৌৎসব চলছে। আর এখানেই মানুষের সমাগম অতিতের মতো-ই। এখান থেকেই ‘করোনা’ উৎপত্তি যে ঘটতে পারে তা নিদ্ধিধায়-ই বলা চলে। আন্তঃজেলা গাড়িগুলো যথারিতি বন্ধ। এমন কি, বারইয়ারহাট থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী ‘চয়েস’ ও ‘উত্তরা সার্ভিসের গাড়িগুলো ও বন্ধ। অন্য দিকে বারইয়ারহাট থেকে ফেনী গামী কোষ্টার গুলো ও বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রী-সাধারণ অবর্ননীয় দুর্ভোগের মধ্যে ও পড়ে থাকতে হয়েছে। তবে, সরকার ও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে এখানকার বিশ্ব রোড থেকে ফেনী পর্যন্ত প্রতিজন ১শতো টাকা করে মোটর সাইকেলে যাত্রী আনা-নেয়া করছে কিছু বাইক চালক। যদি ও বা অতিতের স্বাভাবীক সময়ে বারইয়ারহাট থেকে ফেনীর ভাড়া ২০/২৫ টাকা। অপর দিকে দক্ষিণ মুখী ও কিছু বাইক অনরুপ ভাবে চলাচল করছে। এ ছাড়া-মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ হলে ও দ্বিগুন-তিনগুন ভাড়া নিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে। এমন কি দুর-দুরান্তে যাওয়া-আসার জন্য রয়েছে বিশ্ব রোড থেকে বিভিন্ন প্রাইভেট কার ও মাইক্রো গুলো। তবে, ভাড়া তুলনাহীন বেশী। বাজারের হাতে গোনা দুয়েকটি নামী-দামী হোটেল-রেষ্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হলে ও কেউ কেউ সরকারি নির্দেশের তোয়াকা না করে যথারিথি খোলা রেখে বিকিকিনি চালিয়ে যাচ্ছে সোৎসাহে। বিশ্ব রোডে থানা পুলিশ, হাইহওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে একটি চেক পোষ্ট স্থাপন করে সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত থেকে যথারিতি বিভিন্ন গাড়ি আঁটকিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ঠিক্-ই কিন্তু অন্য দিকে তাদের কোনো দায়িত্ব আছে কী না তা অবস্থাদৃষ্টে বুজার কোনা সাধ্য ছিলো না। এ যদি হয় ‘লক্ ডাউন’ তাহলে অযথা বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান গুলো বন্ধ রাখার কড়া নির্দেশ দিয়ে দোকানীদের ব্যবসার ওপর লস্ নামক ‘জগদ্দল পাথর’ চাপিয়ে দিয়ে তাদের কষ্ট দেয়া কি এমন দরকার হয়ে পড়েছে সরকার ও প্রশাসনের এমন প্রশ্ন রেখে উদ্বিঘ্নতা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহল। বিশেষ দ্রষ্টব্য: বাবলু ভাই নেট’র অত্যন্ত ধীরগতির কারণে মেইলে নিউজ পাঠাতে পারছিনা। আরো ২/১টি নিউজ ছিলো। মেইল এ পাঠাতে পারলে তা পরে পাঠাবো। উপায়হীন হয়ে এই নিউজটি ইনবক্সে-ই দিতে হলো পাবলিশ করার জন।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |