আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৫৩
উজ্জ্বল রায় (জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে:-নড়াইলের বনগ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম রবি (৫২) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে স্বজনরা তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভেন্টিলেটর সেবার অভাবে ১১ জুলাই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
অথচ শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের চিকিৎসায় এ হাসপাতালে চারটি ভেন্টিলেটর রয়েছে। দুটি পৌঁছেছে ৭ মাস আগে। বাকি দুটি ৫ মাস আগে। কিন্তু এখনও এসব ভেন্টিলেটর বাক্সবন্দি। এদিকে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএফএম মশিউর রহমান বলেন, ভেন্টিলেটর দিলেই তো আর হবে না, তা যে চালাবে তার তো ট্রেনিং দিতে হবে। সেটাতো নেই। বাক্সের ভেতরে যে কী আছে, সেটাও তো আমরা খুলে দেখতে পারছি না, যতক্ষণ না তারা (কেন্দ্রীয় ঔষধাগার) এসে এগুলো চালু করে দেবে। আমরা তাদের লিখেছি। এগুলো বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই হাসপাতালে স্থাপনের জন্য দুটি ভেন্টিলেটর যন্ত্র পাঠায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দেয়া হয় আরও দুটি ভেন্টিলেটর। এ দুটি রাখা হয়েছে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষের বারান্দায়, অন্য দুটি একতলা ভবনের করোনা ওয়ার্ডে। এদিকে নড়াইলে টানা ২৫ দিন সর্বাত্মক বিধিনিষেধের পরও করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুও। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জুন থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত এক মাসে মারা গেছেন ৪৪ জন। শুধু জুলাইয়ের ১৬ দিনেই ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাক্সবন্দি ভেন্টিলেটর সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আসাদুজ্জামান টনি বলেন, নড়াইল সদর হাসপাতালে আইসিইউ নেই। আইসিইউ না থাকায় ভেন্টিলেটরগুলো চালানো যাচ্ছে না।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুজন আইসিইউ বিশেষজ্ঞ জানান, আইসিইউ ছাড়াও ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা যায়। পরে ধাপে ধাপে আইসিইউ করা যায়। সিএমএসডিতে অসংখ্য অটোমেটেড (আইসিইউ) শয্যা আছে, তা চাইলেই পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আকতার বলেন, সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি হচ্ছে। তাই আমরা দুটি ভেন্টিলেটর সেখানে দিয়েছি। এখন সেগুলো চালু করার দায়িত্ব হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের নার্স (ইনচার্জ) বাসনা সাহা বলেন, দুটি ভেন্টিলেটর আড়াই মাস আগে করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে, তা আজও বাক্সবন্দি। এগুলো চালানোর নিয়ম শেখাতে ৩ দিন ঢাকা থেকে অনলাইনে আমাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমি সে সময়ই বলেছি, আমি কিছু বুঝতে পারছি না। তখন প্রশিক্ষকরা বলেছেন, তারা এখানে এসে এগুলো চালিয়ে দিয়ে যাবেন। জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে উপ-পরিচালক (পিঅ্যান্ডসি) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা বার্তা পেলেই ভেন্টিলেটর চালু করার ব্যবস্থা করে দেই। চালু হয়নি এটা ফোনে জানালেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
Dhaka, Bangladesh সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:17 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:58 AM |
Asr | 2:58 PM |
Magrib | 5:18 PM |
Isha | 6:39 PM |