আজ সোমবার | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ |২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:৫৪
বরিশাল:-বরিশালের হিজলা উপজেলার একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের (কুঞ্জপট্টি গুচ্ছ গ্রাম) ঘর ভেঙে মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ধুলখোলা ইউনিয়নের ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) শংকর চন্দ্র মালাকারের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারে ৫ লাখ টাকার মালামাল মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
তবে তহসিলদার শংকর চন্দ্র মালাকারের দাবি, আশ্রয়ণের ঘরগুলোর মধ্যে ৭টি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকিগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরিয়ে আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে লেবার ও ট্রলার ভাড়া মেটাতে তিনি এ মালামাল বিক্রি করেছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, আলীগঞ্জ বাজারের কুয়েতি মার্কেট ও আলীগঞ্জ মাদ্রাসার সামনে পড়ে আছে আশ্রয়ণের টিন, কাঠ, সিমেন্টের খুঁটি ইত্যাদি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এসব কিছু কুঞ্জপট্টি থেকে নিয়ে আসেন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র মালাকার। বাজারে এনে পানির দরে বিক্রি করেন তিনি। কুঞ্জপট্টি আশ্রয়ণের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, নজরুল ইসলাম, হাবিব নকতি, মহিউদ্দিন, বাবুল সরদার ও মোজাম্মেল ব্যাপারী বলেন, তহসিলদার শংকর মালাকার এবং স্থানীয় সুমন চৌধুরী, রামপ্রাসাদ, নিমাই মালাকার, সমির মালাকার আমাদের ব্যারাক ভেঙে তহসিল অফিসে নিয়ে যান। পরে শুনি সেগুলো বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রামপ্রসাদ, নিমাই মালাকার ও সমির মালাকার বলেন, তহসিলদার নিজে এ মালগুলো আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। পরে আমরা তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেই। স্থানীয় শাহজাহান সরদার জানান, তিনি বেশকিছু রুয়া, বাঘা কিনেছেন তহসিলদারের কাছ থেকে। তিনি বলেন, বৈধ-অবৈধ জানা নেই। টাকা দিয়ে কিনেছি।
সিরাজ কসমেটিক নামের এক দোকানদার বলেন, যখন কুঞ্জপট্টি থেকে এখানে এনে টিন, কাঠ বিক্রি করল তখন কেউ কোনো প্রতিবাদ করল না। আমরা তো টাকা দিয়ে এগুলো তহসিলদারের কাছ থেকে কিনেছি। আমাদের কী অপরাধ।
স্থানীয় দুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মকবুল আহম্মেদ বলেন, সরকারের লোক সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করছেন। সেখানে আমার বাধা দেয়ার প্রয়োজন কিসের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ধুলখোলা ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা শংকর মালাকার বলেন, ঘরগুলো ভাঙতে তো খরচ হয়েছে। মালামাল আনতে খরচ হয়েছে। আমি কি তা পকেট থেকে দিয়ে দেব? তবে সরকারি মালামাল তিনি বিক্রি করতে পারেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রাসেল মাঝি বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে ঘর ভাঙার জন্য ২ হাজার টাকা দিয়েছেন। সে মোতাবেক ঘর ভাঙা হয়েছে। পরে তহসিলদার নিজ ক্ষমতায় ঘরগুলো ট্রলারে করে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করে দেন।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হিজলা উপজেলার চলতি দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাশ জানান, ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য হিজলা ভ‚মি অফিসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, প্রকল্পের কোনো জিনিস কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। করতে হলে জেলা প্রশাসনে অর্ডারের মাধ্যমে নিলাম করে বিক্রি করতে হবে।
জেলার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Dhaka, Bangladesh রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:16 AM |
Sunrise | 6:37 AM |
Zuhr | 11:57 AM |
Asr | 2:57 PM |
Magrib | 5:17 PM |
Isha | 6:38 PM |