আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:৪১
বিডি দিনকাল ডেস্ক :-গতকাল ১৪ আগস্ট ২০২১ শনিবার, বিকেল ৪-০০টায় নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দের ওপর আস্থা রেখে দায়িত্ব অর্পণ করায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে সভার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব আবদুস সালাম বলেন, দেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনেক রাজনৈতিক বন্দীকে সময়মত মুক্তি না দিয়ে নানা টালবাহানায় তাদের আটকে রাখছে এবং এরপরেও কেউ জামিন নিয়ে মুক্তিলাভ করলেও কারাফটক থেকে নিত্য-নতুন সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুনরায় আটক করে তাদের জেলে পুরছে। সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এধরণের তৎপরতা দেশের আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এ ধরনের বেআইনী কর্মকান্ড থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি। সরকারের এধরনের আচরণ মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
আমরা যখন সাংবিধানিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো পালনের উদ্যোগ নিচ্ছি এবং আমাদের দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে পূণর্গঠনের মতো সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে এগুচ্ছি তখন সরকার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য-নতুন মিথ্যা মামলায় আটক করছে, পুরনো মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন করে চার্জশীট প্রদান করছে। এই ধরণের অপকর্মের মূল লক্ষ্য হলো বিরোধী দলকে কোনভাবেই সাংগঠনিক কাজ করতে না দেয়া।
সারা পৃথিবীতে যখন কর্তৃত্ত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটছে, একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের বিলোপ ঘটছে-তখন শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী দলকে নির্মূল করার দিবাস্বপ্নে বিভোর।
আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে দীর্ঘ সময় দেশ শাসন করা যায় না, অতীত ইতিহাস সেটিই সাক্ষ্য দেয়। আশা করি সরকারের বোধোদয় ঘটবে।
সরকার বিরোধী নেতা-কর্মীদের জেলে পুরে, নিত্য-নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করে নিজেদেরকে অগণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করছে। সরকার যে ভয়াবহ ইমেজ সংকটে নিপতিত-তাতে সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ তাদেরকে ক্রমেই আরো জনবিচ্ছিন্ন করে তুলছে। সরকার এ সত্যটি যত দ্রুত অনুধাবন করতে সক্ষম হবে এবং সেই অনুযায়ী সকল দলের অংশগ্রহণে এবং তা অবশ্যই সবার দাবী অনুযায়ী একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে-তাতেই সরকারের জন্য মঙ্গল।
আমি আবারো উল্লেখ করতে চাই-হিংসা বিদ্বেষের পথ ছেড়ে আসুন একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য আমরা পূর্বের মতো একসাথে কাজ করি।
জনগণের রায়ের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে। ক্ষমতাসীনদের এতো ভয় কিসে ?
আমি আশংকিত- হিংসাশ্রয়ী রাজনীতি দেশের মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে কফিনে পুরে ফেলবে একদিন। সরকার যেন সেই কাজটি করতেই বেশী তৎপর হয়ে উঠেছে।
আমি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমরা এজন্য দেশ স্বাধীন করিনি, কারণ এখন যে নীতিতে সরকার দেশ চালাচ্ছে-তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেইমানী ছাড়া কিছু নয়।
আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের প্রথম সভায় অংশগ্রহণের জন্য। আমরা সবাই মিলে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবেলায় সামনের কাতারে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি-কে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে সবাইকে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করতে হবে। আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”
সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু তার বক্তব্যে বলেন, আহবায়ক কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি-কে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে অবদান রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। আমি কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন রুখে দিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে সামনের কাতারে থাকতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের প্রত্যেকটি দিক-নির্দেশনা আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহস যোগাবে।
সভায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোসহ বর্তমানে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সকল দলীয় নেতাকর্মী এবং মৃত্যুবরণকারী সকল মানুষের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মোঃ মোহন, মোশারফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, হারুন উর রশিদ হারুন, লিটন মাহমুদ, এস কে সেকেন্দার কাদির, মনির হোসেন চেয়ারম্যান, সদস্য ফরিদ উদ্দিন, গোলাম হোসেন, এ্যাড. ফারুকুল ইসলাম, আরিফুর রহমান নাদিম, আনোয়ার হোসেন বাদল, কে এম জুবায়ের এজাজ, ফরহাদ হোসেন, লতিফুল্লাহ জাফরু, এ্যাড. মকবুল হোসেন সরদার, মোহাম্মদ আলী চায়না, আবদুল আজিজ, জামিলুর রহমান নয়ন, হাজী শহিদুল ইসলাম বাবুল, আকবর হোসেন নান্টু, শামছুল হুদা কাজল, এস এম আব্বাস, লোকমান হোসেন ফকির, জুম্মন মিয়া চেয়ারম্যান, ফজলে রুবায়েত পাপ্পু, এ্যাড. মহিউদ্দিন চৌধুরী, আরিফা সুলতানা রুমা, সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন, ওমর নবী বাবু, আবুল খায়ের লিটন, নাসরিন রশিদ পুতুল, নাদিয়া পাঠান পাপন, হাজী নাজিম, জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, জামশেদুল আলম শ্যামল।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |