আজ শনিবার | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ |১১ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:০২
বিডি দিনকাল ডেস্ক:-আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি যুগ্ম আহবায়ক ড. সাহেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৬জন নেতাকর্মী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মহাখালীস্থ কল্যাণ পার্টির কার্যালয়ে দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের হাতে ফুল দিয়ে যোগদান করেন তারা। এসময় দেশ ও জাতির পুনর্গঠনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। কল্যাণ পার্টিতে যোগ দেয়া এবি পার্টির অন্য নেতরা হলেন- আব্দুল আউয়াল মামুন, নাজমুল হুদা অপু, ওবায়দুল্লাহ মামুন, আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ইব্রাহিম খান সাদাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী প্রমূখ। সম্প্রতি তারা এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন।
গত বছরের ২ মে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীকে আহবায়ক ও মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্য সচিব করে এবি পার্টি গঠন করা হয়।
যোগদান পর্ব শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সরকারের অবহেলার কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিবেশটি এখন বিরাজনীতিকরণ হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী অনেকের মধ্যেই দুর্বৃত্তপনার মনোভাব আস্তানা গেড়েছে। সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় বর্ণনাতীত। সরকারি দলের নেতাদের ভাষ্য মোতাবেক নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, সরকারের দায়িত্ব পালনে রাজনীতিবিদ ও আমলাতন্ত্রের মধ্যে একটি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৩ বছর যাবত বর্তমান সরকার প্রশাসনকে রাজনীতিকরণ করেছেন। তার থেকেও বড় কথা আওয়ামীকরণ করেছেন। এর কুফল জাতি ভোগ করছে এবং ভবিষ্যতে ভোগ করবে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পছন্দের সরকার গঠন করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানের চাহিদা মোতাবেক আইন প্রণয়ন করা হয়নি। অতএব সরকার কর্তৃক এডহক ভিত্তিতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় সেটি ত্রুটিযুক্ত এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। অতএব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমেই প্রক্রিয়া স্থির করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অন্যথায় সরকার কর্তৃক মনোনীত নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আমরা রাজনৈতিক আন্দোলনে শরিক থাকবো।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। যদি ত্রুটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক ম্যানুপুলেট করা নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন পদ্ধতি স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা। আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন চাই। তার মাধ্যমে দেশে সুশাসন আনতে চাই। আমাদের এই লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে আরও অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক দল অনানুষ্ঠানিকভাবে সহমত পোষণ করেন। আমরা সকলেই সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করবো সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে, নির্বাচিত হতে, পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে এবং সুশাসন ফেরত আনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে।
Dhaka, Bangladesh শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ | |
Salat | Time |
Fajr | 5:23 AM |
Sunrise | 6:43 AM |
Zuhr | 12:06 PM |
Asr | 3:09 PM |
Magrib | 5:30 PM |
Isha | 6:50 PM |